Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বইমেলার কড়চা

শ্যামল চক্রবর্তী: ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা। অসাধারণ। পাঁচ কপি কিনে একটা রেখেছিলাম নিজের জন্য। বন্ধুদের উপহার দিয়েছিলাম বাকি চারটে। সেই কবির সঙ্গে দেখা হয়েছিল এক বইমেলায়। মুখটা আজও মনে পড়ে। হাতে এক ফর্মার গোটা পাঁচেক বই। কাঁধের ঝোলায় আরও শ’খানেক। মাত্র পাঁচ টাকায় নিজের লেখা ষোলোটি কবিতা সম্বলিত বইটি ঘুরে ঘুরে বিক্রি  করছেন। বেশিরভাগই এড়িয়ে যাচ্ছেন, এক-আধজন কিনছেন। অসাধারণ ছন্দজ্ঞান, দুরন্ত শব্দচয়ন। বইমেলায় এমন কতশত অচেনা মুখের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় প্রতিবার। এক কবি দেখা হলেই এগিয়ে আসতেন, ‘এককাপ কফির দামে পাঁচটা কবিতা। নেবেন একটা?’ কানে বেজে ওঠে সেই দাড়িওয়ালা যুবকের গিটার বাজিয়ে গান—‘ভুখা মানুষ বই হাতে নাও, ওটাই তোমার হাতিয়ার।’ 
তখনও বইমেলা ছিল ময়দানে। দুপুর পেরলেই দল বেঁধে ঢুকে পড়তেন পাঠককূল। শুধু কলকাতা নয়, মফস্বল থেকে ট্রেনে-বাসে চড়ে আসতেন বইপ্রেমিকের দল। বই দেখছেন, গন্ধ নিচ্ছেন নতুন বইয়ের। পকেটের রেস্ত বুঝে কিনছেন একের পর এক বই। চারপাশে স্টল, মাঝে প্রশস্ত অঙ্গন। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে মাঠেই বসে পড়ছেন কেউ কেউ। ঝোলা থেকে টিফিনবাক্স বার করে খেয়ে নিচ্ছেন রুটি-তরকারি। কোনও পাঠক নিবিষ্ট হয়ে পড়ছেন সদ্য কেনা বইয়ের পাতায়। খেতে খেতেই পাশে বসা পাঠকের বইতে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন অতি উৎসাহী কেউ। কেউ আবার বুকপকেটে রাখা লিস্ট মিলিয়ে দেখছেন, কোন বইগুলি এখনও কেনা বাকি। সবাই মশগুল বইয়ের অনন্ত ভুবনে।
বইমেলাজুড়ে জন্ম হয় টুকরো টুকরো দৃশ্যের। দ্রুতলয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ধুতি-পাঞ্জাবি পরা এক পাঠক। কোনও স্টলে অকাতরে নিজের বইতে সই করছেন খ্যাতনামা লেখক। সঙ্গে হাসিমুখে মেটাচ্ছেন ছবিস সেলফির আবদার। চিলড্রেন বুক ট্রাস্টের বিশাল প্যাভিলিয়নে কচিকাঁচাদের ভিড়। হাজার হাজার বইপ্রেমীর পদচারণায় তৈরি হচ্ছে ধুলোর বলয়। কানে ফোন নিয়ে ছোটাছুটি করছেন এক স্টল থেকে অন্য স্টলে। জমে উঠছে উৎসব। এই দিনক’টা আসলে পাঠকের। নতুন বই, নতুন কবি, নতুন লেখক, নতুন প্রকাশক—পুস্তক তালিকা...সব মিলিয়ে ব্যস্ততার শেষ নেই। কেউ খুঁজছেন বাচ্চাদের বই। কেউ বা মা-বাবার জন্য। বইমেলার দিনগুলি যে কোথা দিয়ে কেটে যায় ঝড়ের গতিতে!
চা কফি আর তেলেভাজা। ময়দানে প্রথম দিকের বইমেলায় এছাড়া তেমন আর কোনও খাবার পাওয়া যেত না। প্রথম বইমেলা শুরু হয় ভিক্টোরিয়ার পাশের প্রাঙ্গণে। দু’টি মেলা হতো তখন। একটি সরকারি পুস্তক মেলা। অপরটি প্রকাশকদের বইমেলা। পরে দুই মেলা মিলে হল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। ময়দানে বহু বছর ধরে সেই মেলার উত্তাপে মন সেঁকে নিতেন পাঠকের দল। হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত সব মজা হতো মেলায়... —‘একটা অটোগ্রাফ দেবেন স্যর?’ —‘এই বইটার যিনি লেখক, তিনিই কি আমি!’ গম্ভীরভাবে প্রশ্ন কবির। সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এগিয়ে এলেন কবিজায়া। —‘এটা কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বই ভাই, ওঁর নয়।’
দূর থেকে বিষয়টির উপর নজর রাখছিলেন আরেক প্রখ্যাত কবি। প্রায় দৌড়ে এসে তিনি বইটায় সই করে দিলেন। কবিকে ঢিপ করে একটা প্রণাম করে ফেললেন একমুখ দাড়িওয়ালা যাদবপুরের ফার্স্ট ইয়ার।—‘না বুঝে কার গ্রন্থে তুমি সই করে দিলে!’ বললেন কবিপত্নী।
অনর্গল বইমেলার স্বপ্ন-স্মৃতি-ইতিহাস। ১৯৯৭ সালে বইমেলা চলাকালীন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে যায় লক্ষাধিক বই। মাত্র তিনদিন পরেই আবার নতুন করে শুরু হয় বইমেলা। এ যেন ফিনিক্স পাখির মতো পুনর্জন্ম। পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আপত্তিতে ময়দান থেকে মেলা সরে আসে সল্টলেক স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে সায়েন্স সিটির পাশে, মিলনমেলায়। শেষ পর্যন্ত স্থায়ী জায়গা পেল সল্টলেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে বইমেলা। বদলেছে পাঠকও । পরিবর্তন অনিবার্য। তবু পুরনো বইমেলার দিনগুলির কিছু মায়া জেগে আছে আজও।
সংগঠিতভাবে মেলা পরিচালনা করে গিল্ড। বইমেলায় আগের থেকে স্টলের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। বেড়েছে কবি, লেখক, প্রকাশকের সংখ্যা। আর পাঠক—বইমেলা প্রাঙ্গণজুড়ে উপচে পড়া জনসমাগমে হাঁটাই দায়। লটারিতে ভালো জায়গা পান যে সব প্রকাশক, তাঁদের কেউ কেউ নাস্তিক হলেও জোড়া পাঁঠা মানত করে বসেন মা কালীকে! আর যাঁদের স্টল সেভাবে চোখে পড়ছে না, তাঁদের মুখ শুকনো—‘খরচটাও উঠবে না এবার।’
বইমেলার দিনগুলিতে স্টলে স্টলে চলে নতুন বইপ্রকাশের অনুষ্ঠান। স্টলকে পিছনে রেখে লেখক ও প্রকাশকের হাতে বই সহ ছবি। ফেসবুক লাইভ। প্রকাশক একটু বড় হলে সেকাজের জন্য ভাড়া নেন প্রেস কর্নার। অনেক নতুন ভালো প্রকাশক এসেছেন গত দুই দশকে। লাস্ত্রাদা, ৯ঋকাল, তবুও প্রয়াস, মান্দাস, সুপ্রকাশ, গুরুচণ্ডা৯, কেতাবি, ধানসিঁড়ি, বুক ফার্ম, মনচাষা, মনফকিরা। এঁদের বই বেশিরভাগই উঁচু মানের। চমকে দেওয়া অলঙ্করণ। বই হাতে নিলেই ভরে ওঠে প্রাণ। একের পর এক অসাধারণ বই প্রকাশ করে চমকে দিচ্ছিল তালপাতা। হঠাৎ করে যে কেন হারিয়ে গেল! 
বইমেলা থাকলে বইচোরও থাকবে। স্টলে ঢুকে বই দেখতে দেখতে ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলা তাদের বিশেষ কেরামতি। একবার বমাল ধরা পড়েছে এক বইচোর। প্রকাশককে দেখতে অনেকটা টেনিদার স্রষ্টা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো। রসিক মানুষ। বইচোরকে বসালেন নিজের পাশের চেয়ারে।—‘বসুন ভাই, আরাম করে বসুন। একজন বিখ্যাত বইচোরের নাম বলুন দেখি!’ —‘মার্ক টোয়েন।’—‘আপনি দেখছি সামান্য বইচোর নন! ওরে কে আছিস, এই মহান পুস্তকদস্যুকে একুশ কাপ কফি খাওয়া।’—‘সেরেছে! বইমেলাতেও একুশে আইন! ঘাবড়ে গিয়েছেন বইচোর।—‘অন্তত তিনকাপ তো খান। আর যে বইটি ঝোলায় ঢুকেছে, তার সঙ্গে আরও দু’টি বই ফ্রি!’ অন্য এক প্রকাশক অবশ্য ততটা সদয় ছিলেন না। তিনি একবার বইচোরকে ধরার পর ময়দান থেকে নাপিত ডেকে এনেছিলেন। তারপর একদিকের গোঁফ আর একদিকের জুলফি কামিয়ে বই সহ ছেড়ে দেন চোরকে! সেইসব দিন না থাকলেও সল্টলেকের বইমেলা এখন জমে রাবড়ি। বিমলকৃষ্ণ মতিলাল স্মারক বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রখ্যাত দার্শনিক। উদ্বোধন হচ্ছে অসংখ্য নতুন লেখকের নতুন বইয়ের। নামী লেখকরা স্টলে স্টলে সই করছেন নিজেদের বইতে। বড় স্টলগুলির বাইরে সর্পিল লাইন। এত লক্ষ লক্ষ পুস্তকপ্রেমীর ভিড় বাংলাদেশের একুশের বইমেলা বাদে আর কোথায় হয়?
ভিড়ের ভেতর থেকে নিঃশব্দে সটকে পড়ছে জোড়ায় জোড়ায় যুবক যুবতী। খাবারের স্টলেও প্রবল ভিড়। এদিক ওদিক সুন্দরীদের দেখতে দেখতে পুরুষদের বুক ধড়ফড়। সইশিকারীদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক নামজাদা কবি। দু’ব্যাগ ভর্তি বই কিনেছেন এক প্রৌঢ় শিক্ষক। সেন্ট্রাল পার্কের লেক লাগোয়া আঁকাবাঁকা পথে বসে শিল্পীরা। তাঁদের থেকে ছবি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। গিটার বাজিয়ে গান গাইছে একদল ছাত্র—‘হিংসা নয় দ্বন্দ্ব নয়, ফুল ফোটাও গন্ধ দাও...।’ রণপা পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন ওরা কারা! জিজ্ঞাসা করার আগেই লম্বা লম্বা পা ফেলে উধাও। গিল্ডের অফিসে গোগ্রাসে স্যান্ডউইচ খাচ্ছিলেন এক গুঁফো লেখক। এক কামড় বসিয়ে বলেছেন, ‘বই কিনে কেউ ফতুর হয় না।’ পাশ থেকে ফুট কাটলেন অন্য এক গল্পকার, ‘মুজতবা আলীর কথাটা  নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন দাদা!’
‘সেলিব্রিটি কাছে এলে প্রকৃত পাঠক সরে যায়’, কবিতার স্টল থেকে ভেসে আসছে কবিদের উত্তালধ্বনি। ‘হাল্কা খাদ্য খান, বই কিনুন বেশি’, হাতচোঙা  ফুকছেন এক ঘটিগরম চানাচুরওয়ালা। ঘটিগরমের চারপাশে থিকথিকে ভিড়!
‘বই কিনুন,বই পড়ুন, বই উপহার দিন’, শোনা যাচ্ছে মধুর আহ্বান। আর মুখোমুখি দু’টি স্টলের চিৎকারে টনটন করছে মাথা। এর মধ্যেই বইপ্রেমীদের প্রশ্নের ঢেউ, ‘সতীনাথ ভাদুড়ীর গ্রন্থাবলী কোথায় পাব? হাজার চুরাশির মা কাদের?’
—‘আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথের স্টলটা কোন দিকে?’
—‘রবীন্দ্রনাথ কোনওদিন বইমেলায় স্টল দেননি!’ চিৎকার করে উঠলেন এক রবীন্দ্রপ্রেমী।
—‘না, মানে জানতে চাইছি রবীন্দ্রনাথের বই কোথায় পাব?’
—‘সোজা গিয়ে ডানদিকে গলি পেরিয়ে বাঁদিকে বিশ্বভারতীর স্টলে।’
—‘শিবরাম চক্রবর্তীকে কোথায় পাওয়া যাবে?’
—‘আর  পাবেন কোথায়! রোজ রোজ রাবড়ি খেতে খেতে হাসতে হাসতে উনি মিশে গিয়েছেন হাওয়ায়!’
—‘শিবরামের বই চাইছেন তো? স্টলগুলোর নাম বলছি , পেয়ে যাবেন।’
—‘লাখ টাকার বই কিনলে গাড়ি উপহার পাওয়া যাবে?’
—‘লাখ নয়, কোটি!’
—‘বাপরে! কোটি টাকার বই!’
—আরে, ঘরে টাকা রাখলেই বাড়িতে রেইড! বই কিনলে টেনশন ফ্রি!’
আত্মপ্রতিকৃতি আঁকাতে বসে গেছেন সেলফি-ক্লান্ত নরনারীর দল। কাত হয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন এক যুবতী। যুবক এসে বাঁচালেন। ‘তোমাকে চাই, তোমাকে চাই, মেলার মাঠে আমি তোমাকে চাই’, কে একটা গেয়ে উঠতেই পাশ থেকে আরেকটা রেওয়াজ করা গলা, ‘বারোমাস ধরে আমি বইকে চাই, মনখারাপের দিনে আমি বইকে চাই, শেষ পর্যন্ত বইকে চাই।’
বইমেলা ডাকছে। চলুন, অনন্তযৌবনা বইয়ের কাছে ফিরি।
কার্টুন : সুব্রত মাজী
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
28th  January, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
তীর্থের জন্ম
সমৃদ্ধ দত্ত

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৪৯। অযোধ্যা। চারদিকে হইচই। কিছু মানুষ ছোটাছুটি করছে। প্রত্যেকেই দৌড়চ্ছে রাম জন্মভূমির দিকে। কী হ বিশদ

21st  January, 2024
নবজাগরণের নবদূত
পূর্বা সেনগুপ্ত

শেষ শয্যায় শায়িত তথাগত বুদ্ধ। চারিদিকে মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন অন্তরঙ্গ স্থবিরগণ। আকাশ-বাতাসে গুমোট ভাব। তথাগত যেখান থেকে এসেছিলেন, ফিরে যাচ্ছেন সেই লোকে। তাঁর বিরহ কেমন করে সহ্য করবেন, সেই চিন্তায় সর্বাধিক অন্তরঙ্গ শিষ্য আনন্দের চোখে জল। বিশদ

14th  January, 2024
সরাইখানার গপ্পো
অনিরুদ্ধ সরকার

 

শীত মানেই ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কলকাতা সেই কবে থেকে মেতে আছে এই হুজুগে। ১৮ শতকের শেষ থেকে ১৯ শতকের শুরুর দিকে এ শহরে একটা জোয়ার এসেছিল—ট্যাভার্ন বা সরাইখানা ও কফি হাউসের। কিন্তু তাতে ভাটা আসতেও দেরি হয়নি। কেমন ছিল সরাইখানার সেই দিনগুলি? বিশদ

07th  January, 2024
জাদুঘরটা কোনদিকে?

ভদ্রলোক অনেকটা হেড অফিসের বড়বাবু গোছের। দুপুরে খোলেন দোকানখানি। দু’চার বার এক টুকরো কাপড় উড়িয়ে ঝাড়তে থাকেন মালপত্তর।
বিশদ

31st  December, 2023
একনজরে
বাল্টিমোর ব্রিজ দুর্ঘটনায় ভারতীয় নাবিকদের সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সময়ে উদ্ধারকাজ শেষ করায় স্থানীয় প্রশাসনেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার পণ্যবাহী ...

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের দরবারে ধনেখালির পরিচিতি তাঁতের শাড়ির জন্য। তবে এখন আর ধনেখালিতে হাতে টানা তাঁতের মাকুর ঠক ঠক শব্দ সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় ...

দোল উৎসবের রাতেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত থাকল কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গোঁসাইরহাট গ্রামের কটবাঁশ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে ...

লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই বিজেপির কৌশল। সেই লক্ষ্যে  ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবজরী গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM