Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

তীর্থের জন্ম
সমৃদ্ধ দত্ত

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৪৯। অযোধ্যা। চারদিকে হইচই। কিছু মানুষ ছোটাছুটি করছে। প্রত্যেকেই দৌড়চ্ছে রাম জন্মভূমির দিকে। কী হয়েছে? জবাবে উত্তেজিত জনতা চিৎকার করে অন্যদের বলছে, রামলালা স্বপ্রকট হয়েছেন। নিজেই উপস্থিত হয়েছেন জন্মভূমিতে। জ্যোতি বেরোচ্ছে জন্মস্থল থেকে। 
কনকনে ঠান্ডা। কয়েকদিন আগে বেশ বৃষ্টিও হয়েছে। বাতাস ভেজা ভেজা। তাই শীত বেশি করে জাঁকিয়ে বসেছে। সাতটা বাজলেও সূর্যের আলো তেমন ফোটেনি। তার মধ্যেই খবর এল একটা ঝামেলা হয়েছে রাম জন্মভূমিতে। নড়েচড়ে বসলেন অফিসার-ইন-চার্জ রাম দুবে। ব্যাপারটা বেশি গড়ালে আবার নানারকম গুজব ছড়াবে। ঝুঁকি না নিয়ে অযোধ্যা থানার দায়িত্বে থাকা দুবেজি দ্রুত জিপ হাঁকিয়ে এলেন। আগে থেকেই পুলিস পোস্টিং রয়েছে। দুবেজিকে দেখে এগিয়ে এলেন রাতের ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল মাতা প্রসাদ। প্রশ্ন করলেন অফিসার, ‘কী ব্যাপার প্রসাদজি?’ জবাবে মাতা প্রসাদ বললেন, ‘মাঝরাতের পর ৫০-৬০ জন হঠাৎ ঢুকে পড়ে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। কনস্টেবল হংস রাজ ছিলেন মসজিদের ঠিক বাইরে। তিনি বারণ করেছিলেন। আমিও ছুটে গিয়েছি। এরপর পিএসি ফোর্সকেও ডাকা হয়। কিন্তু পিএসি আসার আগেই রামলালার মূর্তি মসজিদের অভ্যন্তরে স্থাপিত হয়ে গিয়েছে স্যর।’
১৯৪৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর অযোধ্যা থানায় রুজু হওয়া এফআইআরে লেখা হয়েছে এই বিবরণ। এফআইআর অনুযায়ী, রামলালার মূর্তি যে ব্যক্তি বয়ে এনে সেখানে স্থাপন করেছিল, তাকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে—নির্মোহী আখড়ার অভয়রাম দাস। অফিসার-ইন-চার্জ রাম দুবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর করেন ৬৩ জনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম অভয়রাম দাস, শিবচরণ দাস এবং সিদ্ধেশ্বর রাও।
এফআইআর বা ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল মাতা প্রসাদ ও হংস রাজের বয়ান যাই হোক না কেন, পাত্তা দেয়নি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। সেদিন থেকেই দাবি জোরালো হয় যে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। রামলালা স্বয়ং প্রকট হয়ে নিজেকে স্থাপিত করেছেন জন্মস্থানে। দৈবশক্তির নমুনা হিসেবে নিজের মন্দিরে ফিরে এসেছেন প্রভু শ্রীরামচন্দ্র। সুতরাং, এবার এই স্থানকে ফিরিয়ে দিতে হবে প্রভুর অধিকারে। আগেও এই দাবি ছিল স্বমহিমায়। কিন্তু ১৯৪৯ সালের বিশেষ দিনটির পর সেই দাবি উঠল আরও জোরালোভাবে। ফলে এক প্রবল আন্দোলনের পথ সুগম হয়ে গেল। তবে যা হওয়ার কথা ছিল ভক্তি তথা ধর্ম আন্দোলন, তা আদতে পরিণত হল রাজনৈতিক আন্দোলনে। ৭৫ বছর আগের ২৩ ডিসেম্বর গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছিল রামচন্দ্রের মূর্তি। হয়তো তখন বোঝা যায়নি, সেই দিনটি আমূল বদলে দেবে ভারতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতিকে। সেই সঙ্গে বদলে যাবে ভারতও।
অযোধ্যা নামক জনপদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় অথর্ববেদে। সেখানে বলা হয়েছে, এই স্থানটি দেবতারা নির্মাণ করেছিলেন নিজেদের বসবাসের জন্য। আবার বাল্মীকি রামায়ণের ভাষ্যে অযোধ্যা হল, কোশল মহাজনপদের রাজধানী। তৈত্তীরিয় আরণ্যক, সাংখ্যায়ন শ্রৌতসূত্র, ভাগবত পুরাণেও রয়েছে অযোধ্যার উল্লেখ। সুতরাং এটা স্পষ্ট, এই জনপদের নাম প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত। মহাকাব্য ও ঐতিহাসিক রেফারেন্সের তূল্যমূল্য বিচার করে একটি ধারণা করা হয়েছে যে, শ্রীরামচন্দ্র নামক রাজা বাস্তবে থাকলেও তাঁর সময়কাল ছিল কমবেশি ১৯৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আশপাশে। আরও দাবি, সরযূ নদীকে কেন্দ্র করে তিনি বেশ কিছু দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে ওই এলাকার নাম হয় রামকোট। সরযূ নদীতে মহানির্বাণ হয়েছিল রামচন্দ্রের। সেই লীলা সংবরণের আগে বড় পুত্র কুশকে দিয়েছিলেন অযোধ্যা এবং ছোট পুত্র লব পেয়েছিল শ্রাবস্তী। কুশই প্রথম অযোধ্যায় পিতার মন্দির নির্মাণ করেন। এই তথ্য কি পুরাণের? তাহলে ইতিহাস কীভাবে মেনে নেবে? সমস্যা হল, ভারতের দুই মহাকাব্য আবহমানকাল ধরে ইতিহাস বনাম পুরাণের বিতর্কে অগ্রসর হয়েছে। কখনও মিথ ও জনশ্রুতি জয়ী হয়েছে। কখনও ইতিহাস নস্যাৎ করেছে সেই দাবি। ১৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে কুরুপাণ্ডব যুদ্ধের সময়কাল ধরা হয়। তা যদি হয়, সেই সময় অযোধ্যার অধিপতি ছিলেন বৃহদল। তিনি কৌরব পক্ষের হয়ে যুদ্ধ করেন এবং অভিমন্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারান। তাঁর মৃত্যুর পর অযোধ্যা নগরী প্রায় বিলুপ্ত হতে শুরু করে।
বহুযুগ পরের কথা। সামনে ও পিছনে ঘন জঙ্গল। অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন মৃগয়ায়। সরযূ নদীতীরে গাছের নীচে বিশ্রাম নিচ্ছেন ক্লান্ত, অবসন্ন মহারাজা বিক্রমাদিত্য। সঙ্গীদের হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। হঠাৎ লক্ষ্য করলেন একটি অদ্ভুত দৃশ্য। নদীর অপর প্রান্ত থেকে একটি কালো ঘোড়ায় চেপে আসা অশ্বারোহী সরযূর জলে নেমে পড়লেন। আর ঘোড়া সহ অবগাহন করে এসে উঠলেন এপারে। এবং কী আশ্চর্য! যখন ওপারে ছিলেন, সেই ব্যক্তি এবং অশ্ব—উভয়েই ছিল ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। আর সরযূতে অবগাহনে পর তারা উঠে এল, তখন দু’জনেই গৌরবর্ণ। কে এই ব্যক্তি? এটা কি স্বপ্ন? রাজা বিক্রমাদিত্যের সংশয় কেটে গেল যখন ওই ব্যক্তি সামনে এসে বললেন, আমি প্রয়াগরাজ। সাগর সঙ্গমে অসংখ্য মানুষ স্নান করে। আর তাদের পাপ বুকে ধারণ করে আমি কলুষিত হই। গাত্রবর্ণ হয় কৃষ্ণ। তাই পুণ্যতোয়া সরযূ নদীতে অবগাহন করে পাপমুক্ত হই। তোমাকে একটা দায়িত্ব দেব। এই অরণ্য আর নদীবেষ্টিত ভূমিতেই কোথাও লুকিয়ে আছে অযোধ্যা নগরী। তোমাকে সেই লুপ্ত নগরী খুঁজে বের করতে হবে। বিক্রমাদিত্যের হাতেই যেন পুনর্জন্ম হয়েছিল অযোধ্যার। লুপ্ত নগরী ফিরে পেল হারানো গৌরব। গড়ে উঠল মন্দির ও দুর্গ, যাকে বলা যেতে পারে ‘বিকল্প অযোধ্যা’। কিন্তু বিশ্বাসীদের আস্থা যে, এই স্থানেই ছিল মহাজনপদ কোশল রাজ্য। অর্থাৎ এই হল আসল রামরাজ্য। 
এই মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করেছে কে? অযোধ্যা নগরী। ১০৩৩ সালে খলিফা মাহমুদ দু’বার আক্রমণ করেন এই জনপদ। ১১৯৪ সালে শাহ জুরান শুধু অযোধ্যা দখলই করেননি, বসবাসও করেন। এবং তাঁর মৃত্যুও এখানেই। এরপর একটি ঘটনা ঘটল। তিমুর বংশের এক যোদ্ধা জানতেন, তাঁর পূর্বপুরুষ তৈমুরলঙ হিন্দুস্তান আক্রমণ করেছিলেন। লুটপাট, গণহত্যা চালিয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু এই জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর প্রথম থেকেই স্থির করলেন, ফিরব না। যদি হিন্দুস্তান দখল করতে পারি, থেকে যাব। ইব্রাহিম লোদি বিশ্বাস করতে পারেননি যে, ১ লক্ষাধিক সেনা নিয়েও তিনি পরাস্ত হতে পারেন। তাও মাত্র হাজার দশেক বাহিনীর এক সেনাপতির কাছে। স্রেফ নতুন ধরনের তিনরকম আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বাবরের কাছে, যা পানিপথের প্রথম যুদ্ধে তাঁকে জিতিয়ে দিয়েছিল। ১৫২৮ সালে বাবর এক সেনাপ্রধানকে পাঠিয়ে ছিলেন অযোধ্যায়। তাঁকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন জালাল শাহ নামে এক ফকির। সেনাপ্রধান মীর বাঁকি আক্রমণ করলেন অযোধ্যা। কিন্তু জয় সহজ নয়। কারণ, বিপরীতে ভাটির রাজা মেহতাব সিং, হংসবর রাজা রণবিজয় সিং এবং রাজগুরু পণ্ডিত দেবী দীন পান্ডের মিলিত শক্তি। এই তিন রাজা ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করলেন মীর বাঁকির সঙ্গে। প্রাণপণ চেষ্টা করলেন অযোধ্যাকে রক্ষা করার। এখানেও হিসেব বদলে দিল সেই বিশেষ আধুনিক বন্দুক। মীর বাঁকির কামান-বন্দুকের সামনে এই যুদ্ধের জয় পরাজয় নিশ্চিত হল। এরপরেই নাকি বাবরের সেনাপতি অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য একাধিক মন্দির ধ্বংস করেন। তার মধ্যে অন্যতম স্বয়ং রামমন্দির!
কিন্তু হিন্দুবাহিনী মন্দির ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েনি। বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুনের আমলেও ফের যুদ্ধ হয়। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বীরবল এবং রাজা টোডরমল সম্রাটকে রাজি করান একটি মন্দির নির্মাণের জন্য। ১৫৫৬ সালে তৈরি হল একটি ছোট শ্বেতপাথরের রামমন্দির। বহু ধ্বংসের পর আবার সৃষ্টির মুখ দেখল অযোধ্যা। বিধিমতো পুজোপাঠও শুরু হয়। কিন্তু  স্থিতাবস্থা বজায় রইল না। আওরঙ্গজেব ১৬৬৪ সালে বন্ধ করলেন পুজোপাঠ। মন্দিরও রইল না। অযোধ্যা আবার অন্ধকারে। শেষ চেষ্টা করেছিলেন মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরও। লক্ষ্য ছিল হিন্দু ও মুসলিম উভয়ের যাতে অধিকার থাকে এই ভূমির উপর। কিন্তু তাঁর ক্ষমতা কতটুকু? ততদিনে ভারত শাসনের ক্ষমতা ক্রমেই চলে যাচ্ছে ব্রিটিশদের হাতে। অতএব বিতর্ক, সংঘাত, দাবি পাল্টা দাবি এবং মাঝেমধ্যেই চলল সংঘর্ষ। ব্রিটিশদের ইন্ধনে। কারণ, তারা জানত দেশশাসনের প্রধান উপকরণ হল ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’। 
অবশেষে ফের এক ঝাঁকুনি! ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই রাত। হঠাৎ মসজিদে আবির্ভূত রামচন্দ্র স্বয়ং। শুরু হল নতুন অধ্যায়। 
মীর বাঁকির অযোধ্যা আক্রমণের ৪৬৪ বছর পরের এক সকাল। ৬ ডিসেম্বর। রাম রথযাত্রার কারিগর লালকৃষ্ণ আদবানি তৈরি হচ্ছেন করসেবার জন্য। অযোধ্যায় তিনি রয়েছেন জানকী মহলে। সরযূ থেকে আনা হয়েছে বালি ও মাটি। সেগুলি নিয়ে প্রতীকী পুজোপাঠ হবে মন্দির নির্মাণকল্পে। এটাই করসেবা। সকাল পৌনে ১০টা। রাম কথা কুঞ্জে একটি মঞ্চে বক্তৃতা দেবেন আদবানি। অন্য নেতারাও আছেন। ১৯৯০ সালে সোমনাথ থেকে যে যাত্রা তিনি শুরু করেছিলেন, তার শেষ অধ্যায় যেন সেদিন রচিত হবে। হঠাৎ প্রবল চিৎকার। হুঙ্কার। জয়ধ্বনি। আদবানি চকিতে তাকালেন উমা ভারতীর দিকে। ততক্ষণে খবর এসেছে মীর বাঁকি যে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, তার একটি গম্বুজের উপর কিছু করসেবক উঠে পড়েছে। ভাঙার চেষ্টা করছে। তৎক্ষণাৎ উমা ভারতীকে বললেন, ‘তুমি যাও। ওদের বুঝিয়ে ওখান থেকে নামাও।’ উমা ভারতী গেলেন। কিন্তু ফিরলেন না। সম্মোহিত হয়ে দেখলেন তাঁদের সকলের চোখের সামনে বিকেল চারটের মধ্যে মসজিদ ধূলিসাৎ। ৪৬৪ বছরের ইতিহাসে আবার একটি ধ্বংস। অথচ এই ধ্বংস বিপরীতমুখী। মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ধ্বংসের ইতিহাসের সমাপ্তি। এবার তাহলে গড়ার পালা! কে বলল? অযোধ্যার ললাটলিখন ধ্বংসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পৃক্ত। তাই ভেঙে যাচ্ছে হনুমানগঢ়ি সংলগ্ন দোকান। ভাঙছে রামকোট লাগোয়া তাবৎ বাড়ি। তুলসী উদ্যানের পার্শ্ববর্তী জনপদকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভেঙে যাচ্ছে বাস স্ট্যান্ড। কোথায় রামঘাট থেকে করসেবকপুরমের দিকে যাওয়ার সেইসব গলি? সব ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং হবে। ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে আবার নির্মাণ হচ্ছে নব অযোধ্যা। বহুবার অযোধ্যা ধ্বংস হয়েছে। আবার গড়ে উঠেছে নতুন নগরী। ২০২৪ সালে আবার সেই ক্ষণ উপস্থিত। তাই মামলা মোকাদ্দমা এবং রাজনীতিকদের রক্তচক্ষুতে আড়ালে থেকে যাওয়া সেই ক্ষুদ্র নিস্তরঙ্গ জনপদটি হঠাৎ যেন জেগে উঠেছে এক দীর্ঘ শীতঘুম থেকে। সেজে উঠছে সীতা রসোই। বদলে যাচ্ছে কৌশল্যাভবন। দশরথ ভবনে চলছে গ্রাফিতি নির্মাণ। ওই তো সেই গুপ্তার ঘাট। সরযূ তীরে। এত আলো মালা আর ভাস্কর্য কেন এতকালের এই শান্ত ঘাটে? এখানেই রামচন্দ্র তাঁর নরলীলা সাঙ্গ করে মহাপ্রয়াণের পথে পা বাড়িয়ে মিশে গিয়েছিলেন সরযূ তীরে। ন্যায় পথ থেকে সোজা একটি পৃথক সড়ক কোনদিকে যাচ্ছে? যে পথ ধরে রাম সীতা লক্ষ্ণণ ত্রিশক্তি বনবাসে গিয়েছিলেন। রামঘাটে ত্রিসন্ধ্যা আরতিতে উচ্চারিত  হচ্ছে রামচরিতমানস—‘নৌমি তিথি মধুমাস পুনীতা...পাবন কাল লোক বিস্রমা...।’
অযোধ্যার আবার খোলস বদলে যাচ্ছে। জন্ম হচ্ছে নতুন তীর্থের, ‘অযোধ্যাধাম’!    
21st  January, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
নবজাগরণের নবদূত
পূর্বা সেনগুপ্ত

শেষ শয্যায় শায়িত তথাগত বুদ্ধ। চারিদিকে মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন অন্তরঙ্গ স্থবিরগণ। আকাশ-বাতাসে গুমোট ভাব। তথাগত যেখান থেকে এসেছিলেন, ফিরে যাচ্ছেন সেই লোকে। তাঁর বিরহ কেমন করে সহ্য করবেন, সেই চিন্তায় সর্বাধিক অন্তরঙ্গ শিষ্য আনন্দের চোখে জল। বিশদ

14th  January, 2024
সরাইখানার গপ্পো
অনিরুদ্ধ সরকার

 

শীত মানেই ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কলকাতা সেই কবে থেকে মেতে আছে এই হুজুগে। ১৮ শতকের শেষ থেকে ১৯ শতকের শুরুর দিকে এ শহরে একটা জোয়ার এসেছিল—ট্যাভার্ন বা সরাইখানা ও কফি হাউসের। কিন্তু তাতে ভাটা আসতেও দেরি হয়নি। কেমন ছিল সরাইখানার সেই দিনগুলি? বিশদ

07th  January, 2024
জাদুঘরটা কোনদিকে?

ভদ্রলোক অনেকটা হেড অফিসের বড়বাবু গোছের। দুপুরে খোলেন দোকানখানি। দু’চার বার এক টুকরো কাপড় উড়িয়ে ঝাড়তে থাকেন মালপত্তর।
বিশদ

31st  December, 2023
একনজরে
দুই প্রার্থীকেই মানছি না। দু’জনকেই পরিবর্তন করতে হবে। এমনই দাবিতে বুধবার ভগবানগোলার বরবরিয়ায় রাস্তায় নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ...

লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই বিজেপির কৌশল। সেই লক্ষ্যে  ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবজরী গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ...

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের দরবারে ধনেখালির পরিচিতি তাঁতের শাড়ির জন্য। তবে এখন আর ধনেখালিতে হাতে টানা তাঁতের মাকুর ঠক ঠক শব্দ সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় ...

দোল উৎসবের রাতেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত থাকল কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গোঁসাইরহাট গ্রামের কটবাঁশ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM