Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

 বিচার চাইতে এলে তাড়িয়ে দিও না​​​​

ডাইনি প্রথা থেকে শুরু নানা কুসংস্কার— দু’দশকের বেশি সময় ধরে লড়াই করছেন ঝাড়খণ্ডের ছুটনি মাহাতো। শহরে এসে নিজের কথা শোনালেন অন্বেষা দত্ত-কে।

বয়স শুধু থাবা বসিয়েছে মুখের চামড়ায়। তবে সতেজ গলাটা শুনে বেশ বোঝা যায় তাঁর প্রতিবাদের ঝাঁজ কেমন ছিল। সেই ঝাঁজে মিইয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। একদিন ‘ডাইনি’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল যে বধূকে, ঘোমটার আড়ালে চোখের জল ফেলে বসে থাকেনি সে। ছেলেমেয়ে নিয়ে গাছের তলায় রাত্রিযাপনেও ভয় পায়নি। কারণ একটা জিনিস খুব ভালো জানত সে, ভয় পেলে বেঁচে থাকাটা সম্ভব হবে না। ছেলেদের মুখে খাবার জোগাড়ও হবে না। তাই শোক করার সময় তার হাতে ছিল না। শহরের এক পড়ন্ত বিকেলে চেয়ারে বসে অতীতের দিনগুলো ফিরে দেখছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত লড়াকু সমাজ-সংস্কারক ছুটনি মাহাতো। বয়স এখন ৬৫-৬৬। শরীর ঋজু। মুখে আলগা হাসি, প্রত্যয়ের। 
ছুটনি তাঁর কাজের পুরস্কার (দ্য সোশিওফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস) নিতে এসেছিলেন কলকাতা শহরে। উদ্যোক্তা সাবরি হেল্পেজ। সংস্থার তরফে আরতি সিং বলেন, ‘এ সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জন্য ছুটনি মাহাতোর মতো অসংখ্য মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁদের সম্মান জানাতে চেয়েছি আমরা।’ 
গ্রামেগঞ্জে বধূদের ডাইনি অপবাদে মেরে ফেলা অথবা সমাজচ্যুত করার খবর প্রায়শই চোখে পড়ে খবরের কাগজে। এই যুগে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার গল্পের পাশেই এই খবরগুলোও থাকে। যা জানান দেয়, ভারতের এই বাস্তবটা এখনও জ্বলন্ত। এভাবেই একদিন ছুটনিকেও বেছে নেওয়া হয়েছিল। ডাইনি অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। 
হঠাৎ করে এসে কেউ বলল, ছুটনি ডাইনি, আর সবাই মেনে নিল? দৃপ্ত গলা বলে উঠল, ‘কেন নেবে না ম্যাডাম? আমি তো ছেলেদের স্কুলে পড়াতে পাঠাচ্ছিলাম। আত্মীয়-প্রতিবেশীর ছেলেরা গোরু ছাগল চরাচ্ছে। কেন ভালো লাগবে কারও? সম্পত্তির কারণও ছিল। আমার স্বামী ছিল এক ছেলে। শ্বশুরের পরে তো সব সম্পত্তি সে পেত। সেটাও কারও ভালো লাগেনি নিশ্চয়ই। প্রথমেই বের করে দেয়নি। আগে মারধর করত। বেশ কয়েকদিন। কত দিন মার খাব? সহ্য করতে পারিনি। বেরিয়েই এসেছিলাম। এখনও সেই সংসারের বাইরে।’ বিয়ের বারো বছর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে গলাধাক্কা। অপবাদ। শ্বশুরবাড়িতে মহিলারাই নির্যাতন চালাত। মানসিক, শারীরিক দুই-ই। টানা আট মাস গাছের তলায় দিন কাটিয়েছেন। কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন? ‘কোথায় আর যাব? খাওয়াদাওয়া দিত বড় বোন। ওর ছেলেপুলে নেই। খেতিবাড়ি করে যেটুকু চাল ডাল ঘরে থাকত, গোড়ার দিকে স্বামী এসে দিয়ে যেত। এইভাবে চলত। দুঃখ ধরে রেখে কী করব বলুন? একবছর লেগে গেল আবার ঘর বানাতে। এক ছেলে তখন তিন বছরের। সেই ছেলেকে বিএড পড়িয়েছি। জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কুড়োতাম। বেচতাম। একটা সংস্থায় এক হাজার টাকা দিত। সেটা ১৯৯৭ সাল। ঝাড়খণ্ডে এখন আমায় সবাই জানে-মানে। ৩২ বছর হল শ্বশুরবাড়ি ছেড়েছি। আমি যা সহ্য করেছি, সে জিনিস কোনও মেয়েকে যেন করতে না হয়। কেউ কারও নয় ম্যাডাম। ওই দুঃখ আমি জানি। তাই ওই দুঃখের ভাগ নিতে চাই। ডাইনি অপবাদ, বধূ-নির্যাতন যাই ঘটুক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মেয়েদের পাশে আছি।’ সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, নিপীড়িতা মেয়েদের সমর্থনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্যই বছর তিনেক আগে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। গোটা দেশ ছুটনিকে চিনে নিয়েছিল তখনই। ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে লড়াই তাহলে গোটা দেশে ছড়িয়েছে? ‘২০০১ সাল থেকে কাজ করছি। কত মেয়ে আসে। এখন তো হাইলাইটে চলে এসেছি! সব কাগজ পড়ে। আমার কথা জানায়। বলে ওর কাছে যাও, সাহায্য পাবে। কারও ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। কারও মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে...।’ তবে সব দিক খতিয়ে দেখে পা ফেলেন সতর্ক ছুটনি। নির্যাতিতা হলেও তাঁদের আধার বা ভোটার কার্ড চেয়ে নেন। কে কে আছে পরিবারে, সব তথ্য জেনে নেন। না হলে তাঁরও বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ছুটনির কথায়, ‘আমি তো ধরুন ওই মেয়ের জন্য কেস করলাম, থানা পুলিস করলাম। তারপর শ্বশুরবাড়ির চাপে বা অন্য কিছুর জন্য সে বলে দিল আমি তো ছুটনির কাছে যাইনি! তখন আমি কী করব? আমি বিপদে পড়ব কেন?’  
একা একা কাজ করছেন বহু দিন। প্রয়োজনে মেয়েদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিতে দ্বিধা করেন না ছুটনি। ‘কেউ বলে মাথা ব্যথা, কেউ বলে পেট ব্যথা। ডাইনি বলে দেয় কোনও বাড়ির বউকে। তার ছেলেমেয়ের কী অবস্থা হবে ভাবুন। মা ডাইনি! এটা কেউ মানতে পারে? বীরবাস গ্রামে (ঝাড়খণ্ড) ছুটনির অফিসে ন্যায় মিলবে, পড়শি রাজ্যের অনেকেও এখন জানে এ কথা,’ একতোড়ে বলে যান ষাটোর্ধ্বা। 
যারা ডাইনি অপবাদ দিয়েছে বা নির্যাতন করছে— দু’পক্ষকেই তিনি ডেকে পাঠান অফিসে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনেন। তারপর রেকর্ড করে রাখেন সব। ছেলেরা সাহায্য করে কাজে। প্রয়োজনে কোর্টকাছাড়ি বা থানাকেও জানান। তারপর কি পরিবার মেনে নেয় সব? ছুটনি বলেন, ‘না অত সহজে মিলমিশ হয় না। কিন্তু আমার কথা শুনে মেয়েটার উপর অত্যাচার ওরা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কোনও পরিবার হয়তো বলে মেয়েটা ডাইনি, ওকে ছোঁব না। আমি বলি ছুঁও না, ওকে ঘাঁটাবেও না। ও ওর মতো থাকবে, তোমরা তোমাদের মতো। তবে ডাইনি আর কখনও বলবে না। আমার অফিসে নিপীড়িতা অনেক মেয়ে তিন-ছ’মাস থাকে। সাহস দেওয়ার চেষ্টা করি। আশপাশের সবাই এসব দেখে আর বলে ওই দেখো ডাইনির অফিস!’ বলতে বলতে হেসে গড়িয়ে পড়েন ছুটনি!
পেরিয়েছে ৩২টা বছর এভাবেই। এসেছে আত্মবিশ্বাস। নিজেকে যুক্ত করেছেন ‘ফ্রি লিগাল এইড কমিটি’-র সঙ্গে। ছেলে বউ মেয়ে নাতি নাতনি সবাইকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার সাহস ও শিক্ষা এখন থেকেই দিচ্ছেন তিনি। বয়স হচ্ছে। তাঁর পরের প্রজন্মকেও তো জানতে হবে, কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ছুটনির কথায়, ‘আমি মরে গেলে কাজটা তো থেমে যাবে না। ওদের বলি শিখে নাও, নির্যাতিতা কেউ এলে কীভাবে কথা বলবে, কী বলবে, ওদের কীভাবে সম্মান করবে, সব কিছু। ওটাই ট্রেনিং। কেউ বিচার চাইতে এলে তাড়িয়ে দিও না। কাল আমিও তো অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন আলো এসেছে। কিন্তু তার জন্য গর্ব কোরো না।’ শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে  যাওয়ার পর পেরিয়েছে ৩২টা বছর এভাবেই। এসেছে আত্মবিশ্বাস। ছুটনির এক ছেলে প্যারা টিচার, আর এক ছেলে চাকরি করেন। এ শহরে ২০ বছরের নাতি সুরয মাহাতো এসেছিল সঙ্গে। ছোট থেকে দাদির কাজ দেখে দেখে বড় হয়েছেন এই তরুণ। কোর্টেও গিয়েছেন। তখনও দাদির এত পরিচিতি ছিল না। এখন আবেদন কীভাবে লিখবেন নির্যাতিতা, সেখানে কী কী অভিযোগ জানাবেন ইত্যাদি সব শিখিয়ে দেন তাঁরাই। এরপর উকিল আসেন দাদির ডাকে। উকিলের পরামর্শমতো কাজ এগয়। নির্যাতিতাকে আশ্রয় দিয়ে তার প্রতি সহানুভূতি দেখানো, এসবেই এখন দড় সুরযরা। যে মহিলার উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে, তাঁর বাড়ির লোকও আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য হন, জানালেন তিনি। মেয়েটি যদি এরপরেও অত্যাচারিত হয়, বা তাঁকে মেরে ফেলা হয় কিংবা তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, অভিযোগ থেকে রেহাই নেই বাড়ির লোকের। তাই বাড়ির লোক সতর্ক থাকেন। সেভাবেই ‘লিখাপড়ি’ হয়, বললেন ছুটনির নাতি। 
ওড়িশা, হাজারিবাগ, চাতরা, পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছেন সুরযরা।
কাউকে ‘ডাইনি’ বলে দেগে দেওয়া হয় কীভাবে? সুরয জানালেন, ‘ধরুন কোনও বাড়ির বউয়ের অনেকদিন বাচ্চা হয়নি। এদিকে তার ননদের বাচ্চা আছে, সেই বাচ্চার হয়তো কঠিন রোগ। তখন তার জন্য সে দায়ী করবে বা‌঩ড়ির বউকে। ননদই বলবে বউদির বাচ্চা নেই, আমার বাচ্চা নেবে বলে এসেছে, ও ডাইনি। এইভাবে সবাই বলে। কারও চোখ কটা বা খয়েরি চুল থাকলে, ছ’টা আঙুল থাকলে অনেকে বলে দেয় সে ডাইনি। মূলত বাড়ির বউরাই লক্ষ্য। আর দেখুন, ডাইনি না থাকলে ওঝাদের রোজগার তো মার খাবে। তাই ভগবান যেমন আছে, ডাইনিও আছে— গ্রামের লোক এটাই 
মানে!’  
যে বাড়ি থেকে একদিন দাদিকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, সেই বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে আর? ‘অনুষ্ঠান পরবে যাওয়া-আসা আছে। এখনকার কেউ তো দায়ী নয়। জমিবাড়ি আমরা কিছু পাইনি। সব নিয়ে নিয়েছিল।’
এর মধ্যেই দাদি চলে আসেন একগাল হাসি নিয়ে। বলেন, ‘চলো চলো অনেক কথা হয়েছে। আর কাজ নেই!’ ছুটনি ছুট দিলেন পলকেই। 
18th  May, 2024
রিলস দেখার অভ্যাস ধৈর্য কমাচ্ছে

এক মিনিটের একটি রিলস-এই উদ্দেশ্য সফল। তাড়াতাড়ি উদ্দেশ্য সফল হওয়ার এই প্রবণতা ধৈর্য হারানোর বড় কারণ। একটি রিলস থেকে পরবর্তী রিলস এ যেতে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। বিশদ

সন্তান না দেখলে বাবা মা কী করবেন

সন্তানের অবহেলা ও অত্যাচারের মুখে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা কী করবেন? পরামর্শে হাইকোর্টের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

মার্কিন আদালতের বিচারক অন্ধ্রপ্রদেশের ভূমিকন্যা

 অনন্য নজির গড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়ারার ভূমিকন্যা জয়া বাদিগা। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টো কান্ট্রি সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক নিযুক্ত হলেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আদালতে এই প্রথম অন্ধ্রপ্রদেশের কোনও মহিলা বিচারকের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বিশদ

শপিং আর মিটিং একইসঙ্গে

মেয়েদের দশভুজা বলা হয়। তা কি আর এমনি? দশটা হাত না থাকতে পারে, কিন্তু একসঙ্গে দশটা কাজ সামলাতে মেয়েরা বেশ দড়। ঠিক যেমন ছবির এই মহিলা। দেখুন, তাঁর হাতে ল্যাপটপ। আর তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন জুতোর দোকানে। বিশদ

কর্মীর দোষে সংশোধনাগারে মহিলার অতিরিক্ত দু’বছর

 কাগজে কলমে কোনও এক কর্মীর দোষ। তার মাশুল দিতে হল ৭৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে। সূত্রের খবর, জনৈক সুমিত্রার সংশোধনাগারের ভিতরেই কেটে গেল অতিরিক্ত দুটো বছর। ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে। জানা গিয়েছে, পণ সংক্রান্ত এক মামলায় কারাদণ্ড হয় সুমিত্রার। বিশদ

ঘরের কাজেও হাত লাগাক খুদে

ছেলে হোক বা মেয়ে, সংসারের টুকটাক দায়িত্ব সন্তানকেও দিন। বয়স চার পেরলেই কিছু কাজ হাতে হাতে করতে শিখুক। আখেরে লাভ হবে তারই। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

18th  May, 2024
এআই-এর সাহায্যে সারল প্যানিক অ্যাটাক

প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটেনের মলি পেনিংটন। প্যানিক অ্যাটাক উপশম করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর সাহায্য নিয়েছিলেন মলি। সম্প্রতি বিদেশি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। বিশদ

18th  May, 2024
ভয় কাটিয়ে পাহাড়ে

আনন্দ হোক বা বিষাদ— পাহাড়কে সঙ্গী করে নিজেকে ভালো রাখার উপায় খোঁজেন বহু মানুষ। কেউ বা পাহাড় ভয় পান। সেই ভয় কাটানোর কথাই প্রাথমিকভাবে ভাবতেন জয়নাব জগি। বিশদ

18th  May, 2024
এই প্রজন্মের কাছে প্রথমবার ভোটদানের গুরুত্ব নেই

এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরে বা পাশ করার পরে। ভোট দিয়ে কী লাভ, তা নিয়ে তখনও হয়তো তার মনে কোনও নির্দিষ্ট ধারণা থাকে না। সে হয়তো এমনও ভাবে যে, আমি একা ভোট না দিলে কী এমন হবে! বিশদ

11th  May, 2024
একটা দিন থাক না, ক্ষতি কী?
 

মাদার্স ডে গুরুত্বপূর্ণ? মতামত জানালেন নৃত্যশিল্পী তনুশ্রী শংকর ও তাঁর কন্যা অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শংকর। লিখছেন কমলিনী চক্রবর্তী
  বিশদ

11th  May, 2024
বাচ্চার মোবাইল নির্ভরতা দূর করবেন কীভাবে?
 

আপনার শিশুর মোবাইল নির্ভরতা কি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে? বারণ করলেই কান্নাকাটি, রাগারাগি। এদিকে এই আসক্তির ফলে মনোযোগের দফারফা। কী করবেন?বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

04th  May, 2024
র‌্যাগিং থেকে  বাঁচতে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং এড়িয়ে চলা ক্রমশ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। র‌্যাগিং-এর শিকার হলে কী করবেন? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

04th  May, 2024
ইউপিএসসি সফল বাংলার দুই কন্যে

সর্বভারতীয় এই পরীক্ষার চূড়ান্ত তালিকায় নাম তোলা চাট্টিখানি কথা নয়। সম্প্রতি প্রকাশিত সেই তালিকায় নাম তুলেছেন ব্রততী দত্ত ও অনুষ্কা সরকার। কীভাবে সফল হলেন? সেই কথাই শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

04th  May, 2024
মহিলাদের গৃহশ্রমের কোনও কদর নেই

আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বরাবরই অবহেলিত এবং বঞ্চিত। ঘরে ও বাইরে তাঁদের অবদান খুব কম লোকই স্বীকার করতে চান। একজন গৃহবধূ তাঁর সারাটা জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রান্না করেন, ঘর গোছান বিশদ

27th  April, 2024
একনজরে
তাপপ্রবাহে বেহাল দশা দেশের একাধিক শহরের। স্বস্তি পেতে পর্যটকদের গন্তব্য শৈলশহর। ভিড় সামলাতে পরিচিত গন্তব্যের পাশাপাশি নতুন পর্যটনস্থল বেছে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে কেন্দ্র। এই উদ্যোগের পোশাকি নাম ‘কুল সার্মাস অব ইন্ডিয়া।’ ...

ঘাটালের দু’বারের সাংসদ দেবের (দীপক অধিকারী) এবারের প্রতিপক্ষ আর এক অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ...

পরিত্যক্ত কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে মৃত্যু হল দুই চা শ্রমিকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও এক চা শ্রমিক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের কমলা চা ...

টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলছেন, রাহুল দ্রাবিড়ের চেয়ারে এমন কেউ বসুন, যাঁর ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। এই মন্তব্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোনও ভারতীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় উন্নতি ও লাভ বৃদ্ধির যোগ। সাহিত্যচর্চা/ বন্ধু সঙ্গে আনন্দ। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস
১৩৬০ - ফ্রান্সের একদল নাবিক এবং নৌ অভিযাত্রী গিনি উপসাগর আবিষ্কার করেন
১৭৫১: বাংলায় মুদ্রিত প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থের রচয়িতা হ্যালহেডের জন্ম
১৮৮৬: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম
১৮৮৯: হেলিকপ্টারের উদ্ভাবক রুশ-মার্কিন বিজ্ঞানী ইগর সিকোরস্কির জন্ম
১৯০৬: বিখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের জন্ম
১৯২৪: শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস-চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪১: ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ ও সমাজকর্মী গুরুসদয় দত্তের মৃত্যু
১৯৭২: পরিচালক করণ জোহরের জন্ম
১৯৮৯: গর্বাচভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম প্রশাসনিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন
২০০৫: অভিনেতা সুনীল দত্তের মৃত্যু
২০০৯: পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আইলা আঘাত করে
২০১৮: শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া ৩৫/৫ রাত্রি ৬/৫৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১১/১২ গতে ১/২১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১২/০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
১১ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪। দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৬/৪২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৭/৪৬ মধ্যে ও ১১/১৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৪/৩৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৩ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গুজরাতের রাজকোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

09:05:11 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে গাড়ি দুর্ঘটনা, ৪ জনের মৃত্যু, জখম ৩

08:13:53 PM

দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকলের ২৬টি ইঞ্জিন

08:10:49 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (ষষ্ঠ দফা): বিকাল ৫টা পর্যন্ত দেশে কত শতাংশ ভোট পড়ল
আজ, শনিবার লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট। এই দফায় দেশের ...বিশদ

07:38:07 PM

২০২৪-এ আরও বেশি ভোটে হারাব: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:32:00 PM

বজবজের জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

07:31:00 PM