কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
তাঁর বয়সি যুবতীরা গয়না নিয়ে হয়তো সেভাবে মাথা ঘামান না। তবে অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রের গয়না পরতে বেশ ভালোই লাগে। তিনি বললেন, ‘আমাদের প্রজন্মের অনেকেই বলে যে গয়না পছন্দ করি না। কিন্তু আমার এ ধরনের অ্যাক্সেসরিজ ভালো লাগে। সেটা সোনা হতে পারে বা রুপো। রুপোর গয়না একটু বেশি পছন্দ করি।’ ভারী না হাল্কা, কোন ধরনের গয়না বেশি টানে তাঁকে? ‘সেটা নির্ভর করে আমি কী ধরনের পোশাক পরছি, তার উপরে। শাড়ি বা সালোয়ার দেখে সিলভার বা গোল্ড— কোন ধরনের গয়না পরব সেটা ঠিক করি। তবে সোনার গয়নার ক্ষেত্রে বলব পুরনো দিনের গয়নার নকশা আমার অসাধারণ লাগে। গত বছর ধনতেরসে নিজের জন্য একটা বালা কিনেছিলাম। সোনার গয়নায় আমি দেখি ট্র্যাডিশনাল ডিজাইন। যেমনটা ঠাকুরমা-দিদিমারা পরতেন বা তাঁদেরও আগের প্রজন্ম।’
পারিবারিক গয়না নিয়ে তাহলে মুগ্ধতা নিশ্চয়ই কাজ করে? সৌরসেনীর কথায়, ‘হ্যাঁ তা তো করেই। তবে ওগুলো পরার মতো সাহস এখনও হয়নি!’ নিজের বিয়েতে পরবেন ওই গয়না? ‘বিয়ে নিয়ে এখন একেবারেই ভাবছি না। সত্যি বলতে কী, ওই গয়নাগুলো নিয়েও সেভাবে কিছু ভাবিইনি। ওগুলো এতটাই হৃদয়ের কাছের...। ওগুলো পরার সঠিক সময় আসেনি। ওই যে বললাম সাহসটাই হয়নি। এটা তখনই হবে যখন মা নিজে সেই গয়না আমায় পরিয়ে দেবেন!’ পারিবারিক গয়নার সঙ্গে তো অনেকরকম গল্পও তো জড়িয়ে থাকে? ‘একেবারেই। মায়ের যেমন একটা গয়না আছে, সেটা দেখে মা বলেন, বিয়ের সময় মায়ের জেঠিমা ওটা দিয়েছিলেন। বা দিদার বিয়ের সময় বাড়ি থেকে কী গয়না দেওয়া হয়েছিল, তার আবার আর একটা গল্প। তাই গয়না শুধু গয়না নয়। অনেকটা আবেগ ঘিরে থাকে এর সঙ্গে। আমার মনে হয় গয়না ভীষণ ব্যক্তিগত একটা বিষয়।’
এই শ্যুটে ‘গহেনে জুয়েলারি’ ব্র্যান্ডের গয়নায় সেজেছেন সৌরসেনী। কেমন লেগেছে এই গয়না? ‘অসাধারণ লেগেছে। আমি খুব ইমপালসিভ বায়ার। হুট করে কিনে ফেলি। আবার আমি শপাহোলিক এরকমও নয়! এই গয়না ইচ্ছে হলে কিনতেও পারি।’
গয়নার নকশার মধ্যে কোনটা বেশি ভালো লাগে? ‘দক্ষিণ ভারতীয় নকশায় টেম্পল জুয়েলারি বেশি পছন্দ। আর সেই সোনাই ভালো লাগে যাতে একটা অ্যান্টিক ছোঁয়া থাকে। টেম্পল জুয়েলারিতে সেটা থাকে। চকচকে সোনা নয়, আমার পছন্দ ম্যাট ফিনিশ গয়না। সোনা ছাড়া হীরেও খুব ভালোবাসি।’
সৌরসেনী যে গয়না পরেছেন, তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে গহেনে ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা অনির্বাণ সেন বললেন, ‘আমাদের এই গয়না সাবেকি নকশা আর প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি। অতীতের সোনার গয়নাতেও প্রকৃতির ছাপ থাকত। যেমন গোলাপ, জুঁই, সূর্যমুখী ফুল, লতাপাতা, ময়ূর টিয়াপাখি ইত্যাদি। এগুলো মেয়েরা পছন্দও করতেন। এই শ্যুটেও ব্যবহার হয়েছে গোলাপবালা নকশা। রুপো দিয়ে তৈরি এইসব গয়নায় রাখা হয়েছে পুরো সোনার মতো ফিনিশ। অনেকেরই শখ থাকে, কিন্তু এমন সাবেকি গয়না কেনা সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এই গয়না যাতে ক্রেতারা নিতে পারেন, সেইমতো মূল্য রাখা হয়েছে। এইরকম গয়নায় লাল মুক্তো, মীনে, নবরত্ন পাথর, গোলাপ লতাপাতা ইত্যাদি দিয়ে এগুলোকে সাবেকি করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। এবং মানুষ সেটা বেশ পছন্দ করছেন।’
৯২.৫ সিলভারের উপর এই গয়নাগুলো তৈরি করে তাঁরা যে পলিসি রাখছেন, তাতে গয়না এক্সচেঞ্জ করার সুবিধাও থাকছে, জানালেন অনির্বাণ। পালিশেও গ্যারান্টি থাকছে। দেশি ক্রেতার পাশাপাশি এগুলো পছন্দ করছেন প্রবাসী বাঙালি ক্রেতারাও। কারণ তাঁদের কাছে এর মাহাত্ম্যই আলাদা, বললেন তিনি। বাংলার ঐতিহ্য অনুসরণ তো বটেই, সঙ্গে সঙ্গে এই ব্র্যান্ড পাখির চোখ করছে অবাঙালি ক্রেতাদেরও। তাই গহেনে-র সংগ্রহে আছে টেম্পল জুয়েলারি। এছাড়া অবাঙালিরা যে ধরনের নকশা পছন্দ করেন, রাখা হচ্ছে সেসবও। আবার অনেক অবাঙালি ক্রেতা বাংলার গয়নার নকশা পছন্দ করছেন, এমনও আছে। যেমন মকরমুখী বালা। খুবই চাহিদা এটির। রুপোতে বানানো এই বালায় সোনার পালিশে দেখতেও দারুণ।
> মেকআপ: অভিজিৎ পাল> হেয়ার: গিনি হালদার > স্টাইলিং: অনুপম চট্টোপাধ্যায়
> জুয়েলারি: গহেনে জুয়েলারি,
> যোগাযোগ: ৮০১৭২৪৪২৯৯ > গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
> শাড়ি: লেবেল সৌরভ দাস,
> যোগাযোগ: ৯৬১৮৭৮৫৬১৭ > ছবি: শিলাদিত্য দত্ত, বিপ্রদীপ চক্রবর্তী