Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর। ওয়ার্কার্স পার্টি এমন অবস্থায় একটা পরীক্ষা শুরু করল। তারা সিদ্ধান্ত নিল, পুরসভার ঠান্ডা ঘরে বসে বাজেট হবে না। রাস্তায় নামতে হবে। পোর্তো আলেগ্রেকে তারা কয়েকটা ছোট ছোট এলাকায় ভেঙে ফেলল। নির্দিষ্ট একটা পয়েন্ট ঠিক করা হল। এলাকার সাধারণ মানুষ সেখানে আসবে, তাদের প্রয়োজনের কথা জানাবে, আর তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে এলাকার জন্য বাজেট। মানুষের প্রয়োজন মানুষের থেকেই সরাসরি জেনে নিয়ে সরকার ঠিক করবে, কোন খাতে, কোন পরিষেবায় টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ, নাগরিককে আর সরকারের দরজায় গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হবে না। পরিষেবা আসবে মানুষের কাছে। মানুষের দরজায়। পোর্তো আলেগ্রেতে এই ব্যবস্থার নাম কী ছিল, জানা নেই। কিন্তু আমাদের এই বাংলায় এমন পরিষেবার নাম? দুয়ারে সরকার।
সদ্য একপ্রস্থ ভোট শেষ হল। আড়াই মাসের মহাযজ্ঞ, কর্মহীনতা, সরকারি কাজকর্ম বন্ধ, রাজনীতির নামে কাদা ছোড়াছুড়ি, সংখ্যার লড়াই... এসব এখন ভারতের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা আবার মারাত্মক রাজনীতি সচেতন। সেনায় কাজ করবে বলে ছেলেটা চার বছর ধরে নিজেকে তৈরি করার পর অগ্নিবীর নামক এক প্রহসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, সে নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। মেয়েটা বিয়ে হয়ে উত্তরপ্রদেশের ছোট একটা শহরে গিয়েছে। আর গিয়েই দেখেছে, এলাকার লোকজন বাড়ি এসে ঠিক করে দিচ্ছে, সে কী খাবে, আর কী খাবে না। এটাও আমাদের আলোচ্য বিষয়বস্তু নয়। আমাদের আড্ডা বা বৈঠকের অভিমুখ কী? ভোট এবং ভোটের ইস্যু। পরিষেবা নয়। শ্রেণি বা সমাজের বাস্তবিক উন্নতি নয়। অথচ সেটাই একজন সুনাগরিকের হওয়া উচিত। দল বা রাজনীতির দাঁড়িপাল্লায় না তুলে শুধু পরিষেবাকে মাপকাঠি ধরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারেকাছে পা ফেলা মুশকিল। তারপরও তাহলে বিজেপি কীভাবে ১২টি আসন বাংলায় জিতল? 
বাঁকুড়ার ছাতনায় মুদি দোকান চালান শ্যামল সেনাপতি। ভোটের আগে ওই এলাকায় গিয়ে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। আলোচনা যে বাঁকেই নিয়ে যাওয়া হোক না কেন, অবস্থান থেকে তিনি কিছুতেই নড়েন না। তাঁর কথায়, ‘এটা তো মোদির ভোট।’ অর্থাৎ, তাঁর মতো সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনাও এবার একদিকে বয়েছে—নরেন্দ্র মোদি। মোদির হার-জিতটাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কী বলা যায় একে? বিজেপির সাফল্য? এর উপর ভর করেই কি ১২টি আসন লাভ? আসলে দু’টি অঙ্ক এখানে কাজ করেছে। প্রথমত, বহু মানুষই প্রধান বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারেনি। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকারে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা মজবুত হবে, সে নিয়ে সংশয় ছিল অনেকের। তার কারণ, কয়েকটি রাজ্যে জোট শরিকরাই নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। অর্থাৎ, মতবিরোধ ছিল। তার উপর বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান, সেই ছবিটাও মোদির বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অনেক ভোটার। তাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া সত্ত্বেও বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে পুরোপুরি ধস নামেনি। আর বহু চেষ্টা সত্ত্বেও কংগ্রেস ১০০ পেরতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, আরএসএস। সংসদীয় রাজনীতিতে তাদের অস্ত্র ভারতীয় জনতা পার্টি নামক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে যতই মতবিরোধ থাকুক না কেন, ভোটের সময় ফিল্ড ওয়ার্কটা তারাই করে থাকে। অন্তত যে কেন্দ্রগুলিতে সঙ্ঘের পছন্দের প্রার্থী টিকিট পেয়েছে, সেই সব আসনে তো বটেই। বাংলার বেশ কয়েকটি জেলার ঘরে ঘরে গিয়ে সঙ্ঘের ‘সেবক’রা বুঝিয়েছেন, রাজ্য সরকারের থেকে পরিষেবা তো আপনাদের প্রাপ্য! কিন্তু তাতে কি কাজ মিলেছে? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা পেলে নেবেন না কেন? ওটা আপনার অধিকার। কিন্তু কাজটাও আপনার প্রাপ্য। মানুষ শুনেছে, অনেকেই বুঝেছে, অনেকে তাতে ভেসে গিয়েছে। তারা প্রশ্ন করেনি, একই বিষয় তো কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ১০ বছরে তারা আমাদের জন্য কিছু করেনি কেন? 
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মোদির ভোট এবং সঙ্ঘের উদ্যোগ সত্ত্বেও কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রায় সব আসনে বিজেপির দাপট কমেছে। বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবার প্রভাব। তা সে চা-বাগান হোক বা আদিবাসী এলাকা—উত্তরবঙ্গের ছ’টি আসন কিন্তু হেলায় জেতেনি বিজেপি। উপরন্তু দক্ষিণের যে আসনগুলিতে তারা জয় পেয়েছে, সেই সবেও তাদের জোর লড়াই হয়েছে মমতার পরিষেবার সঙ্গে। বেশ কয়েকটি আসনে কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ওই কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন যদি আরও মজবুত হতো, কিংবা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফ্যাক্টর হয়ে না দাঁড়াত, গেরুয়া ব্রিগেডের আট পেরনো মুশকিল ছিল। তাহলে একে মোদির সাফল্য বলব? নাকি ব্যর্থতা? লোকসভা তো মোদির ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব আসন পেলেও একক গরিষ্ঠ হতে পারতেন না। জোটের উপরই আস্থা রাখতে হতো। অন্যদিকে একটি করে আসনে জয় মানে মোদির আরও একটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। তার মানে একটা বিষয় স্পষ্ট, বাংলাতেও দিনের শেষে ‘মোদির ভোট’ ব্যাখ্যাটা কাজে আসেনি। আজ ফল বেরনোর পর মরিয়া হয়ে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। তার মধ্যে প্রধান হল, বিধানসভা আসনের নিরিখে ৮৮টিতে জয় পেয়েছে তারা। আর শহর তথা পুর এলাকায় তৃণমূলের লিড প্রায় সর্বত্র কমেছে। এই উদ্বাহু প্রচারের কারণ কী? ৮৮ বিধানসভা আসন সামনে খাড়া করেও তো বাংলায় নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া যাবে না। আবার এই একই অঙ্কে তৃণমূলের ১৯৪ আসন প্রাপ্তির গরিমাও কিন্তু ক্ষুণ্ণ হবে না। তাহলে হঠাৎ কেন এই মরিয়া চেষ্টা। উত্তর একটাই—২০২৬। 
আর দু’বছরের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এর মাঝে আরও একটি মাইলস্টোন গেরুয়া শিবিরের জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। তাই চব্বিশের ভোটে বিজেপির জিতে সরকারে ফেরাটা আরএসএসের জন্য খুব দরকারি ছিল। ২৪০’এ নরেন্দ্র মোদির থমকে যাওয়াটা কিন্তু সঙ্ঘের জন্য শাপে বরই হয়েছে। এই ফলাফলে সবার আগে অপমৃত্যু ঘটেছে ব্যক্তিসর্বস্ব হয়ে ওঠা বিজেপির। এবং আরএসএস ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। ১০০ বছর ধরে বেশ কিছু এজেন্ডা মনের মধ্যে পুষে রেখেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্ন, তেমনই আছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। বিজেপি সরকারে থাকলেও সেই প্রশাসনে যদি সঙ্ঘের প্রখর ভূমিকা না থাকে, এমন এজেন্ডা কখনও সফল হবে না। পথ মসৃণ করেছে ২৪০। নতুন সরকার গঠনের পর কয়েকটি সিদ্ধান্তে নজর করা যাক—১) জনকল্যাণমূলক যাবতীয় মন্ত্রক তুলে দেওয়া হয়েছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের হাতে। যেমন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য, পরিবহণ। ২) মোহন ভাগবত থেকে ইন্দ্রেশ কুমার, সঙ্ঘের প্রথম সারির সব নেতা খড়্গহস্ত হয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদির ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কারের বিরুদ্ধে। ৩) দলীয় সংগঠনের ব্যাপারে সরাসরি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অনেক হয়েছে... এবার সঙ্ঘই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সোজা কথায়, তৃতীয়বার এনডিএ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে আরএসএস। আর এই নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রে নয়, রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হচ্ছে। বাংলায় রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের বিদায় সময়ের অপেক্ষা। তাঁকে দু’টি রাষ্ট্রমন্ত্রক দিয়ে মোটামুটি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পাকা হয়ে গিয়েছে। সুকান্তবাবুর জায়গায় এবার এমন কাউকে সঙ্ঘ চাইছে, যিনি সরাসরি নাগপুর হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে তালমেল রেখে চলবেন। আবার একটু দাপুটেও হবেন। এই নিয়োগের কাজটি কাগজে কলমে করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। অর্থাৎ এই মুহূর্তে জে পি নাড্ডা যে পোস্টে আছেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে নাড্ডার বদলিও আসন্ন। দেখার বিষয় হল, নাড্ডার জায়গায় এবার কে বসতে চলেছেন। কারণ, তাঁর দাপট অনুযায়ী অন্য রাজ্যগুলির সংগঠনও নিয়ন্ত্রিত হবে। আর সেখানে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির কোনও ইয়েস ম্যানকে চাইছে না সঙ্ঘ। পাশাপাশি বাংলায় সাধারণ সম্পাদক পদে যাঁকে বসানো হবে, তিনি তাঁর টিম নিজের মতো তৈরি করে নেবেন। অর্থাৎ সহ সভাপতি, জেলা, মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র, বুথ এবং অন্যান্যদের নাম প্রস্তাব করবেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে বদল কিন্তু সভাপতি করতে পারবেন না। এখানেই আর একবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে সঙ্ঘ। দিল্লির দরবারে যা শোনা যাচ্ছে, এই পদের অধুনা অধিকারী অমিতাভ চক্রবর্তীকেও অন্য রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে সরিয়ে দেবেন মোহন ভাগবত। তাঁর জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল জল্পনা চলছে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার—বিরোধী দলনেতা এবং সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) মিলিজুলি ভেঙে দেওয়ার দিকেই এগচ্ছে আরএসএস। পরিষদীয় দলের নেতাকে বলা হচ্ছে, তুমি তোমার কাজ নিয়ে থাকো। সংগঠনের ব্যাপারে তোমাকে মাথা গলাতে হবে না। পাশাপাশি প্রার্থী ঠিক করার ব্যাপারেও তোমার ডানা ছেঁটে দেওয়া হচ্ছে। ওই সবটাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সঙ্ঘ ঠিক করবে। ফলে বঙ্গ বিজেপিতে যে তিনটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছিল, ২০২৬ ভোটের আগে সেটা উপড়ে ফেলতে চাইছে সঙ্ঘ। সেক্ষেত্রে বাংলার আসন্ন বিধানসভা ভোটেও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির অটোমেটিক চয়েজ বলে কেউ থাকবে না। আরএসএস জানে, বাংলার গেরুয়াকরণের স্বপ্ন সফল করতে গেলে পায়ের নীচে শক্ত মাটি চাই। সেটা সংগঠনের। দলবদলুদের অ্যাম্বিশনের ডানায় চেপে শুধু ভরাডুবিই সম্ভব, মানুষের মনে জায়গা করা নয়।
ও হ্যাঁ, বলা হয়নি যে, পোর্তো আলেগ্রেতে ১৫ বছরের মধ্যে বড়সড় বদল এসে গিয়েছিল। কেমন সেই বদল? বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, দেড় দশকের মধ্যে ওখানে নিরক্ষরের সংখ্যা শূন্য, ৯৮ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল, ৮৭ শতাংশ বাড়িতে নিকাশি ব্যবস্থা। সাফল্যের কৃতিত্ব? শুধুমাত্র দুয়ারে সরকারের। ব্রাজিল দেখিয়েছিল, পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছলে ভোট চাইতে ধর্ম, হিংসা, রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু সেটাই প্রমাণ করেছেন। তাই ২৬ সালের দিকে নজর বিজেপির থাকতেই পারে, ভোটটা কিন্তু মোদির হবে না। ২০২৬ দিদির ভোট।
18th  June, 2024
বঙ্গ সাংসদরা হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনুন সংসদে
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় রাজনীতি, উন্নত পার্লামেন্টারিয়ান এবং ভারত নির্মাণের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার আগে এবং পরে এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছিল বাঙালির শক্তিশালী উপস্থিতি। আর ঠিক এই তিন ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে বাঙালি বিচ্ছিন্ন। বিশদ

সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

27th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
২৬ জুন, বুধবার ছিল আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মহকুমা পুলিস ও প্রশাসনের তরফে যথাযথভাবে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু মাদকের নেশায় আসক্ত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে ...

ব্যস্ত রাস্তায় মোমো বিক্রেতার গলায় ছুরির কোপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি জেলার এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় ফেলে রিঙ্কু নামক ওই মোমো বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর করছে একজন। ...

জয় দিয়ে কলকাতা লিগ অভিযান শুরু করল ডায়মন্ডহারবার এফসি। বৃহস্পতিবার বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-১ গোলে হারাল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। ...

পেট্রাপোল সীমান্তে ৩৮ লক্ষ টাকার সোনার পেস্ট বাজেয়াপ্ত করল বিএসএফ। সেই সঙ্গে ভারতে সোনা পাচারের অভিযোগে একজন বাংলাদেশি পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, ধৃতের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৫৭ - দারা শিকোহ অনূদিত ‘শিক-ই আকবর’ প্রকাশিত হয়
১৭৫৭ - মীর জাফর নবাব হন এবং রবার্ট ক্লাইভ বেঙ্গলের গভর্নর নিযুক্ত হন
১৮২০ - প্রমাণিত হয় যে টমেটো বিষাক্ত নয়
১৮৩৮ - ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেক ঘটে
১৮৩৯ - পাঞ্জাব কেশরীর রাজা মহারাজা রণজিৎ সিংয়ের মৃত্যু
১৯২১- ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের জন্ম
১৯৪০- নোবেলজয়ী বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের জন্ম
১৯৭১- টেসলা ও এক্স (টুইটার) কর্তা এলন মাস্কের জন্ম
১৯৭২- বিজ্ঞানী ও পরিসংখ্যানবিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের মৃত্যু
১৯৭৩- বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী বিশাল দাদলানির জন্ম
১৯৭৬ - আমেরিকার বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেট অন্তর্ভুক্ত হয়
১৯৭৮ - পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়
১৯৯৬ - বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী নীলিমা সেনের মৃত্যু
২০০৬ - পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত সমাজ সেবিকা ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ও রাজ্যসভার সদস্যা ফুলরেণু গুহর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৪ টাকা ১০৭.৩০ টাকা
ইউরো ৮৭.৮০ টাকা ৯০.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪। সপ্তমী ২৮/৪৩ দিবা ৪/২৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ১৩/০ দিবা ১০/১১। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৩০, সূর্যাস্ত ৬/২১/১। অমৃতযোগ দিবা ১২/৬ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ গতে ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১০/১৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ১১/৪০ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/০ গতে ১০/২০ মধ্যে।  
১৩ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪। সপ্তমী সন্ধ্যা ৬/৪। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ১২/২০। সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/২৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ১১/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/২ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২১ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এবার ট্রেনে বোমাতঙ্ক!
বিমানের পর এবার ট্রেনে বোমাতঙ্ক ! কলকাতাগামী জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে ...বিশদ

07:21:33 PM

৮৮ বছর জুনে এত বৃষ্টি রাজধানী দিল্লিতে
দিনভর প্রবল বৃষ্টি রাজধানী দিল্লিতে। কয়েক মাস ধরে চলা প্রবল ...বিশদ

07:00:43 PM

আগামী বছর মাধ্যমিক কবে, জানুন
আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী ...বিশদ

06:44:58 PM

মোবাইল চোর সন্দেহে খাস কলকাতায় গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের
গণপিটুনির ঘটনা এবার খাস কলকাতা শহরে! মোবাইল চোর সন্দেহে  বউবাজারের ...বিশদ

06:38:10 PM

মহিলা টেস্টে দ্রুততম দ্বিতশতরানের নজির শেফালি বর্মার
স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে জুটি বেঁধে মহিলা ক্রিকেট ইতিহাসে ওপেনিং জুটিতে ...বিশদ

05:14:35 PM

মহিলা ক্রিকেটে ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙে নজির স্মৃতি-শেফালির
২০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে নজির স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি ...বিশদ

04:04:03 PM