কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিন পুরভবনে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে মেয়র ছাড়াও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, এসজেডিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অভিজিৎ সিভালগে সহ পুরসভার আধিকারিকরা ছিলেন। বৈঠকের পর মেয়র বলেন, শহরের ট্রাফিক সমস্যা, এসএফ রোড ও নিবেদিতা রোড সম্প্রসারণ, ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শহরের রাস্তায় নতুন করে কোনও হকার বসতে দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই শহরের রাস্তার ধরে ধরে দখলমুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, ২০১৮ সালের নির্দেশ অনুসারে প্রায় ছ’মাস আগে শহরে প্রস্তাবিত ‘ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোন’ চিহ্নিত করা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিস, প্রশাসন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুসারে গত ডিসেম্বর মাসে কাউন্সিলার ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোনের’ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় নন ভেন্ডিং জোনের সংখ্যা ৫৮টি। এমন জোন শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বাধিক, আটটি। সেগুলির মধ্যে ঋষি অরবিন্দ রোড, নজরুল সরণি, রাজা রামমোহন রায় রোড, তিলক রোড, মহকুমা পরিষদের সামনের অংশ, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের ১০ ও ১১ নম্বর গেট, স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের সামনের অংশ প্রভৃতি।
এরবাইরে শিলিগুড়ি জংশন মোড়, মহকুমা শাসকের অফিসের বিপরীতে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজ পর্যন্ত, গুরুনানক চক, মহাত্মা গান্ধী মোড়, ঝঙ্কার মোড়, পানিট্যাঙ্কি মোড় প্রভৃতি নন ভেন্ডিং জোনের মধ্যে রয়েছে। আর ভেন্ডিং জোনের প্রস্তাব এসেছে ৭৮টি। ভেন্ডিং জোন প্রায় সব ওয়ার্ডেই রয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নন ভেন্ডিং এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোন নেই। প্রস্তাবিত সেই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। নাগরিকদের একাংশ এনিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁরা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পুরসভার একাংশ অবশ্য জানিয়েছে, রাজ্য সরকার এতদিন নির্দেশ না দেওয়ায় সেই জোনগুলি কার্যকরী করা হয়নি। তবে শহরের রাস্তা, ফুটপাত, নিকাশি নালা থেকে দখলমুক্ত করা হচ্ছে। এজন্য ধারাবাহিক অভিযানে নামা হয়েছে। এদিনও শেঠশ্রীলাল মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। মেয়র বলেন, ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোনের ওই তালিকা ‘আপডেট’ করা হবে। এজন্য সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের এসওপি অনুসারে হকারদের ব্যবসার ব্যবস্থা করা হবে।