কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
মালদহ সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, শহরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ গবাদি পশু উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি ষাঁড় শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। সেগুলিকে পশু খামারে কীভাবে পাঠানো যায় তা দেখা হচ্ছে।
শহরের বাসিন্দা অশোক দাস, মায়া সরকার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পোস্ট অফিস মোড় হয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুটি বিশালাকার ষাঁড় শিং উঁচিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। মুহুর্তে পশু দুটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিছুতেই তাদের বাগে আনা যাচ্ছিল না। ওই চত্বরে থাকা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে লাঠি নিয়ে ষাঁড় দুটিকে দু’দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শহরে ‘তোলাবাজ’ ভোলাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা চলেছিল। ভোলা নামে এক প্রকাণ্ড ষাঁড় শহরের ফুটপাতে থাকা খাবারের দোকানে হানা দিত। খাবার না দিলে সে দোকানে হামলা চালাতে উদ্যত হত। কখনও আবার দোকানের সামনে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের ভয় দেখাত। ফলে সুষ্ঠু বেচাকেনার তাগিদে ব্যবসায়ীরা ভোলাকে শুরুতেই খাবার দিয়ে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করত। বিষয়টি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তখন প্রশাসন এব্যাপারে সক্রিয় হয়। শহরের রাস্তাঘাটে গোরু-বাছুরের অবাধ বিচরণ নিয়েও প্রশাসনিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। ওইসময় ইংলিশবাজার পুরসভায় প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন সদর মহকুমা শাসক। তিনি এব্যাপারে পদক্ষেপ করেন। গবাদি পশুকে ধরে খামার বা খাটালে চালান করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ছেড়ে রাখা গবাদি পশুর মালিকদের জরিমানা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে বিষয়টি বিশবাঁও জলে চলে যায়। তারফলে বর্তমানে শহরের রাস্তাঘাট, সেতু, উড়ালপুলে গবাদি পশুর দৌরাত্ম্য সমানে চলছে।