Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পূর্বসূরিদের কলঙ্ক মুছতে প্রয়াসী বিজেপি
সন্দীপন বিশ্বাস

বেলাগাম হয়ে ছুটছে মূল্যবৃদ্ধির অশ্বমেধের ঘোড়া। মানুষকে দলিত করে, আহত করে সে ছুটছে আপন খেয়ালে। তাকে রোখার ক্ষমতা নেই রাজাধিরাজের। হিন্দুরাজ্যের স্বপ্ন দেখানোর ভোজবাজিটুকুই তাঁর একমাত্র সম্বল। তাই অর্থনৈতিক এক ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে তোড়জোড় চলছে স্বাধীনতার অমৃতকাল মহোৎসব পালনের। 
ইতিহাসের নিরিখে সত্যিই আমরা এক মহাসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই পালিত হবে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ। এখন থেকেই চারিদিকে তার উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আনন্দের মধ্যেও যেন লেগে রয়েছে কিছুটা মালিন্য। তার কারণ, এখন যারা দেশের সরকারে, যাদের নেতৃত্বে এই স্বাধীনতার অমৃতকাল পালিত হচ্ছে, দুর্ভাগ্যের বিষয় তাদের পূর্বসূরি হিন্দু মহাসভা, আরএসএস কোনওদিন স্বাধীনতার মহান লড়াইয়ের অংশীদার ছিল না। আজ যে মানুষটি ভারতীয়দের নয়নের মণি, সেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে একদিন কংগ্রেস, কমিউনিস্ট এবং হিন্দুত্ববাদী শক্তি বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আজ অনেকেই নিজেদের বিপ্লবী বানিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের ভুয়ো গল্প ফেঁদে বসেছে। নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে কল্পকথা লেখা হচ্ছে। স্বাধীনতাকালে নিজেদের কলঙ্ক মুছে সঙ্ঘ পরিবারের অনুগতদের দিয়ে নতুন ইতিহাস লেখানো হচ্ছে! লেখা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবারের ‘উজ্জ্বল’ ভূমিকার কথা। সম্প্রতি এনিয়ে গাদা গাদা বই বেরচ্ছে। সেখানে থাকছে শুধুই হিন্দুত্ববাদী শক্তির জয়জয়কার। 
পিছন থেকে একদিন যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনকে ভণ্ডুল করে ইংরেজ বাহাদুরদের অনুগ্রহ লাভ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই আজ প্রথম সারিতে এসে বসেছেন। তাঁদের মূর্তিতে মালা দিয়ে ইতিহাসকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবারের কেউ কেউ। অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ঠিক হল, স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের অবদানকে বড় করে তুলে ধরতে হবে। সব কলঙ্ক মুছতে তখন থেকেই শুরু হল ইতিহাস বুননের অন্য ধারা। এতদিন কংগ্রেস তার আন্দোলনকে তুলে ধরে দেখিয়েছে এদেশে স্বাধীনতা এনেছে তারাই। তার পাল্টা তরজা শুরু করেছিল আরএসএস। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেই তরজা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে মোদিজির অনুপ্রেরণায় এরকম প্রচুর ইতিহাসের বই লেখা হয়েছে, যেখানে সাভারকর, হেডগেওয়ার, হোলওয়ালকর, শ্যামাপ্রসাদ, নাথুরামরা আন্দোলনের পুরোভাগে ঠাঁই পেয়েছেন। এসবের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছেন সূর্য সেন, সত্যেন বোস, কানাই দত্ত, ভগৎ সিং, বসন্ত বিশ্বাস, অনন্তহরি মিত্ররা। এইসব বিরুদ্ধ শক্তিকে নেতাজি ভালো করেই চিনতেন। তিনি জানতেন, এই দেশে থাকলে তাঁর পক্ষে স্বাধীনতার লড়াই করা কঠিন। এমনকী অশুভ শক্তিরা তাঁকে বিপ্লবের পথ থেকে সরিয়েও দিতে পারে। তাই তিনি বিদেশ থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন চালাতে প্রয়াসী হন। তা সত্ত্বেও অপপ্রচার এবং ভুয়ো সংবাদ ছড়িয়ে তাঁর অন্তর্ধান রহস্যকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠা করার কুনাট্য জারি ছিল। ইংরেজদের সঙ্গে গোপনে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কেউই নেতাজিকে সহ্য করতে পারতেন না। কারণ নেতাজি জানতেন, কংগ্রেসের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইংরেজকে সহজে তাড়ানো যাবে না আর হিন্দুত্ববাদী শক্তি এবং মুসলিম লিগ ব্রিটিশদের হাতে তামাক খাচ্ছে। সাভারকরের বক্তৃতা প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক কাগজে লেখা হল, সাম্প্রদায়িক বিভেদকে বড় করে তুলে ধরে হিন্দু মহাসভা ভারতের জাতীয়তাবাদী ধারণার অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছে। 
তাই হিন্দুত্ববাদী নেতারা নেতাজিকে সহ্য করতে পারতেন না। সাভারকার বলেছিলেন, হিন্দুত্বের উত্থানের জন্য ব্রিটিশ শক্তিকে ব্যবহার করা দরকার। ব্রিটিশদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য হিন্দুদের দলে দলে ব্রিটিশ বাহিনীতে যোগদান করা জরুরি। বিশেষ করে বাংলা এবং অসম থেকে। 
কেন তিনি এমন কথা বললেন? কাদের বিরুদ্ধে লড়বে সেই ব্রিটিশ শক্তি? সবাই জানেন, নেতাজির আইএনএ’র বিরুদ্ধে। ভারত স্বাধীন করার যে প্রচেষ্টা লড়াই ও আত্মত্যাগ নেতাজি করছিলেন, তাকে সেদিন সাভারকররা দমিত করার চেষ্টা করেছিলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যাঁরা সশস্ত্র সংগ্রাম করতেন, সাভারকর তাঁদের ঘৃণা করতেন। তিনি বলেছিলেন, যে সশস্ত্র প্রতিরোধ ইংরেজদের বিব্রত করতে পারে, তেমন কোনও প্রতিরোধের সঙ্গে হিন্দু মহাসভা নিজেদের জড়াবে না। অথচ আজ সঙ্ঘ পরিবার সব ভুলিয়ে দিয়ে নেতাজি প্রেমে মেতে উঠতে চাইছে। এ যুগে তারাই এসেছে ভক্ত সাজি। 
১৯০৯ সালের ১ জুলাই মদনলাল ধিংড়ার গুলিতে প্রাণ গেল ইংরেজ কার্জন উইলির। ধিংড়াকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলেন দামোদর সাভারকর। ধিংড়া ধরা পড়ার পর সাভারকরেরও হয়তো ভয় ছিল তদন্তে ধিংড়ার সঙ্গে তাঁর যোগ ফাঁস হয়ে যেতে পারে। সাভারকর অবশ্য ধরা পড়ে যান অন্য কেসে। সাভারকরের ভাই গণেশ সাভারকরকে আন্দামানে দ্বীপান্তরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার বদলা নিতে ১৯০৯ সালের ২১ ডিসেম্বর খুন হন নাসিকের কালেক্টর জ্যাকসন সাহেব। তদন্তে দেখা যায়, সেই খুনে যে অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি লন্ডন থেকে পঠিয়েছিলেন সাভারকর। ধরা পড়ার ভয়ে সাভারকার প্যারিসে গিয়ে আত্মগোপন করলেন। দু’মাস পরে লন্ডনে ফিরে এসে ধরা পড়ে গেলেন। তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচার হল। পাঠানো হল সেলুলার জেলে। সেখানে বিপ্লবীদের উপর অমানুষিক অত্যাচার হতো। সেই অত্যাচার সহ্য করা সাভারকরের ধাতে ছিল না। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই তাঁকে সেলুলারে পাঠানো হয় এবং ৩০ আগস্টের মধ্যে তিনি মার্সি পিটিশন দাখিল করেন। তা বাতিল হয়ে যায়। বারবার বাতিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি আবেদন করেই যাচ্ছিলেন। বাংলার আর এক বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীকে সেই সময় সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। তাঁর লেখা থেকেই জানা যায়, দুই সাভারকর ভাই-ই ব্রিটিশদের অনুগত হয়ে থাকার চেষ্টা করতেন। বন্দিদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করার প্রতিবাদে যখন জেলে বিপ্লবীরা আন্দোলন করেন, তখনও দুই ভাই সেই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখে নাকি ইংরেজদের খুশি করার চেষ্টা করেছিলেন। জেলে সাভারকরের ভূমিকা নিয়ে আমরা অনেক কথা ত্রৈলোক্যনাথের লেখা থেকে জানতে পারি। ‘জেলে ভালো আচরণের জন্য’ ছাড়া পেয়ে গেলেন সাভারকর ভাইরা। বিনায়ক সাভারকর ছাড়া পেলেন ১৯২৪-এর ৫ জানুয়ারি। এই পর্যন্ত একরকম ছিল। কিন্তু সাভারকরের বিপ্লবী মানসিকতা জেল থেকে বের হওয়ার পর একেবারে বদলে গেল। যেন পুরো মগজ ধোলাই হল তাঁর। বিপ্লবের ময়দান থেকে তিনি বিদায় নিলেন এবং তাঁর একমাত্র কাজ হল ভারতকে ব্রিটিশ শক্তির আশীর্বাদপুষ্ট করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের এককাট্টা করা। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের নীতিতে ব্রিটিশরা এভাবেই সাভারকরকে ব্যবহার করেছিলেন। তাঁরই অন্যতম শিষ্য হয়ে উঠেছিলেন নাথুরাম গডসে।   
পাশাপাশি দেখি, ১৯৪০ সালে মৃত্যুর আগে আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেডগেওয়ার বললেন, তিনি আজ স্বপ্ন দেখছেন এক হিন্দুরাষ্ট্রের। সেদিন তিনি কিন্তু স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা বলেননি। 
তাঁরই শিষ্য এম এস গোলওয়ালকর বললেন, শোনো হিন্দু ভাইরা, ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই 
করে তোমরা তোমাদের এনার্জি নষ্ট কোরো না। ওটা জমিয়ে রাখতে হবে। কেননা আমাদের লড়াই করতে হবে অভ্যন্তরীণ শত্রু মুসলিম, খ্রিস্টান এবং কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে।
আসলে ব্রিটিশদের দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতেই এবং তাদেরই অনুপ্রেরণায় জন্ম হয়েছিল হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগের। গান্ধীজি যখন ’৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দিলেন, তখন সেই আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করার কথা জানিয়ে ইংরেজদের চিঠি লিখলেন শ্যামাপ্রসাদ সহ হিন্দুত্ববাদী নেতারা। যখন দেশে স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গাইছেন বিপ্লবীরা, তখন হেডগেওয়ার, গোলওয়ালকররা দেশের হিন্দুদের বলছেন, খবরদার, ওসব আবেগে জড়িও না। আমাদের মূল লক্ষ্য হল ইংরেজদের সাহায্য ও অনুপ্রেরণায় হিন্দুরাজ্য প্রতিষ্ঠা। 
স্বাধীনতার অমৃতকালে সেই সব বিষাক্ত মন্তব্যের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। মনে রাখতে হবে, আজ বিজেপি যেভাবে নেতাজি ভজনায় নেমেছে, তার মধ্যে সত্যতা আদৌ কতটা আছে। বরং সত্যকে চাপা দেওয়ার সে এক করুণ প্রয়াস। নেতাজির বিশাল মূর্তি স্থাপন করলেও সেই পাপস্খালন সম্ভব নয়। ইতিহাস মুছে ফেলার এই নির্লজ্জতাকে স্বীকৃতি দেওয়া মানেই, ‘এ আমার এ তোমার পাপ।’ সুতরাং এ অমৃতপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা, দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা।
10th  August, 2022
স্বাধীনতার মহোৎসব ও মানুষের প্রাপ্তি
হিমাংশু সিংহ

শুধু পতাকার পবিত্র রঙে ঘরবাড়ি সৌধকে সাজিয়ে তুলেই কি দায়িত্ব শেষ? আমাদের সংবিধান প্রণেতারা যে দুর্নীতিমুক্ত, সব সম্প্রদায় ও বিশ্বাসের মানুষের আস্থা জিতে মিলনতীর্থ ভারতবর্ষ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা কি বাস্তবায়িত হচ্ছে?  বিশদ

জাতীয় স্বার্থই প্রাধান্য পাওয়া উচিত
মোহনরাও ভাগবত

‘স্বাধীনতার  অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের এই শুভক্ষণ আমরা অনেক ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে অর্জন করেছি। ভারতকে তার গৌরবের শিখরে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একইভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। এই শুভক্ষণে আমাদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত যে, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য যদি স্বনির্ভরতা অর্জন করা হয়, তবে আজ ৭৫ বছর পর, ভারত কি সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হতে পেরেছে!  
বিশদ

বিহারে পালাবদলে
আসল নায়ক তেজস্বীই
তন্ময় মল্লিক

এই নিয়ে আট আটবার মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সিতে। তারজন্য কখনও কংগ্রেসের, কখনও আরজেডির, কখনও আবার বিজেপির কাঁধে ভর করেছেন। গদির জন্য নীতি বিসর্জন দিয়েছেন বারবার। ডিগবাজি পলিটিক্সে তাঁর সমগোত্রীয় বলতে একমাত্র মুলায়ম সিং যাদব। বিশদ

13th  August, 2022
ভারতবর্ষের গণতন্ত্র এবং
সরকারি সাম্প্রদায়িকতা
হুমায়ুন কবীর

গত জুলাইতে লন্ডনের কিংস কলেজে ভারতীয় ছাত্র এবং অ্যালামনি ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ৭৫’ নামে এক লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ‘গণতন্ত্র এবং উন্নয়নে’র উপর ভাষণ প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন উন্নয়নের লক্ষ্যে শক্তিশালী নেতা, আরও প্রগতিশীল সরকার এবং উন্মুক্ত গণতন্ত্রের নিদান দেন। বিশদ

13th  August, 2022
গরিষ্ঠতা নিয়ে নার্ভাস
বরং নরেন্দ্র মোদিই

সমৃদ্ধ দত্ত

শুধু কংগ্রেসমুক্ত ভারত নির্মাণ করাই যে যথেষ্ট নয়, সেটা মোদি এবং অমিত শাহ বুঝেছেন। কারণ, রাজ্যে রাজ্যে একঝাঁক আঞ্চলিক দল রয়েছে, যাঁদের শক্তি অনেক বেশিই রয়ে যাচ্ছে। তাই আঞ্চলিক দলগুলিকে ধ্বংস করতে উদ্যত বিজেপি। ফর্মুলাটি হল, প্রথমে তাদের সঙ্গে জোট করে বন্ধুত্ব পাতানো। তারপর ধীরে ধীরে তাদের ভোটব্যাঙ্কে  ভাগ বসানো। বিশদ

12th  August, 2022
তাইওয়ান নিয়ে সংঘাতের পিছনে চিপযুদ্ধ
মৃণালকান্তি দাস

ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে বেজিংয়ের লড়াই সেই ১৯৮৯ সাল থেকেই। পেলোসি যেমন বরাবরই চীনের ঘোর সমালোচক, তেমনই আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকারকে ‘অসত্য ও বিভ্রান্তিপূর্ণ তথ্যে ভরপুর’ বলে মনে করে বেজিংও।
বিশদ

11th  August, 2022
ধন্যি রাজনৈতিক অধ্যাবসায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শ্রদ্ধেয় নীতীশবাবু, রাষ্ট্রপতি আর উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সৌজন্যে বিরোধী জোট রাজনীতির উনুনটা কেমন যেন নিবু নিবু হয়ে পড়েছিল। আচমকা আপনি তাতে জোরদার একটা ফুঁ মেরেছেন।
বিশদ

09th  August, 2022
আমি যে বক্তব্য
রাখতে পারতাম
পি চিদম্বরম

এই বিতর্ক কয়েকদিন আগে হওয়া উচিত ছিল। বিধি ২৬৭-র অধীনে আলোচনা এবং অন্যকোনও নিয়মের মধ্যে ‘বাস্তবিক’ পার্থক্য বুঝতে আমি ব্যর্থ হয়েছি। সরকার একগুঁয়ে, জনগণ এজন্য তার হামবড়া ভাবকে দায়ী করে।
বিশদ

08th  August, 2022
সোনিয়া গান্ধী কি গ্রেপ্তার হবেন?
হিমাংশু সিংহ

পরতে পরতে নাটক দেখছে দেশের জনগণ। যার স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে সাততারা দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের ঝাঁ চকচকে অফিসের কনফারেন্স রুমে। তারই প্রতিফলন আজ দিল্লির রাজপথ থেকে রাজ্যে রাজ্যে অলিগলি তস্য গলিতে। মঞ্চস্থ নাটকের নাম ‘বিরোধী ধরো জেল ভরো’। বিশদ

07th  August, 2022
ভয় থেকেই কি সিআইডি তদন্তে বাধা
তন্ময় মল্লিক

‘এমন সুযোগ আর আসবে না কোনো দিন/ বাছবাছাই না করে হাতের কাছে যা পাস/ তাই দিয়ে পোঁটলাপুঁটলি বেঁধে নে হুট করে।/ বেরিয়ে পড়,/দেরি করলেই পস্তাতে হবে/’ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘উদ্বাস্তু’ কবিতার ভূষণ পাল এভাবেই গোটা পরিবারটাকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশদ

06th  August, 2022
মাননীয় অর্থমন্ত্রী, মূল্যবৃদ্ধি কাকে বলে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মূল্যবৃদ্ধিকে ঠিক কেমন দেখতে? জিডিপির মতো? পেট্রল ডিজেলের দামের মতো? ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মতো? ডলার ও টাকার বিনিময় মূল্যের মতো? আমদানি রপ্তানি শুল্কের কঠিন অঙ্কের মতো? রেপো রেটের মতো? কেমন হয় মূল্যবৃদ্ধি? সরকার কী বলে আমাদের? বিশদ

05th  August, 2022
বিজেপি কি ধোয়া তুলসী পাতা!
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর কর্ণাটকের স্টেট কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে যে কোনও নির্মাণকাজ শুরু করতে গেলে আগে টেন্ডারের মূল্যের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিতে হয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিল ক্লিয়ার করার জন্য উপরি ৫ শতাংশ।
বিশদ

04th  August, 2022
একনজরে
শনিবার ঝাড়গ্রাম থানার রঘুনাথপুর লক্ষ্মীপল্লি এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে একটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়।  পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত শীলের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ...

আশঙ্কাজনক সলমন রুশদি ভেন্টিলেশনে। শনিবার তাঁর এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি ইমেল বার্তায় লিখেছেন, ‘খবর ভালো নয়। সম্ভবত একটি চোখ হারাতে হবে সলমনকে। হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গিয়েছে। ছুরি বিঁধে তাঁর লিভার ক্ষতিগ্রস্ত।’ তিনি এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। ...

নয়াদিল্লি: মাঝ আকাশে বিমানে পাখির ধাক্কা। গত কয়েক মাসে এহেন ঘটনায় একাধিক বার জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমান। এবার সেই সমস্যা রুখতে নড়েচড়ে বসল ডিজিসিএ। শনিবার  এ ব্যাপারে   নির্দেশিকা জারি করেছে বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। ...

দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। তার আগে জিম্বাবোয়ে সফরে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো মহতারকাদের পাশাপাশি কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৩৭ - মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার
১৮২৫ - অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও গবেষণার পর বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মাইকেল ফ্যারাড অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন
১৮৮৫ - জাপান জং প্রতিরোধক রং প্যাটেন্ট করে
১৯৪৭- পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস
১৯৪৮- শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলনে ডন ব্র্যাডম্যান
১৯৫৬- জার্মা নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখটের মৃত্যু
১৯৫৭ – বিশিষ্ট বলিউড অভিনেতা জনি লিভারের জন্ম
১৯৬১ – বিশিষ্ট অভিনেতা মণিষ বহলের জন্ম
১৯৬২ - পাকিস্তানি ক্রিকেটার রমিজ রাজার জন্ম
১৯৮৩ - জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সুনিধি চৌহানের জন্ম
২০১১- অভিনেতা শাম্মি কাপুরের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৭.৮৪ টাকা ৮১.৩৭ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৮০ টাকা ৯৯.৪১ টাকা
ইউরো ৮০.২১ টাকা ৮৪.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
13th  August, 2022
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫০,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫১,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৯,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৯,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ শ্রাবণ, ১৪২৯, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২। তৃতীয়া ৪৩/১৯ রাত্রি ১০/৩৬। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪১/৩৮ রাত্রি ৯/৫৬। সূর্যোদয় ৫/১৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৭ গতে ৯/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৬ গতে ৯/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ৩/৩ মধ্যে। বারবেলা ১০/৫ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
২৮ শ্রাবণ, ১৪২৯, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২।  তৃতীয়া রাত্রি ২/৮। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ২/১৫। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৬/৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/১২ গতে ৯/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১২ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ১/৪১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৬ গতে ৭/২২ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৪ মধ্যে। বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/২৯ মধ্যে।
১৫ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, এখানে ওসব চলবে না: মমতা

07:26:30 PM

বিজেপি নেতারা, মীরজাফররা শুধু হুমকি দিচ্ছে: মমতা

07:18:32 PM

আমাদের অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছে, ওদের ডেকে পাঠিয়েছে: মমতা

07:10:56 PM

কেউ ভয় পাবেন না, এদের বিচার হবে জনতার আদালতে: মমতা

07:04:20 PM

২০২৪-এ মোদি জিতবে না, তাই ওরা খেলা শুরু করেছে: মমতা

06:57:18 PM

পরশুদিন কেষ্টকে কেন গ্রেপ্তার করেছেন, ও কী করেছে: মমতা

06:57:08 PM