Bartaman Patrika
সম্পাদকীয়
 

ইতিহাস সাক্ষী

‘জীবনে যারে তুমি দাওনি মালা, মরণে কেন তারে দিতে এলে ফুল।’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আবেগমথিত শোকজ্ঞাপন দেখে যদি এই জনপ্রিয় বাংলা গানটির প্রথম দু’কলি মনে পড়ে যায় তা কি খুব দোষের হবে? যে কোনও মৃত্যুতেই শোকপ্রকাশ এক চিরায়ত শিষ্টাচার। মৃত্যু শত্রুতার দেওয়াল ভাঙে, এ কথাও অজানা নয়। সেই হিসেবে নরেন্দ্র মোদি যা বলেছেন, তা হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাঁর ব্যক্তিত্ব, কাজকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, কটাক্ষ আর সমালোচনায় অহরহ বিদ্ধ করেছেন, যাঁর সাড়া জাগানো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে বাতিল অথবা সংশোধন করে ইতিহাসের পাতা থেকে ‘মনমোহন-জমানা’ মুছে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন সেই উত্তরসূরি মোদির আজকের মূল্যায়নকে ‘মেকি’ মনে হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? কারণ একজন যোগ্যকে প্রকৃত সম্মান দেখাতে হলে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি যা করেছেন এবং করে চলেছেন তার বিচার করবে ইতিহাস। প্রয়াত মনমোহন সিং কোনও পেশাদার রাজনীতিবিদ ছিলেন না। কিন্তু অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় পাণ্ডিত্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি যেভাবে প্রথমে অর্থমন্ত্রী, পরে প্রধানমন্ত্রী পদের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়েছেন, তাকে কুর্নিশ করতে ভুলছে না গোটা বিশ্ব। ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এসেছে ১৯৪৭ সালে। আর অনেকের মতে, ১৯৯১ সালে মনমোহনের হাত ধরে এসেছে দেশের আর্থিক স্বাধীনতা। নেহরু-ইন্দিরা জমানার কিছু পুরনো ধ্যানধারণা বদলে আর্থিক সংস্কারের যে পথ দেখিয়েছিলেন তিনি, তাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি দোর্দণ্ডপ্রতাপ মোদিও। অথচ এই মৃদুভাষী, সজ্জন, পণ্ডিত ও দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মানুষটিকে শুনতে হয়েছে ‘গান্ধী পরিবারের রাবার স্ট্যাম্প’, ‘মৌনী বাবা’র কটাক্ষ! মোদিবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ‘নীতিপঙ্গুত্বের’ অভিযোগও তুলেছে বারবার। আর স্বয়ং মোদি! ইউপিএ-২ আমলে দুর্নীতির অভিযোগের কথা বলতে গিয়ে লোকসভায় দাঁড়িয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘রেনকোট পরে বাথরুমে কীভাবে স্নান করতে হয়, সেটা ডক্টর সিংয়ের কাছে শেখার’। সেই তিনিই এখন প্রয়াত মনমোহনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের বিকাশ ও প্রগতিতে তাঁর অবদান চিরকালীন। আম জনতা ও দেশের বিকাশে তাঁর আত্মত্যাগ প্রেরণার যোগ্য।’ এটা বোধোদয় নাকি দ্বিচারিতা! 
প্রাক্তনের মৃত্যু দেশের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করে তাঁর অবদান অনুকরণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান। অথচ দশ বছরের শাসনকালে তিনি নিজেই মনমোহনের উল্টোপথে হেঁটেছেন! প্রাক্তনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিল, ১০০ দিন নিশ্চিত কাজের প্রকল্প (মনরেগা)। বর্তমান সেই প্রকল্পের বাজেট নির্মমভাবে ছাঁটাই করেছেন। এখন আর কেউ গড়ে ৫০ দিনের বেশি কাজ পায় না। কাজ করেও ঠিকমতো মজুরি পায় না। নিজের সরকারের ‘স্বচ্ছতা’র স্বাক্ষর রাখতে তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করা মনমোহনের আর এক যুগান্তকারী অবদান। মোদি জমানায় সেই আইন সংশোধন করে শর্ত চাপানো হয়েছে। একইভাবে ইউপিএ আমলে চালু হওয়া জমি অধিগ্রহণ আইন, অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা আইন, শিক্ষার অধিকার আইন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, মজুরি আইন সংশোধন করে দিয়েছে মোদি সরকার। আর অর্থনীতি? মনমোহনের জমানায় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬-৭ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। আর এখন মোদি জমানায় তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। এই জমানায় মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অন্যদিকে, আদিবাসীদের অধিকার দিতে মনমোহন সরকার যে বনাঞ্চল আইন তৈরি করেছিল, মোদি জমানায় তা সংশোধন করে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আবার কোভিডকালে মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগানের বিষয়ে মনমোহনের দেওয়া সদুপদেশও মানেনি মোদি সরকার। যে দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় এসেছেন মোদি, তার প্রায় কোনওটাই এখনও প্রমাণিত নয়। দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে প্রাক্তনের দৃঢ় অবস্থান গোটা বিশ্বের সমীহ আদায় করেছিল। আর এখন? ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দবন্ধটি সংবিধান থেকে বাদ দিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এখন দেশে উগ্র-হিন্দুত্ববাদীদের ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ ও সংখ্যালঘু বিদ্বেষের প্রচার দিকে দিকে ধিকৃত হচ্ছে। ‘নির্বিকার’ মোদি অবশ্য গোটা বিশ্বের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এখন প্রাক্তনের জয়গানই করে গেলেন! 
কিন্তু মৃত্যুতেও কি মনমোহনকে যথাযোগ্য সম্মান দিল মোদি সরকার? এদেশের ঐতিহ্য ও চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় রাজঘাটে। সাধারণত সেখানেই গড়ে ওঠে রাষ্ট্রনায়কদের নামে স্মৃতিসৌধ। অথচ সেই ঐতিহ্য ও রীতিকে উপেক্ষা করে খোদ মোদি সরকারের নির্দেশে ও তত্ত্বাবধানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল লালকেল্লার পিছনে নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে। এ নিয়ে মনমোহনের পরিবার ও তাঁর দল আপত্তি তুললেও কর্ণপাত করেনি মোদির সরকার। ক্ষতে প্রলেপ দিতে দিল্লিতেই মনমোহনের নামে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরির সরকারি ঘোষণা হলেও সেটা কবে, কোথায় হবে— তা পরিষ্কার নয়। ফলে বিদায়বেলাতেও সৌজন্যের জায়গা নিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ইতিমধ্যে ভারতের সুসন্তান মনমোহনকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার দাবি উঠেছে। মোদির সরকার সেটা মানবে কি না, সেটাই দেখার।
29th  December, 2024
দায়িত্বশীল উত্তরণ

অপরাধের সঙ্গে মানব সভ্যতার সম্পর্কটি ওতপ্রোত। ‘অপরাধ’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল—‘crime’।  এই ‘crime’ কথাটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি শব্দ ‘crimne’ থেকে। সেটির সূত্র আবার ল্যাটিন শব্দ ‘crimen’।  
বিশদ

গেম চেঞ্জার

শুরুর সময় থেকে কটাক্ষ-শ্লেষ কম শুনতে হয়নি। কেউ বলেছে, এ হল ‘ভিক্ষা দানে’র প্রকল্প। কেউ প্রশ্ন তুলেছিল, এটা কি দারিদ্র্য-নিবারক ভাতা, না গৃহশ্রমের মজুরি? অনেকের মত ছিল, এটা প্রাপ্য নয়, উৎকোচ। অনেক তাত্ত্বিক আবার বলেছিলেন, এই টাকা দেওয়ার চেয়ে পরিবারের বেকার ছেলেটার একটা চাকরি হলে মা বেশি খুশি বিশদ

12th  January, 2025
জনকল্যাণের নামে প্রহসন

সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্নে ভারতের হাল অত্যন্ত খারাপ। ১৫তম বার্ষিক মার্সার সিএফএ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল পেনশন ইনডেক্স (এমসিজিপিআই) অনুসারে, ২০২৩ সালে ৪৭টি দেশের মধ্যে ভারতের র‍্যাঙ্ক ছিল ৪৫। আমাদের জন্য ওই র‍্যাঙ্ক ৪৪টি দেশের মধ্যে ৪১ ছিল ২০২২ সালে। বিশদ

10th  January, 2025
ফের মহাজনি ফাঁদে ছোট শিল্প?

ভারতে বৃহৎ শিল্পের প্রসারে সবচেয়ে বড় বাধা পুঁজি। আজকের বৃহৎ শিল্প অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা শিল্পে যত পুঁজির প্রয়োজন কর্মসংস্থান সেই অনুপাতে হয় না। ভারত হল সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ। বিশদ

09th  January, 2025
স্বাস্থ্যে কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ

নতুন বছরের প্রথম সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব জারি করেছেন একটি উল্লেখযোগ্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি। তাতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে কোনও সরকারি ডাক্তার তাঁর কর্মস্থল থেকে ২০ কিমি দূরত্বের বাইরে গিয়ে আর প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। বিশদ

08th  January, 2025
‘ফকিরের’ কেরামতি!

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দশ বছর নরেন্দ্র মোদিকে দেখে ও তাঁর কথাবার্তা শুনে দেশবাসী একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। তা হল, তিনি যা বলেন, আসল সত্যটি অনেক সময়েই ঠিক তার উল্টো। নিজের সম্পর্কে একবার তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তো ফকির (গরিব) মানুষ। বিশদ

07th  January, 2025
গণপরিবহণে গতিবৃদ্ধি

লাল সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ বাংলার মানুষ ‘পরিবর্তন’ চেয়েছিল। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন ২০১১ সালে। তাঁর সেই আন্তরিক উদ্যোগে শুধু এক জগদ্দল প্রশাসনই সরেনি, বাস্তবিক পরিবর্তনও এসেছে নানা ক্ষেত্রে।
বিশদ

06th  January, 2025
দায় স্বীকার করুন

কোনও সরকার-বিরোধী দল নয়, তথ্য দিয়েছেন স্বয়ং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪-এর বর্ষশেষের দিন অশান্ত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং নতজানু ভঙ্গিতে জানান, ২০২৩-এর মে থেকে হিংসায় রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০ জন। মামলা নথিভুক্ত হয়েছে ১২,২৪৭টি। বিশদ

05th  January, 2025
বিপদ সঙ্কেত

গত আগস্টে বাংলাদেশে পালাবদলের পরেই আশঙ্কার মেঘ জমেছিল। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে ভারতে অনুপ্রবেশের বিষয়টি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের বেশিরভাগই হয়তো নিরপরাধ সাধারণ মানুষ, যাঁরা পড়শি রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হিন্দু হওয়ার কারণে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে ঢুকে পড়ছেন ‘নিরাপদ’ আশ্রয়ের খোঁজে। বিশদ

04th  January, 2025
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে জয়ধ্বনি

বোধোদয় দেরিতে হলেও মন্দ নয়। দেশের প্রধান শাসক দল বিজেপি এবং একাধিক বিরোধী দলের বিলম্বিত বোধোদয় তাই প্রশংসার দাবি রাখে। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলার মহিলাদের জন্য চালু করেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। বিশদ

03rd  January, 2025
‘মৃত্যু’ ব্যবসায়ী

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘ভেজাল’ শিরোনামের কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভেজাল, ভেজাল ভেজাল রে ভাই, ভেজাল সারা দেশটায়/ ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিস মিলবে নাকো চেষ্টায়!’ কবিতাটির শেষদিকে কবি তাঁর এই উপলব্ধির কথাও জানিয়েছেন যে, ‘খাঁটি জিনিস’-এর প্রত্যাশা বৃথাই। বিশদ

02nd  January, 2025
এগিয়ে বাংলার মেয়ে

তাঁদের শারীরিক ও মানসিক সীমাবদ্ধতার দোহাই পেড়ে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মেয়েদের কাজ-কর্তব্যের সামনে একটি গণ্ডি এঁকে দেওয়া হয়। তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে ভারত। অথচ এই ভারতেই দেবী দুর্গাকে দশপ্রহরণধারিণী ও মহিষাসুরমর্দিনী সাজিয়ে আরাধনা করা হয়, বঙ্গদেশের সর্ববৃহৎ উৎসব পালিত হয় তাঁকেই ঘিরে। বিশদ

01st  January, 2025
নিছকই ঢক্কানিনাদ!

ধাপ্পা এক: ‘ক’-বাবুর পরিবারে চারজন লোক। মাসিক আয় এক লক্ষ টাকা। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় ২৫ হাজার টাকা। ‘খ’-বাবুর দু’জনের পরিবারের আয় মাসে ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাথাপিছু আয় ৩৫ হাজার টাকা। মোট টাকার অঙ্কে ‘ক’-বাবুর পরিবারের আয় ‘খ’ বাবুর পরিবারের থেকে বেশি। বিশদ

31st  December, 2024
মমতার বিকল্প শিল্পভাবনা

মানুষ একটা মুখের সঙ্গে দুটো হাতও নিয়ে জন্মায়। হাত দুটো কাজ এবং উপার্জন করার জন্য। হাতে কাজ করলেই নিজের মুখের গ্রাস জোগাড় করতে পারে মানুষ। এরপর উদ্বৃত্ত অর্থ-সম্পদ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে। উদ্বৃত্তের কিছুটা বণ্টনও করে দিতে পারে দুর্বল মানুষের মধ্যে।
বিশদ

30th  December, 2024
যোগসাজশ!

এ যেন টাট্টু ঘোড়া! নির্বাচনী বন্ড হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে একথা বলেছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরকলা প্রভাকর (অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী)। পর্দা ফাঁসের সময় দেখা যায়, মোট অনুদানের প্রায় অর্ধেক অর্থ একাই পেয়ে বসে আছে নরেন্দ্র মোদির দল। বিশদ

28th  December, 2024
ক্ষুধার্তের সামনে খাদ্য নষ্ট!

শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির হার যেসব দেশে তাদেরই অন্যতম ভারত। অপুষ্টির শিকার সর্বাধিক সংখ্যক শিশু রয়েছে ভারতেই। ৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ১৭ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ৩৬ শতাংশের বৃদ্ধি ঠিকমতো হয়নি। বিশদ

27th  December, 2024
একনজরে
মহারাষ্ট্রের নাসিকে কাজ করতে গিয়ে ট্রাক্টর চাপা পড়ে মৃত্যু হল হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নাসিকে। ...

শিলিগুড়ি শহরে গড়ে উঠেছে মাদকের একাধিক গোডাউন। বার, পাব, রেস্তোরাঁয় যাওয়া যুব সমাজের হাতে মাদক পৌঁছে দিতে শহরের বুকেই তা মজুত করে রাখা হচ্ছে। ...

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ নিশ্চিত করল ভারতের মহিলা দল। প্রথম ম্যাচে জয়ের পর রবিবার রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ১১৬ রানে উড়িয়ে ...

বিকল্প রাস্তা বলতে প্রায় ২৭ কিমি ঘুরপথ। তাই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সুবিধার্থে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আট বছর আগে নদীর উপরে কজওয়ে তৈরি করা হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক উত্তেজনার বশে ঘরে বাইরে বিবাদে জড়িয়ে অপদস্থ হতে পারেন। হস্তশিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৯- প্রথম বাহাদুর শাহ হায়দ্রাবাদ দখল করেন
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ শুরু হয়
১৮৫৯- কলকাতার মোহনবাগান ক্লাবের প্রথম সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ বসুর জন্ম
১৮৮৮- ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোস্যাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৯- বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক নলিনীকান্ত গুপ্তর জন্ম
১৯১৯- ভারতীয়দের মধ্যে স্যার সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ সর্বপ্রথম ‘লর্ড’ উপাধিতে ভূষিত হয়ে পার্লামেন্ট মহাসভায় আসন লাভ করেন
১৯২৬- চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক শক্তি সামন্তর জন্ম 
১৯৩৮-  কবি লেখক এবং শিক্ষাবিদ  নবনীতা দেবসেনের জন্ম
১৯৩৮- বিশিষ্ট সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার জন্ম
১৯৪৯- ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার জন্ম
১৯৫৭- সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্ম
১৯৬৯- অ্যালবাম ‘ইয়েলো সাবমেরিন’ প্রকাশ করল বিট্লস
১৯৭৪- আমেরিকার ডালাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর চালু হয়
১৯৮৩– অভিনেতা ইমরান খানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

২৯ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা ৫৩/৫৫, রাত্রি ৩/৫৭। আর্দ্রা নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/২৩/৬, সূর্যাস্ত ৫/৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১৪ গতে ১১/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ১১/১৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে, পুনঃ ২/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। 
২৮ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫। পূর্ণিমা শেষরাত্রি ৪/৩। আর্দ্রা নক্ষত্র দিবা ১১/০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ১১/২৪ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ২/২৭ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৭ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। 
১২ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে ইস্কন মন্দিরে চলছে লহরির অনুষ্ঠান

11:25:48 PM

আইএসএল: ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জিতল কেরল

10:44:41 PM

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই জাপানে জারি সুনামি সতর্কতা

09:53:00 PM

পোঙ্গাল উপলক্ষে কোয়েম্বাটুরের বাজারে ক্রেতাদের ভিড়, ব্যাপক চাহিদা গুড়ের

09:39:00 PM

আইএসএল: কেরল ৩-ওড়িশা ২ (৯০+৫ মিনিট)

09:31:00 PM

দিল্লির সীলামপুরে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী

09:21:00 PM