নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে, ‘ভোকাল ফর লোকাল’। অর্থাৎ দেশীয় পণ্য কেনার জন্য সরব হতে বলা হচ্ছে। কিন্তু দেশীয় পণ্য বিক্রি বা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছু সমস্যা পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের। সর্বভারতীয় বণিকসভা অ্যাসোচেম আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এমনটাই অভিযোগ করলেন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। তিনি বলেন, পণ্য উৎপাদন বা তার বিক্রি করতে গেলে এখনও এদেশে ২৮টি লাইসেন্সের দরকার হয়। এর বেশিরভাগেরই কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না। স্বাধীনতার আগে থেকেই একাধিক লাইসেন্স প্রথা চলে আসছে, যার আজ কোনও গুরুত্ব নেই। মানুষ ব্যবসা করবেন, নাকি এই লাইসেন্সে মন দেবেন? লাইসেন্স প্রথা সরিয়ে যদি ব্যবসার পথ সহজ না করা হয়, তাহলে সমস্যা থেকেই যাবে। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ১৩০ কোটির ভারতে সাত কোটি ট্রেডার রয়েছেন। তাঁরাই এখানকার ব্যবসার মূল লাইফলাইন। দেশীয় পণ্য বিক্রির ওপর সরকার যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, তাতে এই ট্রেডার বা ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককেই তার ব্র্যান্ড অ্যম্বাসাডর বা বিপণন দূত করা যেতে পারে। তাহলে দেশীয় পণ্যের বিক্রির ক্ষেত্রে এর থেকে ভালো প্রচার আর কিছু হতে পারে না।
অ্যাসোচেম এফএমসিজি ব্র্যান্ড প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনিল রাজপুত বলেন, করোনা সংক্রমণ মানুষের ব্যবহারিক জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। শপিংমলগুলি ও বড় মার্কেটগুলি বন্ধ থাকায় মানুষ বাধ্য হয়েছেন পাড়ার দোকান থেকে জিনিস কিনতে। খুচরো দোকানগুলিও মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাড়িতে গিয়ে পণ্য বিক্রি করে এসেছে। ক্রেতারা তাতে খুশি হয়েছেন। আসলে পণ্যের ব্যাপারে ক্রেতা বা গ্রাহকের মনোভাবের বদল হওয়া জরুরি। যত বেশি করে তাঁরা দেশীয় জিনিসের উপরে গুরুত্ব দেবেন, তত বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারত পরিকল্পনা সফল হবে।