ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
এদিন কলকাতায় বুলিয়ান বাজারে ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দর পৌঁছয় ৪৫ হাজার ৮০ টাকায়। অথচ তার আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দর ছিল ৪৩ হাজার ৮৩০ টাকা। সোনা কিনতে গেলে ক্রেতাকে তিন শতাংশ হারে জিএসটি মেটাতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই শুক্রবারের দর ৪৬ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। এদিন গয়নার জন্য ২২ ক্যারেটের সোনার দর ছিল ১০ গ্রাম পিছু ৪২ হাজার ৭৭০ টাকা টাকা। হলমার্কযুক্ত গয়নার সোনার দর ঘোষিত হয় ৪৩ হাজার ৪১০ টাকা। এই সব দরের উপরই তিন শতাংশ জিএসটি যোগ করে ক্রেতাকে সোনা কিনতে হয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই গোটা বিশ্বে আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো নয়। আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ এবং আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে তুমুল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হওয়ায় সব দেশেই বারবার ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। ভারতও তার বাইরে বেরতে পারেনি। এই সমস্যার সঙ্গে বিষফোঁড়ার মতো সামনে এসেছে করোনা ভাইরাস। সেই আতঙ্ক ভীষণভাবে পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর। ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের ঝুঁকি ছেড়ে মন দিয়েছেন সোনা কেনায়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। টাকার দামের পতনের কারণেও সোনা কিনতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে ভারতকে। তার জেরেও হু হু করে চড়ছে সোনার দর। আর তাতেই দফারফা সোনার গয়নার বাজারের। শুক্রবারও টাকার দামের পতন অব্যাহত ছিল। এদিন মার্কিন ডলার পিছু টাকার মূল্য দাঁড়ায় ৭৩ টাকা ৯৯ পয়সা। এদিন সকালে শেয়ার বাজার খোলার সময় সূচকের পতন হতে থাকে হু হু করে। বিএসই’র সূচক সেনসেক্স ১ হাজার ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সকালেই।
এখন লগনসা চলছে। তবুও কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই মুখ থুবড়ে পড়েছে সোনার ব্যবসা। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বাবলু দে বলেন, এর অন্যতম কারণ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপ করা উৎপাদন শুল্ক। এমনিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়ছে। তার উপর ১২.৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে ভারতে যখন সোনা আসছে, তা আরও মহার্ঘ হয়ে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসা হারাচ্ছি।