পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই ছাংতেদের হারিয়ে লিগ- শিল্ড জেতে মোহন বাগান। বাষট্টি হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্ম আছড়ে পড়ে টর্পেডোর মতো। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতা বলে, এমন ম্যাচে গনগনে সমথর্ন বড় ফ্যাক্টর। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার পাশাপাশি বাড়তি উদ্বুদ্ধ করবে কামিংসদের। পালতোলা নৌকার প্রতিটা ফুটবলার যেন তেল খাওয়া মেশিন। মনবীর, লিস্টনদের উচিত শুরু থেকেই বিপক্ষ উইং ব্যাকদের আক্রমণ করা। আসলে এই দুই উইং হাফ হাবাসের সম্পদ। ইনসাইড, আউটসাইড ডজ ছাড়াও কোমরে ঝাঁকুনি রয়েছে। এক্ষত্রে মেহতাব সিং আর রাহুল ভেকের অ্যাসিড টেস্ট। আগের ম্যাচে মেহতাবকে জমি ধরিয়ে লক্ষভেদ করে লিস্টন। তার উপর আকাশ মিশ্র না থাকায় কিছুটা অনভ্যস্ত লেফট ব্যাকের জায়গায় ওকে খেলাচ্ছেন পিটার ক্র্যাটকি। হাবাস নিশ্চয়ই বামপ্রান্ত দিয়ে ঝড় তুলতে চাইবেন। পাশাপাশি কার্ড সমস্যায় বক্স টু বক্স মিডিও ফন নিফকে পাবে না মুম্বই। এতে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে জনি কাউকোরা। দিমিত্রি ও কাউকো মিডফিল্ড করিডর দখলে রাখতে পারলে অ্যাডভান্টেজ মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ মাঝমাঠ জমাট করে ছোট ছোট পাসে খেলতে অভ্যস্ত। টাফ ট্যাকলার দীপক টাংরিকে দিয়ে ছন্দ নষ্ট করতে চাইবেন সবুজ-মেরুন সারথি।
মোহন বাগানের আক্রমণভাগ আইএসএলের অন্যতম সেরা। পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে ২৬ গোল হজম করেছে রক্ষণ, যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বিশেষ করে লেফট উইং ব্যাক শুভাশিসের ফর্ম চিন্তার কারণ। ওভারল্যাপে গেলে সঠিক সময়ে ট্র্যাক ব্যাক করতেই হবে। ওই জায়গা ছাংতের মুক্তাঞ্চল। মুম্বইয়ের গেম চেঞ্জার এই ভারতীয় ফুটবলার। শুভাশিসের উচিত, ফাইনাল ট্যাকল না করে হোল্ড করানো। এতে বাকিরা রক্ষণ গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। এখন থেকেই প্ল্যান সাজাক মোহন বাগান অধিনায়ক। ছাংতের সঙ্গে পেরেরা ডিয়াজের কম্বিনেশন বেশ বিপজ্জনক। বিষয়টা নিশ্চয়ই আন্তোনিও হাবাসের নজর এড়ায়নি। ব্যক্তিগত ধারণা, দুই দলের উইঙ্গাররা এই ম্যাচের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে।