আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
উষ্ণায়নের পথে হাঁটছে পৃথিবী। প্রত্যেক বছরই গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা বিগত দিনের থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশবিদদের মতে অত্যধিক পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ার ফলে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। সঠিক মাত্রায় ও সময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। তার ফলে তাপমাত্রার পারদ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বছর তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। আগামীতে তা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এনিয়ে নানা ধরনের প্রচার ও সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ব্যাপক হারে গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। মূলত কাঠ মাফিয়ারা নিজেদের লাভের কথা মাথায় রেখে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছে। তাই এবার বেআইনিভাবে গাছ চুরি রুখতে পদক্ষেপ নিল বোলপুর বনদপ্তর। ইলামবাজার, নানুর ও বোলপুর ব্লকগুলি বোলপুর বনদপ্তরের আওতায় রয়েছে। তার মধ্যে চৌপাহারি জঙ্গল সহ একাধিক বনভূমি আছে। সেই সমস্ত জায়গায় কাঠ পাচারকারীরা গাছ কেটে নিচ্ছে কি না, তা দেখতে নজরদারি শুরু করেছে বনদপ্তর। দিনের বিভিন্ন সময় যেখানে পাচারকারীদের আনাগোনা বেশি, সেই জায়গাগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মী সহ আধিকারিকরা। পাশাপাশি মাফিয়াদের সম্পর্কে খবর জানানোর জন্য এলাকার বাসিন্দাদের নিযুক্ত করা হয়েছে। পাচারকারীদের আনাগোনা দেখলেই সেই তথ্য তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন বনদপ্তরে। এছাড়াও মালিকানাধীন জমিতেও গাছ থাকলে তা পারতপক্ষে না কাটার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চৌপাহারি জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন আগুন লেগে যায়। এই ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে কাঠ মাফিয়ারা জঙ্গলে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছে। সে কারণে জঙ্গল ও বনভূমিতে অগ্নি সংযোগের খবর মিলতেই সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন বনদপ্তরেরর কর্মী ও আধিকারিকরা। দমকল দপ্তরের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে জঙ্গলে আগুন নেভাচ্ছেন তাঁরা। আধিকারিকরা বলছেন, শুধু বনদপ্তরের প্রচেষ্টা নয়, পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
বোলপুর বনবিভাগের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মন বলেন, সকলকে সচেতন করতে আমাদের তরফে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।