আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
সিউড়ির এক তরমুজ ব্যবসায়ী জানান, কিছুদিন আগে অবধি বেঙ্গালুরু, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা থেকে এই জেলায় তরমুজ আসছিল। এখন বাংলার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর থেকেও তরমুজ আসতে শুরু করেছে। এর জেরে দাম একটু কমলেও এখনও তা যথেষ্ট বেশি। এখন বাংলার কালো (কিরণ) তরমুজের দাম ২০-২৫ টাকা কেজি। সেখানে সাদা (সরস্বতী) তরমুজের দাম ৩০-৩৫ টাকা কেজি। বাজারে ‘আরোহী’ নামে আরও একধরনের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এটির দামও প্রায় ৩০-৪০ টাকা কেজি। এই তরমুজের ভিতরের অংশ কিছুটা হলুদ রঙের হয়।
সিউড়ির পুলিস লাইন এলাকায় তরমুজ কিনতে এসেছিলেন সুবর্ণ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এখন আগের মতো তরমুজের স্বাদ পাওয়া যায় না। তার উপর আবার দামও অনেক বেশি নিচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, আমদানি এখনও তেমন হয়নি বলে তরমুজের দাম বেশি। তরমুজের গুণগত মান বজায় রাখতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর দিকে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। ফলন বাড়াতে রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ প্রয়োগের কারণে তরমুজের স্বাদ আর আগের মতো থাকছে না।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুরের পাশাপাশি কোচবিহারের তরমুজ বাজারে এলে দাম আরও অনেকখানি কমে যাবে। সিউড়ির হোলসেল তরমুজ ব্যবসায়ী সাবির হোসেন বলেন, বাজারে তরমুজের যে চাহিদা রয়েছে, সেইমতো জোগান নেই। তাই এখন তরমুজের দামও অনেক বেশি। আমাদের লাভও কম হচ্ছে। তবে বাংলার বিভিন্ন এলাকার তরমুজ বাজারে আসা শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই আমদানি বেড়ে গেলে তরমুজের দাম কমে যাবে বলে আশা করছি।