ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের মুখে দুই নেতা বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পাওয়ায় খুশি তৃণমূল। ভোট মেশিনারিতে দক্ষ দুই নেতার সার্ভিস দলের কাছে জরুরি। তাই ভোটের আগে তাঁদের জামিন তৃণমূলের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। মানব পড়ুয়ার উপর হামলার আশঙ্কা থাকায় তাঁকে জোড়া দেহরক্ষী দিয়েছিল জেলা পুলিস। তারপর আরও দু’জন চেয়ে ওই নেতা আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে আরও একজনকে দেওয়া হয়েছে।
নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ ২৭ ও ২৮মার্চ মোট আটজন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে নোটিস পাঠিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়। বাকিদের সাক্ষী হিসেবে নোটিস ইস্যু করা হয়েছিল। নোটিস পাঠানোর পরও নেতা-কর্মীরা ভোটে ব্যস্ততার জন্য কেউই এনআইএ অফিসে হাজির হননি। এরপরই ৬ এপ্রিল ভোররাতে এনআইএ টিম নাড়ুয়াবিলা ও নীচনাড়ুয়া গ্রামে হানা দেয়। নাড়ুয়াবিলা থেকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মনোব্রত জানা ও নীচনাড়ুয়া থেকে অর্জুননগর অঞ্চল সভাপতি বলাইচরণ মাইতকে গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারের সময় নাড়ুয়াবিলা গ্রামে এনআইএ বাধার মুখে পড়ে। গাড়িতে ইট, পাথর ছোড়া হয়। আক্রান্ত হন এনআইএ অফিসাররা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ২ডিসেম্বর ভূপতিনগর থানার নাড়ুয়াবিলা গ্রামে রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার সহ দলের আরও দুই কর্মীর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বোমা তৈরি করার সময় বিস্ফোরণ হয়। তাতে তিনজন ছিন্নভিন্ন হন। ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্তভার পায়। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে একদফায় এনআইএ নোটিস পাঠিয়ে কলকাতায় তাদের অফিসে তলব করেছিল। তারপর একবছর চুপচাপ থাকার পর আবারও লোকসভা ভোটের মুখে এনআইএর নোটিস পান আট নেতা-কর্মী। অর্জুননগর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতেই বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সেইসঙ্গে পরোয়ানা জারি হওয়া দুই নেতার জামিনের জন্য সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিল দল। সেই মামলায় মানব ও নবকুমার জামিন পাওয়ায় স্বস্তিতে তৃণমূল।
তৃণমূলের ভগবানপুর-২ ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন, মানব পড়ুয়া এবং নবকুমার পণ্ডা বিস্ফোরণ মামলায় জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার তাঁরা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এর ফলে হেফাজতে থাকা দু’জনের জামিন পেতে সুবিধা হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করেছে। দু’ই নেতা জামিন পাওয়ায় কর্মীরাও উজ্জীবিত।