পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার বেশকিছু গ্রামে বিজেপির ভোট বেড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে সেই ভোট বিন্যাস পর্যালোচনা করে বিজেপি নেতারা অঙ্ক কষে পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আটকাতে চাইছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় বেশ চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই হিন্দু ভোটকেই একত্রিত করতে চাইছেন নেতারা। ফলে বেছে বেছে সভার স্থান ঠিক করা হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, একের পর এক তারকা প্রার্থীরা এই কেন্দ্রে প্রচার করতে আসছেন। এতদিন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা এখানে প্রচার করেছেন। এবার দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব বহরমপুর কেন্দ্রটিকে নজরে রেখেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি একে একে সকলেই এখানে জনসভা করবেন। বাদ যাচ্ছেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও। শক্তিপুরে যোগী আদিত্যনাথ সভা করবেন। নওদায় বিরোধী দলনেতা জনসভা ও রোড শো করবেন। আমরা বহরমপুর শহরের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রত্যেকটা বিধানসভাতেই আমরা একটি করে বড় জনসভার পরিকল্পনা করে এগচ্ছি।
বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা বলেন, যেখানেই প্রচারে যাচ্ছি, মানুষের ভালো সাড়া মিলছে। এদিন মিঠুন চক্রবর্তী সভাতেও মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। এছাড়া দেশের প্রথম সারির বিজেপি নেতারা আমার জন্য প্রচারে আসছেন। আমাদের সকলের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীও এখানে আসতে পারেন। তাঁর অপেক্ষায় আছি আমরা। এই প্রচারে বিপুল সাড়া মিলবে। আমি বলতে পারি এই কেন্দ্রে মানুষ এবার বিজেপিকেই সমর্থন করবেন।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ওদের কে প্রচারে এল তাতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমাদেরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে আসছেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। এবার আমরাই জিতব।