পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
হাঁসখালির তারকনগর এলাকার বাসিন্দা উত্তম মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে মাদক দ্রব্যের নেশা করতেন। বাধ্য হয়ে গত ১২ এপ্রিল ধানতলার দত্তপুলিয়া এলাকার একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে তাঁর পরিবার। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৯ এপ্রিল ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন করে জানানো হয় যে উত্তম আহত হয়েছে। তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জিভে গভীর ক্ষত নিয়ে যুবককে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর জিভে একাধিক সেলাইও পড়ে। অভিযোগ, হাসপাতালে গেলেও যুবকের মাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দু’ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ফের যুবককে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপরেই ওই যুবককে নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে ফেরার পর থেকেই উত্তম আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁর জিভের ক্ষত ক্রমশ বাজে পরিস্থিতির দিকে যেতে থাকে। বাধ্য হয়ে গত ২৪ এপ্রিল তাঁকে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সেখানেই যুবকের জিভ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। যুবকের মা কৌশল্যা মণ্ডল বলেন, ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর জানতে পারলাম যে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রটি বৈধ নয়। ছেলেকে চিকিৎসার নামে ওরা আমাদের থেকে প্রায় ২২ হাজার টাকা নিয়েছে। অথচ আমার ছেলের উপর এতটাই অত্যাচার করেছে যে ওর জিভ বাদ দিতে হল। আমি এর বিচার চাই। নেশা মুক্তি কেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুক্রবার ধানতলা থানা ও রানাঘাট এসডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবকের মা।
এই বিষয়ে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের মালিক শান্ত দেউডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগে থেকেই ওই যুবকের জিভে ক্ষত ছিল। আমাদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। কাউকে অত্যাচার করার মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি। যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিস।