পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরুলিয়া শহরে প্রচণ্ড জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুধুমাত্র সকালবেলা একবার জল সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে পুরসভা। জলের অপচয় রুখতে লাগাতার প্রচারও শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে আচমকা শহরের সন্দেশগলি এলাকায় হানা দেন চেয়ারম্যান সহ পুরসভার জলবিভাগের কর্মীরা। ওই এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে পুরসভার জলের সংযোগ থেকে সরাসরি পাম্প লাগিয়ে জল টেনে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। এদিন পুরকর্মীরা তা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই দোকানের জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাম্পটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর আমলাপাড়ায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি পুরসভার টিম দশেরবাঁধ মোড় এলাকায় পৌঁছয়। ওই এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুল লাগোয়া বহুতল বাড়িতে গিয়ে প্রথমে পানীয় জল সরবরাহের বিষয়ে খোঁজ নেন পুরকর্মীরা। তারপরই ওই বাড়িতে পুরসভার জলের সংযোগ পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, সরাসরি পাম্প লাগানো রয়েছে। ওই পাম্পও বাজেয়াপ্ত করেন পুরকর্মীরা। এছাড়া, আরও একটি বাড়ি থেকে পাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, এদিন সন্দেশগলির একটি মিষ্টির দোকানে দেখা যায়, সরাসরি পাম্প লাগিয়ে পুরসভার পাইপলাইন থেকে জল টেনে নেওয়া হচ্ছে। ওই মিষ্টির দোকানে কমার্শিয়াল জলের সংযোগ ছিল কিনা, দোকানের সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা হবে। অবৈধভাবে পাম্প লাগানোর জন্য পুরসভার তরফে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন দশেরবাঁধ মোড় সহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে জল চুরি খানিকটা হলেও আটকানো গিয়েছে। তবে আরও অনেক জায়গার বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। সেখানেও অভিযান হবে।
শহরের বাসিন্দা সঞ্জীব টাটিয়া বলেন, বাড়িতে পুরসভার যে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে, তাতে জল আসত না। আগে অভিযোগও জানিয়েছিলাম। জল পাইনি বলেই কয়েকদিন আগে পাম্পটি লাগানো হয়েছিল।