পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ভোটের আগে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বারবার কর্মিসভায় নানা দাওয়াই দিতেন। কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে কখনও ‘নকুলদানা’, আবার কখনও ‘গুড় বাতাসা’ দেওয়ার কথা বলতেন। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। তাই সেই সব কথা আর শোনা যায় না। তবে বীরভূম জেলায় ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার প্রিয় ভাই ‘কেষ্ট’র প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। কেষ্ট না থাকায় এবার লোকসভায় কাজল শেখকে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভোটের আর দু’সপ্তাহ বাকি রয়েছে। তিনি কর্মী বৈঠক থেকে দলের নেতা কর্মীদের নানা নির্দেশ দিচ্ছেন। শুক্রবার কান্দরার একটি লজে এবং পাঁচুন্দিতে তিনি কর্মী বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। দলীয় বুথ, অঞ্চলস্তরের কর্মীদের কাজকর্মে নজরদারি চালানোর জন্য এদিন তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির পরামর্শ দেন। সেখানে প্রচার কাজের ছবি আপলোড করার কথা বলেন।এদিন কাজল শেখ কর্মী বৈঠকে পরিষ্কার জানান, যে অঞ্চলে লিড হবে না, সেই পঞ্চায়েতের প্রধানকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরিয়ে দেব। দলীয় কর্মীদের কাজকর্ম রাজ্য নেতৃত্ব দেখতে চায়। তাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য। অনেক রকম দাওয়াই দিতে জানি। কথা না শুনলে ঠিক সময়ে দাওয়াই দিয়ে দেব। মঙ্গলকোটের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা পালনের চেষ্টা করব। বিধায়ক বলেন, বিরোধীদের কেতুগ্রামে দেখা যাচ্ছে না। পতাকা বাঁধতে গেলেও ওরা ভাড়া করা লোক নিয়ে আসছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা উন্নয়ন প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছে।