রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বুধবার পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পিঁড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক গ্রামে প্রচারে যান অজিত মাহাত। উপর পিঁড়রা গ্রামে মহিলারা তাঁকে প্রণাম করে স্বাগত জানান। গোটা গ্রাম এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতেই আদিবাসী কুড়মি সমাজের পতাকা উড়ছে। ওই গ্রামে কোনও রাজনৈতিক দলেরই দেওয়াল লিখন নেই। গত পঞ্চায়েত ভোটের কিছু দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে অবশ্য। ওই গ্রামেই পায়ে হেঁটে মিছিল করার সময়ই কর্মীরা স্লোগান তোলেন, কাড়া লড়াই অর্থাৎ মোষের লড়াই এবং মোরগ লড়াই টিকিয়ে রাখতে হলে অজিত মাহাতকে ভোট দিতে হবে। তা না হলে পুরুলিয়ার সংস্কৃতির অঙ্গ কাড়া লড়াইকে বন্ধ করে দেবে রাজনৈতিক দলগুলি। ওই এলাকারই বাসিন্দা বৃহস্পতি মাহাত বলেন, গ্রামে অধিকাংশই কুড়মি সম্প্রদায়ের। তাই নিজেদের দেওয়াল তাঁরা সমাজের প্রার্থীর জন্যই রেখেছেন। অন্য কোনও দলের দেওয়াল লিখন নেই। এদিন অজিতবাবু বলেন, নিজস্ব জাতিস্বত্বা টিকিয়ে রাখার জন্যই তো ভোটে লড়ছি। পুরুলিয়াতে একসময় কাড়া লড়াই বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। সেসময় আন্দোলন করে আবার তা চালু হয়েছে। আগামী দিনে রাজনৈতিক দলগুলি ফের তা বন্ধ করে দিতে পারে। সে কথাই মিছিল থেকে বলা হচ্ছে। পুরুলিয়ার সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এবার গোটা এলাকাজুড়েই ব্যাপক সাড়া মিলছে বলে দাবি অজিতবাবুর। ভোটের ময়দানে কাড়া লড়াই, মোরগ লড়াইকে অজিতবাবু ইস্যু করার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত বলেন, কোথাও কোনও প্রচারে বা দেওয়াল লিখনে বাধা দেওয়ার কোনও অভিযোগ কানে আসেনি। ভোটে সব প্রার্থী এবং সংগঠনই নিজেদের মতো করে প্রচার করে এবং বিভিন্ন ইস্যুকে তুলে ধরেন। এতে আলাদা কিছু বলার নেই। এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, সরাসরি কোনও গ্রামে প্রচারে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ আসেনি। তবে অজিতবাবু নিজের মতো করে প্রচার করতেই পারেন। নিজেদের পুরানো সংস্কৃতিকে যেমন ধরে রাখাটা আমাদের দায়িত্ব, তেমনই উন্নত জীবনযাপনের কথা ভাবারও অধিকার রয়েছেন সাধারণ মানুষের। তাই শুধু সংস্কৃতিকে ধরে রাখলেই হবে না। সংস্কৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি নিজেদের জীবনধারণের মানও উন্নত করতে হবে। আর তা করতে হলে বিজেপি ছাড়া বিকল্প নেই।