রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাঁকুড়া শহরের পাঁচবাগা ও কাটজুড়িডাঙ্গার মাঝ দিয়ে গিয়েছে রেললাইন। ট্রেন এলে রেলের লেভেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনে রাতে নানা সময়ে লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা অসুবিধায় পড়েন। সেজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে সেখানে ওভারব্রিজ তৈরি হচ্ছে। যার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল ওভারব্রিজের কাজ ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়। দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য কাজ থমকে যায়। আদালতে মামলাও হয়। পরে অবশ্য জটিলতা কাটিয়ে কাজ চলে। এই রেল ওভারব্রিজ লম্বায় ৭৬০ মিটার। রেললাইনের উপরের অংশে এটি প্রায় সাড়ে ১১ মিটার চওড়া। বাকি অংশ প্রায় সাড়ে আট মিটার চওড়া। পূর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সেতুতে ভারবহন ক্ষমতা মাপার পরীক্ষা হলেই খুলে দেওয়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে।
এই রেল ওভারব্রিজ চালু হলে বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতে ব্যাপক সুবিধা হবে। রানিগঞ্জ, দুর্গাপুরের দিক থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে যাতায়াতে অনেক কম সময় লাগবে। এমনকী, পুরুলিয়া, ছাতনা, শালতোড়া, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ যাতায়াতেও সুবিধা হবে।
বাঁকুড়া জেলা বাসমালিক সমিতির সম্পাদক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেতুর কাজ চলছে। ঘুরপথে বাস চালাতে হচ্ছে। ফলে উত্তর বাঁকুড়ার রুটের বিভিন্ন বাস ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই তাড়াতাড়ি ওভারব্রিজটি চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
ভোটের বাজারে রেল ওভারব্রিজ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষই প্রচারে নেমেছে। বিজেপির বাঁকুড়া নগর মণ্ডল সভাপতি কৌশিক পাঠক বলেন, এই ওভারব্রিজ তৈরিতে কেন্দ্র বরাদ্দ দিয়েছে। এটি চালু হলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে। ফলে বাঁকুড়ার বাসিন্দারা কেন্দ্রের উপর ভরসা রাখবেন।
তৃণমূলের শহর সভাপতি সিন্টু রজক পাল্টা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছি। রাজ্য প্রথম থেকে সহযোগিতার হাত বাড়ালেও কেন্দ্রের সদিচ্ছার অভাব ছিল। মানুষ দুর্ভোগের কথা ভোলেননি। তাই মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকবেন।