রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সম্প্রতি হেমাতাবাদ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘মোদির গ্যারান্টি হল দেশকে বেচে দেওয়ার।’ মুখ্যমন্ত্রীর সুরের সুর মিলিয়ে মহুয়া মৈত্র নাকাশিপাড়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেশ বেচা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। সরকারি সম্পত্তি বেচে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করছে মোদি সরকার। যা নিয়ে দিল্লিতে লাগাতার সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। রেল, বিমানের পর রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগমকে বেচে দিতে মরিয়া হয়েছে মোদি সরকার। কতিপয় কর্পোরেট সংস্থার হাতে দেশকে তুলে দেওয়া নিয়ে সাংসদ থাকাকালীন মহুয়া মৈত্র বহুবার বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছিলেন মোদি সরকারকে। এবার ভোট ময়দানে মোদি দেশের বেচার প্রসঙ্গ তুললেন মহুয়া মৈত্র। এমনকী এর ফলে দেশে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসতে চলেছে তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন তিনি। যদিও মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের আপ্ত বাক্য ছিল, দেশের সর্বনাশ করাই হল মোদির গ্যারান্টি। সেখানে সাধারণ মানুষকে সরকারি সুবিধা দিয়ে দেশ গঠন করাই হল মুখ্যমন্ত্রীর গ্যারান্টি।
মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘এয়ারপোর্ট, রাস্তা, বন্দর সব বিক্রি করে দিল। আসলে বিজেপিতে যারা বিশ্বাসী তাদের মগজধোলাই করা হয়েছে। আর মগজধোলাই করে তাদের বিশ্বাস করানো হয়েছে, বিজেপি নাকি অনেক কিছু দেবে। কিন্তু আদতে কিছু দেয় না। সেটা তাঁরা দেখতে পারছেন। কিন্তু বিশ্বাস করছেন না। এটাই অন্ধবিশ্বাস।’
এই অন্ধবিশ্বাসের সঙ্গে সিএএ প্রসঙ্গে টেনে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘উনিশ সালের নির্বাচনের সময় বিজেপি মতুয়া ও ওপার বাংলার মানুষদের বুঝিয়েছিল যে, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গেল। সেই নাগরিকত্ব সোনার হরিণ। তাকে কেউ চোখে দেখল না।’
মোদির ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নিয়েও বিজেপিকে আক্রমণ করেন মহুয়া। তিনি আরও বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল তার সরকার আসছে। কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডবল মেজরিটি নিয়ে সরকার গঠন করলেন। আসলে বিজেপি হলো ভাঁওতাবাজের দল। কেউ কোনওদিন বলতে পারে না বিজেপি জিনিসটা আসলে কি? আমরা এই অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’