রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার ইন্দ্রাণী গ্রামে বসেছিল পাড়া বৈঠক। তার আগে মাতাইগ্রাম বাটিগ্রাম থেকে পুড্ডা গোপীনাথপুর গ্রামেও হয়েছে। আগামীতে এলাকার সবকটি গ্রামে এভাবেই পাড়া বৈঠক করতে চলেছে খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। যে এলাকায় পাড়া বৈঠক হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের বৈঠকে আগে থেকে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। এলাকার সমস্যা থেকে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছে নেতৃত্ব। আবার কারও কোনও সমস্যা থাকলে সেটাও মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে নিজেদের দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচার করাতেই। দলীয় প্রার্থীকে গতবারের চেয়েও বেশি ভোটের লিড দিতে হবে এই মন্ত্রপাঠ দেওয়া হচ্ছে পাড়া বৈঠকে।
তবে শুধু ভোট প্রচার নয়, পাড়া বৈঠকে মুখ চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে লিকার চায়ের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে পাঁপড় ভাজা। আবার শসা-মুড়ির ব্যবস্থাও থাকছে। কার্যত মুড়ি পিকনিকের মাধ্যমেই জমে উঠেছে রাজনৈতিক আড্ডা। এবিষয়ে তৃণমূলের খড়গ্রাম দক্ষিণ ব্লক সভাপতি শাশ্বত্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, সন্ধ্যার পর পাড়া বৈঠকগুলি শুরু হচ্ছে। চলছে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। এতক্ষণ ধরে মানুষ চুপচাপ বসে শুনবেন এটা মানা যায় না। তাই স্বল্প খরচের মধ্যে আমরা একটু আধটু টিফিনের ব্যবস্থা করছি। সাধারণত লিকার চা, পাঁপড় ভাজা এবং শসা-মুড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমন বৈঠকে হাজির হয়ে বাসিন্দারাও বেজায় খুশি। পুড্ডা গ্রামের শ্যামল মণ্ডল বলেন, এই ধরনের পাড়া বৈঠকে হাজির হতে বেশ ভালোই লাগছে। আলাপ-আলোচনা তো হতেই থাকে। তবে একসঙ্গে চা বা মুড়ি খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আমাদের নেতারা ভালো বন্দোবস্ত করেছেন। ইন্দ্রাণী গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আশাদুল নবি বলেন, যেদিন যেখানে পাড়া বৈঠক হচ্ছে, সেই এলাকায় চা ও মুড়ির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের মতো কয়েকজনের উপর পড়ছে। আমরা আনন্দের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।
খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, সবকিছুর মধ্যে নতুনত্ব থাকা উচিত। পাড়া বৈঠকের ক্ষেত্রেও নতুনত্ব হল এটাই যে মুখে বলা বা কানের শোনার মাঝে খালি পেটে যেন কাউকে না থাকতে হয়।
খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, তৃণমূলের প্রচুর টাকা-পয়সা রয়েছে। তাই ওরা করতেই পারে। আমরাও পাড়া বৈঠক করি। তবে চা-বিস্কুটের বেশি কিছু খাওয়াতে পারি না।