রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কাটোয়া শহরের ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অর্ধেক ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শহর থেকে প্রায় ৫০০ ভোটে লিড পেয়েছে তৃণমূল। তাই এবার শহর কার দখলে থাকবে, সেই চর্চাতেই মেতেছেন বাসিন্দারা।
পুরসভার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে শহরের দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসানো হয়েছে এলাইজা মেশিন। এর জন্য ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন থেকে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। তাছাড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হয়েছে। ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের উদ্যেগে গড়ে তোলা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নত পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের। চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও সার্বিক উন্নয়ন করেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা।
শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই নয়ানজুলিগুলি সংস্কার না হওয়ায় শহরের ভিতর জমা জল পাস হতো না। অতিবৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে যায়। তাই বর্ষায় জল জমা থেকে বাসিন্দাদের রেহাই দিতে শহরের বাইরের নয়ানজুলিগুলিও সংস্কার করেছে। তাছাড়া সব থেকে বড় বিষয় হল কাটোয়ার জলপ্রকল্প।
শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লিতে ১৮ শতক জমির উপর নির্মাণ করা হচ্ছে পানীয় জল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। রিজার্ভার সহ ওভার হেড ট্যাঙ্ক বসানো হচ্ছে। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত শহরের জনসংখ্যাকে ধরেই এই প্রকল্পকে তৈরি করা হয়েছে। ভগীরথী থেকে জল তুলে তা শোধন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে পুরসভা। ভাগীরথীর এই জলপ্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এছাড়া কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল, কৃষিতে চেক বিলি প্রভৃতি উন্নয়নের সুফল প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ দলমত নির্বিশেষে পেয়েছেন। শহরের তৃণমূল নেতাদের দাবি, এসব উন্নয়নমূলক কাজ আমরা প্রচারে তুলে ধরছি।
কাটোয়া শহর তৃণমূল যুব সভাপতি বিজয় অধিকারী বলেন, শহরে আমরা যা উন্নয়ন করেছি তাতে আমাদের আশা, মানুষ আমাদের পাশে থাকবেন। এবারে লোকসভা ভোটে শহর থেকে আমরা লিড দেব। যদিও এসব উন্নয়ন মানতে চায় না বিজেপি। সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার বিজেপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ অশোক রায় বলেন, পুরসভা মানুষের কোনও উন্নয়ন করেনি। শুধু নেতাদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তাই শহরের মানুষ আর তৃণমূলকে চায় না। তার জবাব মানুষ বোতাম টিপে দিয়ে দেবেন।