রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত ঝাড়গ্রাম এলাকায় সারা বছর হাতির উপদ্রব লেগেই রয়েছে। এর আগে হাতির দল সাধারণত ধান চাষের উপর ক্ষতি করত। সম্প্রতি চাষিরা ধান চাষ কমিয়ে বিকল্প নানান সব্জি চাষের উপর জোর দেন। তাতেও রক্ষা না মেলায় এলাকার চাষিরা চিন্তিত রয়েছেন। হাতির তাণ্ডবের হাত থেকে জমির সব্জি কীভাবে রক্ষা করবেন, তা নিয়ে তাঁরা কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় হাতির সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বুধবার পর্যন্ত এলাকায় মোট ৯৬টি হাতি অবস্থান করছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে জামবনী ব্লকের বাকড়া এলাকার চৈনিশোল জঙ্গলে ৫১টি হাতির একটি বড় দল রয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরের পাশে পুকুরিয়া এলাকায় ২২টি হাতির একটি বড় দল ও বালিভাষা এলাকার বড়াশুলির জঙ্গলে ১৫টি হাতির একটি বড় দল অবস্থান করছে। হাতির অবস্থান ও গতিবিধি নিয়ে বনবিভাগ থেকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জেলাবাসীকে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। হাতি সংক্রান্ত যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি রয়েছে, তারা দিনভর হাতির অবস্থান নিয়ে সচেতন বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু জমিতে থাকা ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে চাষিরা কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।
আস্তি গ্রামের চাষি কমল মাহাত বলেন, ৬-৭ জন চাষির জমির বাদাম কাদার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে হাতিরা। ক্ষয়ক্ষতি দেখলে চোখে জল আসবে। সেই সঙ্গে চাষের জন্য ব্যবহৃত ডুলুং নদীর তীরে যে লিভার পাম্প বসানো হয়েছিল, তার পাইপ হাতি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে দিয়েছে। চাষিদের পক্ষ থেকে আমাদের গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বনবিভাগ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তদন্তে গেলেই চাষিদের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হবে।