বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের কাঁসতা, সুলতানপুর এলাকার কয়লাখনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা সংগ্রহ করে এরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই বেআইনি কয়লা বিক্রি করার ছক কষেছিল চোরা কারবারিরা। তারা গভীর রাতে পারসুণ্ডীর জঙ্গলে কয়লা বোঝাই ৯টি গোরুর গাড়ি নিয়ে জমায়েত হয়েছিল। সেই সময় পুলিস সেখানে হানা দেয়। ৯টি গোরুর গাড়িতে প্রায় ১৮টন কয়লা গাড়িসহ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সুলতানপুর, কাঁসতা সহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বীরভূমের চোরা কারবারিরা ঝাড়খণ্ডের লোকজনকে কয়লা বোঝাই করে এখানে আসতে বলেছিল। পারসুণ্ডীর জঙ্গলে এই চোরাই কয়লা হাত বদলের কথা ছিল। তখনই পুলিস তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধৃতদের জেরা করে এই জেলার কয়লা চোরা কারবারিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
উল্লেখ্য, বীরভূমের বিভিন্ন ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকার কয়লাখনি থেকে চোরা কারবারিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিস। পুলিসের দাবি, জেলার যেসব এলাকায় চোরা কারবারিরা সক্রিয় হয়েছিল তা অধিকাংশ বন্ধ করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাসখানেক আগে রামপুরহাট, নলহাটি ও মুরারই থানা এলাকায় অবৈধ কয়লা বোঝাই লরি, গোরুর গাড়ি সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সেগুলিও ঝাড়খণ্ড থেকে চোরাপথে বীরভূমে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে পুলিসের দাবি। জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, বীরভূমের যেসব জায়গায় কয়লার চোরা কারবার চলছিল, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় যারা চোরাপথে কয়লা পাচারের চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাঁকড়তলায় এমনই কিছু চোরাকারবারি ধরা পড়েছে। বেশকিছু চোরাই কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।