বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আটের দশকে তৎকালীন রেলমন্ত্রী গনি খান চৌধুরী এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রেললাইন স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে লোকসভার অধিবেশনে কাগজপত্র আদান প্রদান হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ধামাচাপা পড়েছে সেই সমস্ত ফাইল। কয়েকবার জমি মাপজোক আর সার্ভে ছাড়া কিছুই হয়নি। করিমপুরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা নিত্যদিন কলকাতা ও রাজ্যের বাইরে যাতায়াত করেন। যে কারণে রেল সংযোগ হলে সকলের সুবিধা হতো। কিন্তু সেই রেললাইন তো দূরের কথা, রেলের টিকিট বুকিং কাউন্টারের দাবিও পূরণ হয়নি। করিমপুরে একটি টিকিট বুকিং কাউন্টার করার কথা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরীও। সেটাও আজ অবধি হল না। তাই রিজার্ভেশন করাতে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটতে হয়। কিংবা ছুটতে হয় কৃষ্ণনগর বা বহরমপুরে। তাঁরা জানান, ভোট এলেই রেলের কথা শোনা যায়, আবার ভোট শেষ হলেই সবাই ভুলে যায়। তাহলে এবারের লোকসভা নির্বাচনেও কি সেই রেললাইনের কথা প্রচারে আনবে রাজনৈতিক দলগুলো? এ ব্যাপারে বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি সুরজিত জোয়ারদার বলেন, করিমপুরের রেল বিজেপির ভোটের ইস্যু নয়। এটা এলাকার সাধারণ মানুষের মতো বিজেপিরও দাবি। ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণনগরের বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু এই রেলপথের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময়ে একটা সমীক্ষাও হয়েছিল। ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, করিমপুরে রেলের জন্য কেন্দ্রের কাছে জোরালো দাবি জানাবে বিজেপি। তৃণমূলের করিমপুর ১ ব্লক যুব সভাপতি সৌমিক সরকার জানান, এখানে রেলপথের প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বহুবার দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রিত্বের সময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছিল। বিধায়ক হওয়ার পরে মহুয়া মৈত্র এলাকার অনেক উন্নয়নের পাশাপাশি রেলের জন্য সংসদে দরবার করেছেন। কিন্তু রেল নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কিছুই করেনি তা এলাকার বাসিন্দারা জানেন। সিপিএমের করিমপুর ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক লিয়াকত হোসেন বলেন, দিল্লিতে আমাদের দল বারবার রেলের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এই প্রকল্প একরকম বাতিল হয়ে গিয়েছে।