Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট। তিনি ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বাধীনতার সময় যা যা ভুল হয়েছিল, সেসবের সংশোনকারী এক পরিত্রাতা। ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১৪ সালে ভারতে যা যা হয়েছে, সব ভুল। নব ভারতের নির্মাণ হয়েছে গত ১০ বছর ধরে। আরও হবে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, গত ১০ বছর তো ট্রেলার হয়েছে। এবার আসল সিনেমা হবে। এই কথায় আমরা বিস্মিত হয়ে আরও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব। তিনি বলবেন, বিনামূল্যে ৮০ কোটি মানুষকে চাল গম দেওয়ার কথা। কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে বছরে অনুদান। অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দির নির্মাণ। ভারতের নিজস্ব চন্দ্রযান চাঁদে পৌঁছনোর কথা। ভারত জি টুয়েন্টি গোষ্ঠীর সভাপতি হয়েছে। জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ডিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী কিছু বছরের মধ্যেই নাকি ভারত পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে যাবে। ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা হচ্ছে অতি দ্রুত। ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী রাশ টানতে পারেন। ভারতের সম্মান এখন নাকি বিশ্বে উত্তরোত্তর বাড়ছে। আমরা জেনে নেব জওহরলাল নেহরু কতটা খারাপ ছিলেন।। গান্ধী পরিবার কী কী কারণে পরিত্যাজ্য। বিরোধী হলেই সে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং জেলে পাঠানো উচিত। আমরা জানি, সোমবার যে চোর, মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সে স্বচ্ছ। আমরা জানি, বুধবার যে খারাপ, বৃহস্পতিবার সে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ভালো। 
আমাদের অসম্ভব অবাক লাগছে যে, এসব প্রচার থেকে হঠাৎ গত রবিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পূর্ণ সরে এসেছেন। উন্নয়ন, বিকশিত ভারত, অমৃতকাল, কর্তব্যকাল, আচ্ছে দিন, সবকা সাথ সবকা বিশ্বাস, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, সব। হ্যাঁ, সব ভেসে গিয়েছে হঠাৎ কোন এক অজানা স্রোতে। সামনে এসে বিপুল পাহাড়ের মতো হাজির হয়েছে হিন্দু বনাম  মুসলিম। প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরের সব ইস্যু আর নিজের লার্জার দ্যান লাইফের রাষ্ট্রনায়ক রাষ্ট্রনায়ক টাইপের আচরণ ও স্টাইল ভুলে গিয়ে মরিয়া হয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু সেনা এবং বজরং দলের সুরেই কথা বলতে শুরু করেছেন। 
রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড়। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে। নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে কংগ্রেস। দলিত ও আদিবাসীদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দেবে কংগ্রেস। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় মুসলিমদের পরিচয় দিতে গিয়ে কী বলেছেন তিনি? বলেছেন, আপনাদের সম্পদ কেড়ে নিয়ে কাদের বণ্টন করে দেওয়া হবে জানেন তো? যাদের সন্তান বেশি হয় তাদের। অনুপ্রবেশকারী বহিরাগত মুসলিমদের স্বজনপোষণ করে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা। এই অভিযোগে সরব প্রধানমন্ত্রী। 
বিস্ময় লাগছে এখানেই। ১০ বছর তিনি যদি সুশাসন চালিয়ে ভারতকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই সুশাসনের নমুনাগুলিই তো তাঁর ভোটপ্রচারের ‌ইস্যু হওয়া উচিত ছিল। মানুষ সেগুলি চোখের সামনে দেখে এবং নিজেদের জীবন দিয়ে উপলব্ধি করে তাঁর দলকেই ভোট দিয়ে আবার তৃতীয়বারের জন্য তাঁর সরকারকে অধিষ্ঠিত করবে। ১০ বছর ধরে যে উন্নয়ন আর সুশাসনের কথা তিনি বলেন ভারতজুড়ে, ভোটের প্রচারে সেই উন্নয়নকে ভুলে গিয়ে সবথেকে প্রকট এবং শেষ আশ্রয় হিন্দু বনাম মুসলিম চর্চা নিয়ে আসতে হল কেন প্রধানমন্ত্রীকে? তিনি কি নিজেই আর বিশ্বাস করছেন না যে, তাঁর ঘোষিত এবং প্রচার করা উন্নয়নের স্লোগানগুলি মাটিতে সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি? বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় তাহলে কি সাধারণ মানুষ প্রবলভাবে প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায়? সেরকম কোনও আভাস ইঙ্গিত কি মোদি পাচ্ছেন? তাঁকে যতটা স্থিতধী এবং আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছিল এক মাস আগেও, সেরকম যেন দেখাচ্ছে না। বিশেষ করে এরকম সব ভাষণ দিতে হচ্ছে কেন? সুশাসনের দাবি ভোটে জেতার জন্য  যথেষ্ট মনে হচ্ছে না কেন? 
এতটা টেনশনের চোখমুখ, এতটা মাত্রাজ্ঞানহীন, এতটা ভীত সন্ত্রস্ত এবং তাই বেপরোয়া শব্দচয়ন ও বাক্য উচ্চারণ দেখে দেশবাসীর সূক্ষ্ম সন্দেহ 
হচ্ছে, তাহলে কি মোদি প্রথম দফার ভোটের পর কিছু পূর্বাভাস পাচ্ছেন? তিনি কি গরিষ্ঠতা হারানোর আশঙ্কা করছেন? ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার ভূত তাঁকে চিরকাল তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে। তাঁকে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা উগ্র সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়েছে। মোদি বহু যত্ন করে গত ১০ বছর ধরে নিজের উন্নয়নশীল, স্টেটসম্যান সুলভ একটি ইমেজ নির্মাণে প্রাণপণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অথচ ভোটের আগে সেই সযত্নলালিত ইমেজের এভাবে ধ্বংস করলেন কেন? তিনি কেন আবার এভাবে প্রকটভাবে হিন্দু, মুসলিম ইস্যুকে তীক্ষ্ণভাবে সামনে নিয়ে এসে নিজেকে আবার পিছিয়ে নিয়ে গেলেন? নাকি আসল মোদি এরকমই? এতদিন আমরা মুখোশ পরা কাউকে দেখেছি! 
মোদির ভক্ত দুরকমের। একদল বলে থাকে, আমরা বিজেপি নই। আমরা মোদিজিকে দেখে উদ্দীপ্ত। আমাদের মনে হয়েছে তিনি কিছু একটা করবেন। ভারতের উন্নতি একমাত্র তিনিই আনতে পারবেন। হিন্দুত্ব টিন্দুত্ব আমাদের কাছে কোনও ইস্যু নয়। এই অবস্থান আদৌ কতটা সত্য সেটা এখনও প্রমাণিত হয়নি। যদি সত্য হয়, তাহলে এই অংশকে মোদি প্রবল অস্বস্তিতে ফেললেন। কারণ, তাঁরা ১০ বছর ধরে বলে আসছেন, মোদি মোটেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব বরদাস্ত করেন না। তাঁর একটাই লক্ষ্য, ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিক। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ইদানীং মোদি যে ভাষণ দিচ্ছেন এবং এভাবে আশ্চর্য বিভাজনের রাজনীতিকেই প্রধান বক্তব্য হিসেবে প্রচার করছেন, এটা ওই উন্নয়নের মোদিকে পছন্দ করা ভক্তের দলকে কি খুশি করছে? তারা কি বিব্রত অথবা একটু বিরক্ত হচ্ছে না? 
মোদির ভক্তদের আর একটি দল আছে, যারা সংখ্যাগুরু। তারা মোদিকে সরাসরি হিন্দু হৃদয়সম্রাট হিসেবেই পছন্দ করে। তাঁর মুঘলবিরোধী হুংকার। মুসলিম নামাঙ্কনের শহর, রাস্তা, সিলেবাস মুছে দেওয়া। হিন্দু শব্দটির পরিবর্তে আচমকা গত দেড় বছর ধরে ‘সনাতন’ শব্দ বেশি বেশি করে বলা, ইত্যাদি শুনে এই অংশটি খুব উজ্জীবিত হয়। তাই মোদির এতদিনের যে বিশ্বগুরু, পাঁচ ট্রিলিয়ন ইকনমি, বিনামূল্যে রেশন, সকলের জন্য ঘর, সকলের জন্য পানীয় জল, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রকল্প, ইত্যাদি বিষয় এই উগ্র অংশের কাছে তেমন উত্তেজনাপূর্ণ ছিল না। তাঁরা দেখতে চান, হিন্দু সম্রাট মোদিকে। তিনি হুংকার দেবেন, তিনি হুঁশিয়ারি দেবেন, তিনি রামমন্দির নির্মাণ করে বলবেন আগামী ১ হাজার বছর ধরে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে, এসব শুনতেই এই অংশের ভালো লাগে। অতএব মোদির সাম্প্রতিক ভাষণগুলো এই অংশের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হবে বলাই বাহুল্য। 
কিন্তু যাঁরা তাঁকে উন্নয়নের কাণ্ডারী এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঊর্ধ্বে দেখতে চেয়ে নিজেদের বিশ্বাসকে পণ রেখেছিলেন, সেই ভোটব্যাঙ্কের কী হবে? তাঁদের মনে এখন তো সন্দেহ হওয়াই সঙ্গত যে, তাহলে কি ভুল ভেবেছিলাম? আসলে মোদি কখনওই নিজেকে বিভাজন থেকে অনেক উপরে নিয়ে গিয়ে এক সামগ্রিক সর্বজনগ্রাহ্য স্টেটসম্যান হতে পারেননি অথবা চাননি? এই অংশের বিশ্বাসে কি এবার কিছুটা ধাক্কা লাগল? তাঁরা যখন মোদি বিরোধীদের সঙ্গে তর্ক করতেন এতকাল,উন্নয়ন আর বিকাশের যুক্তিগুলিকে হাতিয়ার করে, এবার কি সেই যুক্তিগুলি কিছুটা ভোঁতা হয়ে গেল? কারণ, মোদি বিরোধীরা প্রশ্ন করতেই পারেন যে, ১০ বছর সফলভাবে রাজত্ব করার পর উন্নয়নের ইস্যুতেই তো ভোট চাওয়ার কথা ছিল! অথচ এখনও কেন হিন্দু মুসলিম ইস্যুকেই প্রধান চালকের আসনে রাখা হল? তাহলে তো মোদি নিজেই আত্মবিশ্বাসী নন? তাই এতটা মরিয়া হয়ে তাঁকে এসব কথা উচ্চারণ করতে হচ্ছে! কংগ্রেস এমনিতেই দুর্বল। কংগ্রেসকে শক্তিহীন প্রমাণ করার জন্য, মোদি নিজের উন্নত ইমেজের অধীত শক্তিক্ষয় করে ফেললেন কেন? ভোট সহজে আসছে না? ২৭২ আসন নিয়ে চিন্তা হচ্ছে? নাহলে এভাবে নিজের টেনশন প্রকাশ করে ফেলা তো মোদিকে মানায় না! 
প্রকৃত বুদ্ধিমান কেউ সত্যিই বিশ্বাস করে যে, কংগ্রেস বা যে কোনও দল ক্ষমতাসীন হয়ে ভারতবাসীর সম্পদ দখল করে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিলি করে দেবে? একটি সরকার নারীদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের দিয়ে দেবে? দলিত, অনগ্রসর এবং আদিবাসীদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে কোনও সরকার? এসব ২০২৪ সালের ভারতে সম্ভব? যে দল এসব করার চেষ্টা করবে, তাদের এক মুহূর্ত ক্ষমতাসীন হয়ে থাকা সম্ভব ভারতের মতো প্রবল গণতান্ত্রিক দেশে? মোদিও জানেন এসব সম্ভব নয়। তাহলে তিনি বলছেন কেন? কেন তাঁকে দেশবাসীকে ভয় দেখাতে হচ্ছে? কেন নিজের কাজের জন্যই তিনি ভোট পাবেন, অযথা বিভাজনের রাজনীতির দরকার নেই, এটা মেনে নিতে পারছেন না? হঠাৎ কনফিডেন্স এত কমে গেল কেন তাঁর? 
স্বয়ং মোদি এখনও পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পেরেছেন যে ভারত হিন্দুরাষ্ট্র হবে? পারেননি। তিনিও জানেন যে, ওটা হবে না। যতই ভক্তরা মনেপ্রাণে চান। ভারতের সবথেকে শক্তিশালী শব্দবন্ধ স্বৈরতন্ত্রী-শাসক নয়। ভারতের সর্বশক্তিমান শব্দের নাম হল, সাধারণতন্ত্র! সোজা কথায় জনতা জনার্দন!  বাড়াবাড়ি ভারত কোনওদিন বরদাস্ত করেনি। 
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন রোহিত শর্মা ও রিকি পন্টিং। এবার একই সুর শোনা গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেলের ...

কথা ছিল বাড়ি ফিরে পাকা বাড়ি দেওয়ার। সেই স্বপ্ন নিয়ে আর ফেরা হল না। কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে পরিযায়ী কিশোর শ্রমিক। কর্মরত অবস্থায় বহুতল ...

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে নির্দেশ, তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ২৪ রানে আউট জয়সওয়াল,রাজস্থান ৬০/২(৬.১ ওভার), টার্গেট ১৯৭

10:05:17 PM

আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM