বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুজোর আগে এমন দুর্যোগের খবরে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর সহ বেশকিছু এলাকার পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, এবার প্রথম থেকেই পুজোর আয়োজন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল করোনা আবহের কারণে। সেই অনুযায়ী এবার সর্বজনীন পুজোগুলির বাজেটও অনেকখানি কমেছে। ক্লাবগুলিকে পুজোর সরকারি অনুদান দেওয়ায় কিছুটা হলেও প্রাণ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। কারণ এবারও করোনা আবহে চাঁদা উঠেছে খুবই কম। সেই দিয়েই চলছে পুজোর প্যান্ডেল তৈরীর কাজ। কোথাও অল্প বাজেটের মধ্যেই ছোটোখাটো থিমের আয়োজন করা হয়েছে। দেরিতে হলেও মৃৎশিল্পীরা পুজো বরাত পেয়েছেন, তবে অন্যান্যবারের তুলনায় কম। মৃৎশিল্পীদের দাবি, লাগাতার নিম্নচাপের জেরে মাটির প্রতিমা নির্মাণেও বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতিমার মাটি শুকাতে সমস্যা হচ্ছে। মাটি না শুকানোয় প্রতিমার গায়ে রং দিতে পারছেন না তাঁরা। তাছাড়া অনেক প্রতিমার নির্মাণ কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হলে সেগুলো কবে সম্পূর্ণ করতে পারবেন, তাই নিয়ে তাঁরা সংশয়ে রয়েছেন।
সিউড়ি স্টেশন মোড় সংলগ্ন পাল পাড়ার এক মৃৎশিল্পী সমীর পাল বলেন, একে তো এবার পুজো কমিটিগুলো প্রথম থেকে ঠাকুর তৈরির বরাত দেয়নি। দেরিতে কাজ শুরু করেছি। এরপর যদি লাগাতার এইভাবে নিম্নচাপের বৃষ্টি হয়, তাহলে কাজ শেষ করব কী করে! জানি না পুজোর আগেই সব শেষ করতে পারব কি না।
এদিকে একই আশঙ্কা পুজো উদ্যোক্তাদেরও। এবার সামান্য খরচের মধ্যে পুজোর আয়োজন করেও বৃষ্টি জন্য সব পণ্ড হয়ে যাচ্ছে। সিউড়ি চৌরঙ্গী পুজো কমিটির সম্পাদক দেবাশিস ধীবর বলেন, সব পুজো উদ্যোক্তার একই অবস্থা। একে তো সামান্য টাকায় পুজোর আয়োজন হচ্ছে। আমরা গত কয়েক বছর পুজোতে থিমের আয়োজনে শহরে প্রথম স্থান অধিকার করে এসেছি। গত বছর এবং এবার পুজো আয়োজনে বাহুল্য বাদ দিয়েছি করোনার কারণে। কিন্তু এবার যদিও বা কম টাকায় আয়োজন করেছি, তাও নিম্নচাপের বৃষ্টির জন্য প্যান্ডেলের কাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জানি না পুজোর আগে আর কত বৃষ্টি হবে। আয়োজনই বা শেষ করব কী করে!