বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্প্রতি রাজ্য পুলিসে কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। তাতে অনেকেই আবেদন করেছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন এজন্য আবেদন চেয়েছিল। ৪৮ জন যুবক আবেদন করেছিলেন। দিন কয়েক আগে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় মোট ২৬ জন এসেছিলেন। তাঁরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করেছেন। ওই ২৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে একজন যুবতীও আছেন। নতুন করে কেউ আবেদন করলে দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে।
গত ২ আগস্ট অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) দিব্যা মুরুগান এনিয়ে টেন্ডার ডেকেছেন। ৯ আগস্ট পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা রয়েছে। কমপক্ষে ৫০ ঘণ্টার বিষয়ভিত্তিক কোচিং ও ১০ ঘণ্টার শারীরিক দক্ষতা বৃদ্ধির কোচিং দেওয়া হবে। শনি ও রবিবার এবং ছুটির দিনে এই কোচিং দেওয়া হবে। তিন থেকে চার বার মক টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি থাকবে। দৈনিক চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক কোচিং দেওয়া হবে। কোচিং দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা কোনওভাবেই সফল প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের অফিসার মার্ঘুব ইলমি বলেন, বিত্ত নিগমের মাধ্যমে আগে রাজ্যে এধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এবার জেলায় জেলায় সেই প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে দপ্তর। সেইমতো আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিস কনস্টেবল পদে আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দপ্তর থেকে অনুমোদন দিয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য কোচিং সংস্থা বাছাইয়ের কাজ চলছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর দপ্তরের অনুমতি নিয়ে আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করব। তবে, মহামারী পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রশিক্ষণ হবে সেটা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষ।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, নন্দকুমার ও তমলুক সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিস কনস্টেবল পদে অনেকেই আবেদন করেছেন। প্রি-রিক্রুটমেন্ট কোচিংয়ে আগ্রহীদের বেশিরভাগই ওইসব ব্লকের। নন্দীগ্রামের এক আবেদনকারী জহিরুল শেখ বলেন, এধরনের প্রশিক্ষণ নিতে পারলে প্রতিযোগিতায় সফল হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।