বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শান্তিপুরের বিডিও প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছি। হরিপুর, বাগআঁচড়া, বেলঘড়িয়া-১, বেলঘড়িয়া-২ ও গয়েশপুর পঞ্চায়েতে থাকা ত্রাণশিবিরগুলি স্যানিটাইজ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া আছে। এছাড়া ওই এলাকায় সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্লকে একটি কন্ট্রোল রুম(৮৩৭৩০৫০৬১৫) খোলা হয়েছে। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগীরথীর জলস্তর ৮.৪৪ মিটারকে বিপদসীমা হিসেবে ধরা হয়। জলস্তর ৯.০৫ মিটার অতিক্রম করলেই বন্যার সর্তকতা জারি করা হয়। নবদ্বীপের কাছে স্বরূপগঞ্জে মঙ্গলবার সকালে নদীর জলস্তর ছিল ৮.৭১মিটার। সোমবার সকালের যা ছিল ৮.৬৫মিটার।
এদিন সকালে শান্তিপুরের ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, নৃসিংহপুর তেওয়ারিচক থেকে কলডাঙা যাওয়ার প্রায় ছ’কিলোমিটার রাস্তার উপর দিয়ে ভাগীরথীর জল বইছে। এলাকার টিউবওয়েল জলে ডুবে গিয়েছে। রাস্তায় কোথাও বুক সমান জল, কোথাও আবার জল আরও বেশি। তারই উপর দিয়ে ছোট নৌকায় একদিক থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা। নৌকার মাঝি দীপঙ্কর হালদার বলেন, ওই দুই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এখন জলের নীচে। ফলে নৌকা ছাড়া গ্রামে পৌঁছনোর আর কোনও উপায় নেই। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকায় দু’টি ফেরি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তবে নদীর জল আরও বাড়লে এই ছোট নৌকায় পারাপার বন্ধ করে দিতে হবে। নৌকার যাত্রী নফর শেখ বলেন, বর্তমানে আমরা শান্তিপুরের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অবস্থান করছি। রাতে কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে ভাগীরথীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে বাগাআঁচড়ার ওই এলাকায় ব-দ্বীপ গড়ে উঠেছে। বর্তমানে চর পানপাড়া ও ক্ষৌণীশনগর গ্রাম ওই চরে অবস্থিত। এছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বছরের অন্যান্য সময়ও ওই গ্রাম দু’টিতে পৌঁছতে হলে ভাগীরথীর সংযোগকারী ছোট একটি নদী পার করতে হয়। স্থানীয়রা এই নদীকে ছাড়ি গঙ্গা বলেন। বর্তমানে ওই দুই গ্রামে প্রায় তিন হাজারের বেশি পরিবার রয়েছে।
বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন, গ্রামে দু’টি জুনিয়র হাইস্কুল থাকলেও কোনও উচ্চবিদ্যালয় নেই। তাই বাধ্য হয়েই নদী পার হয়ে ওই এলাকার পড়ুয়াদের শান্তিপুরের বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয় অথবা হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় আসতে হয়। দীর্ঘদিন এলাকায় স্থায়ী সেতুর দাবি থাকলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।