বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একের পর এক অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পাচ্ছি। একটা সময় পুরকর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ জারি করেছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। এর থেকেই স্পষ্ট, কোনও একটি অশুভ আঁতাত কাজ করেছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, পুরকর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেওয়ার পর তা কার্যকর করার দায়িত্ব পুর কমিশনারের। সাধারণত যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনিই ভেঙে দেন। তিনি না ভাঙলে কমিশনার পুলিসের সাহায্যে তা ভাঙার ব্যবস্থা করেন। এব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের কোনও ভূমিকা থাকে না। আমারও কিছু করার ছিল না। এখন যাঁরা এনিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা পাঁচটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেখাক।
রানিগঞ্জ শহরে যানজট নিত্যসঙ্গী। এই ঘিঞ্জি শহরের নাগরিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে অবৈধ নির্মাণ। সরকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই গড়ে উঠেছে একের পর এক নির্মাণ। কোথাও রাস্তা দখল করে, কোথাও পুকুর ভরাট করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে শহরজুড়ে জমি মাফিয়াদের দাপটে এই অবৈধ কাজ চললেও তাতে রাশ টানার উদ্যোগ দেখা যায়নি। সম্প্রতি এনিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। একাধিক অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিধায়কের দাবি, তাঁর কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। এমন অনেক অবৈধ নির্মাণ হয়েছে, যা আগেই আসানসোল পুরসভার রানিগঞ্জ বরোর নজরে এসেছিল। তদন্ত করে সেই নির্মাণ অবৈধ প্রমাণ হয়ে ভাঙার নির্দেশও জারি হয়েছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তা ভাঙা হয়নি। পুরসভাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে এই ধরনের ১১৫টি ফাইল চাপা ছিল। আইনগতভাবে প্রতিটি কেসের দ্রুত নিষ্পত্তি করে নির্মাণ ভাঙতে চাইছে পুরকর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, রানিগঞ্জের রাজার প্রচুর জমি ভেস্ট হয়েছে। সেইসব জমি ছাড়াও বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানির জমি বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আসানসোল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অবৈধ নির্মাণগুলি দ্রুত ভাঙা হবে। কেন এতদিন এনিয়ে টালবাহানা করা হয়েছে তাও দেখা হবে।