বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে অমরপুর, আহমদপুর, ভ্রমরকোল ও শ্রীনিধিপুর পঞ্চায়েতে লিড পায় বিজেপি। সাংরা ও পাড়ুই পঞ্চায়েতে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জয় পায় তৃণমূল। এই ফলাফল দেখার পর চুলচেরা বিশ্লেষণে নামে শাসক দল। তারপর রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রামবাসীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয় সেখানকার দলীয় নেতারা। গত দু’বছরে উন্নয়নে নিরিখে অনেকটাই নিজেদের ভুল সংশোধন করতে পেরেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের। এবার এই পঞ্চায়েতগুলি থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে লিড নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তৃণমূল। তাই সেখানে বড় বড় মিটিং মিছিলের পরিবর্তে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে প্রচার করছেন নেতা কর্মীরা। দলের কারও প্রতি অভিমান থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য আশীর্বাদ প্রার্থনা করছেন কর্মীরা। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে অভিজিৎ সিনহাকে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচন অন্য ধাঁচের হয়ে থাকে। এই পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির লিড ছিল ঠিকই, কিন্তু, তা হয়েছিল হাওয়ায়। অনেকেই আবেগে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে তাঁরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এখন এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আশীর্বাদ করবেন। এটা আমরা বিশ্বাস করি। বিজেপির অবশ্য দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। তাই লোকসভা নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তৃণমূলের থেকে। সেখানকার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ার কারণে উন্নয়নের কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই সেখানে যেটুকু সাফল্য তৃণমূল পেয়েছিল, তাও নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। বীরভূমের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, লাভপুরের মানুষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা গত লোকসভা নির্বাচনে দেখেছি। লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিজেপির ফল এই কেন্দ্রে আরও ভালো হবে বলে আমরা মনে করি।
তবে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা এখানে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী চাইছেন। তাঁদের দাবি, ঠিকঠাক প্রার্থী হলে লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির ভালো ফল হবে। যদিও শ্যামাপদবাবু বলেন, প্রার্থী যেই হোন না কেন মানুষ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই ভোট দেবেন।