বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নব্য ও আদি বিজেপির দ্বন্দ্বে সরগরম শিল্পাঞ্চল। যার রেশ পড়েছে গলসি বিধানসভা এলাকাতেও। পশ্চিম বর্ধমান জেলার চারটি পঞ্চায়েত এলাকা এই বিধানসভার মধ্যে রয়েছে। এছাড়া আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বুদবুদ থানাও এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। শিল্পাঞ্চল ঘেঁষা কৃষিপ্রধান এই বিধানসভাতেও বিজেপির দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। নব্যদের টিকিট পাওয়ার আশঙ্কায় আদি বিজেপির নামে দেওয়ালে সাইট ফর শুরু করে দেয় পুরনো দিনের কর্মীরা। এবার ওই এলাকায় কয়েকমাস আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদের নামে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার পড়ল। প্রার্থী শব্দটি না লিখলেও টিকিটের দাবি নিয়েই যে ওই পোস্টার, তা স্পষ্ট। ঘোষণার আগেই প্রার্থী নিয়ে যদি পোস্টার ও দেওয়াল লিখনে যুদ্ধ চলে, তাহলে প্রার্থী ঘোষণার পর কী হবে তা নিয়ে অবশ্য গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, পোস্টার দেখে বিজেপি টিকিট দেয় না। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে দল টিকিট দেয়। আমার মনে হয় তৃণমূল দলে ভাঙন ধরানোর জন্য এসব করছে।
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দেবদাস বক্সি বলেন, বিজেপির যেই প্রার্থী হোক আমরা তাঁকে হারাব। ওদের প্রার্থী নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তবে ওদের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে শুনেছি। যদিও এব্যাপারে দলবদলু সাংসদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এসএমএসেরও কোনও উত্তর মেলেনি।
তবে শুধু গলসি নয়, দুর্গাপুর থেকে আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া থেকে পাণ্ডবেশ্বর, প্রার্থী ঘোষণার আগেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। প্রথম দফায় প্রার্থী তালিকায় দলবদলু নেতাদের ভাগ্যের শিকে না ছেঁড়ায় উজ্জীবিত আদি বিজেপি নেতৃত্ব। দল সঠিক মূল্যায়ন করবে বলে আশায় রয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে নব্য বিজেপিরা দলে এসেই ব্যাপক খরচ করেছে। বিজেপির প্রচারের খরচ কার্যত নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়া নেতারা চিন্তায় রয়েছেন, পাছে টিকিট না পেয়ে একূল ওকূল দু’কুলই চলে যায়। তাই তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছেন, যাতে শেষ মুহূর্তেও পুরনোদের ব্রাত্য রেখে নিজের নাম ঢোকানো যায়।