বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গতবছর ৮জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নবদ্বীপের এই যুব আবাসটি উদ্বোধন করেন। ওইবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কিছু পর্যটক এখানে এসে ছিলেন। কিন্তু করোনার জেরে তারপরই বুকিং বন্ধ হয়ে যায়। করোনার প্রকোপ বাড়ায় ওই যুব আবাস কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা বহু শ্রমিক সেখানে ছিলেন। সুস্থ হয়ে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেভাবে এখানে করোনা আক্রান্তরা আসেননি। যুবকল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার সরকারিভাবে যুব আবাসটি পর্যটক বা বেড়াতে আসা মানুষদের থাকার জন্য অনলাইনে বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে ঘর বুক করে নিজের পরিচয়পত্র এবং বুকিংয়ের কাগজ দেখিয়ে যে কেউ ওই যুব আবাসে থাকতে পারবেন। দীঘা সহ অন্যান্য ট্যুরিস্ট স্পটের হোটেলে যেভাবে অনলাইন বুকিং হয় সেইভাবেই রাজ্য সরকারের ইউথ সার্ভিস সাইটে গিয়ে ইউথ হস্টেলের ঘর অনলাইনে বুকিং করা যাবে। এছাড়া কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্র থেকেই স্পট বুকিং করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। নবদ্বীপ ব্লকের ইউথ অফিসার শোভনলাল শিকদার বলেন, যে কেউ এই যুব আবাসে এসে থাকতে পারবেন। তবে অনলাইনের নিদিষ্ট ঘরগুলির নির্ধারিত ভাড়ায় বুকিং করে আসতে হবে।
জানা গিয়েছে, সরকারি এই যুব আবাসের ডরমেটরিতে ২৪টি বেড রয়েছে। ভাড়া মাথাপিছু মাত্র দেড়শো টাকা। সাতটি সিঙ্গল বেডরুম রয়েছে। যার মাথাপিছু ভাড়া ৪২৫টাকা, নন এসি ট্রিপল বেডের সাতটি ঘর রয়েছে। যার ভাড়া ১১০০টাকা। এছাড়া নন এসি ডবল বেডের ২৯টি ঘর রয়েছে। সেটির জন্য খরচ দিতে হবে সাতশো টাকা। ভিআইপি, ভিভিআইপিদের জন্যও ঘর রয়েছে। তবে সেই ঘরগুলির ভাড়া কিছুটা বেশি। এছাড়া একটি অনুষ্ঠান হলও রয়েছে। বিয়ে বা যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান করা যায়। ভাড়া ২৫হাজার টাকা। ব্লক ইউথ অফিসার আরও বলেন, সম্পূর্ণ আবাসটি স্যানিটাইজ করে পুনরায় পর্যটকদের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে।
মায়াপুরে বেড়াতে আসা এক পর্যটক বলেন, দোল, রাস সহ শীতের মরশুমে এখানে পর্যটকদের ভিড় হয়। বিশেষ দিনগুলিতে হোটেলের ঘর পেতে সমস্যা হয়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যুব আবাসে বুকিং শুরু হওয়ায় অনেকের সুবিধা হবে। তাছাড়া খরচও কিছুটা কম। আশা করছি এই যুব আবাস দ্রুত জনপ্রিয় হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব আবাসে থাকার জন্য যথেষ্ট চাপ থাকে।
নবদ্বীপের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, লকডাউনের পর যুব আবাস বন্ধ ছিল। স্যানিটাইজ করে বাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে। তাঁরা সবরকম সুবিধা পাবেন। সরকারি নির্দেশ মেনে পর্যটকদের জন্য বুকিং শুরু হয়েছে।