বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, জেলায় সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৪ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমতেই বহু মানুষ মাস্ক না পরেই বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। ফলে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে বাঁকুড়ায় ৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৩৭। তবে নতুন করে আরও ৭৪ জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে জেলায় মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে ৯৫২১ হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩০।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ ১৫ দিনে জেলায় মোট ৯৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৫৩ জন। ফলে জেলায় সুস্থতার হার এই সময়ে আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, করোনা আতঙ্কে প্রথম দিকে মানুষ বাড়ির বাইরে বেরনোর সময় মুখে মাস্ক পরছিলেন। ওই সময় প্রশাসনিক স্তরে কড়া নজরদারিও চালানো হচ্ছিল। কিন্তু, সংক্রমণের হার একটু কমতেই অধিকাংশ মানুষ মাস্ক না পরেই বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। অনেকের কাছে আবার মাস্ক থাকলেও তা পকেটে বা গলায় ঝোলানো থাকছে। শুধু তাই নয়, সামাজিক দূরত্ববিধি উপেক্ষা করে দোকান বাজারে আগের মতো গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। বারবার মাইকিং, লিফলেট বা পোস্টার দিয়েও অধিকাংশ মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। মানুষের সচেতনতার অভাবেই জেলায় করোনার সংক্রমণ নির্মূল করা যাচ্ছে না।