বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উম-পুন সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা বিলি দু’মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নন্দীগ্রামে তার জের থেকেই গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার অভিযোগে নন্দীগ্রামে ২৫জন নেতাকে সাসপেন্ড করেছিল দল। তালিকায় ছিলেন কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগম এবং তাঁর স্বামী তথা দলের ব্লক কোর কমিটির সদস্য শেখ সাহাবুদ্দিন। পার্টির ব্লক কমিটির নির্দেশে বিডিও অফিসে গিয়ে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মানসুরা। তারপর ১৫সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানে দলের ব্লক কমিটির নির্দেশ অমান্য করে ফের প্রধান হন মানসুরা।
এই ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মানসুরা, তাঁর স্বামী সহ কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট চারজন পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কার করে ব্লক তৃণমূল। জেলা কমিটির অনুমোদন না থাকায় ওই সিদ্ধান্তকে আমল দিতে চাননি সাহাবুদ্দিন। তারপর থেকেই কেন্দামারি-জালপাই পঞ্চায়েত এলাকায় অশান্তি অব্যাহত। দু’পক্ষের মধ্যে কার্যত এলাকা দখলের লড়াই শুরু হয়েছে।
কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের। তাহের গোষ্ঠী ও শেখ সাহাবুদ্দিন গোষ্ঠীর রেষারেষি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতি রাতে বোমাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে দুই বিবদমান গোষ্ঠী। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামে শেখ সাহাবুদ্দিনের বাড়ি। বুধবার রাতেও ওই গ্রামের একটি মাঠে জোড়া বোমা ফাটানো হয়। তারপর এদিন ভোরে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে রাস্তার ধারে গ্যারেজে সাহাবুদ্দিনের গাড়ি নীচে থেকে জোড়া তাজা বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বহিষ্কৃত ওই নেতার অনুগামীরা জড়ো হন। তাঁরা বিপক্ষ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধে নামেন।
এব্যাপারে শেখ সাহাবুদ্দিন বলেন, রোজ রাতে বোমা ফাটানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতেও বোমা ফাটানো হয়েছে। আমাদের গাড়ির নীচে দু’টি চাকার সামনে জোড়া বোমা রাখা হয়েছিল। এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদে হাজরাকাটায় অবরোধ হয়েছে। পুলিস গিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিপক্ষ শিবির থেকেই এটা করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের বলেন, খবরে ভেসে থাকার জন্য চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে এরকম গল্প তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এসব করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পালও বলেন, প্রচারে আসার জন্যই এসব গল্প বানিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।