বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধ শ্রমিকের নাম ইয়ার মহম্মদ ওরফে ভাদু (৬২)। মাস চারেক আগে গ্রামেরই কয়েকজনের সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, লকডাউনে কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্যে অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। এমত অবস্থায় সঙ্গীদের নিয়ে কখনও হেঁটে, কখনও বা বিভিন্ন যানবাহন ধরে ওড়িশায় পৌঁছন। গত বৃহস্পতিবার ওড়িশা থেকে একটি লরিতে চেপে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু, রাস্তায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় রাতে চালক তাঁদের বালেশ্বরে নামিয়ে দেন। ভেজা শরীর নিয়ে সেখানকার একটি দোকানের বারান্দায় তাঁরা শুয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে সঙ্গীরা উঠে দেখেন ইয়ার মহম্মদের কোনও সাড়াশব্দ নেই। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর শনিবার মধ্যরাতে দেহ লোহাপুরে একচিলতে টিনের বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। মৃতের সঙ্গে থাকা আলমগীর শেখ নামে এক শ্রমিক বলেন, লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কখনও খেয়ে, কখনও না খেয়ে দিন কাটছিল। তাই কিছুটা হেঁটে, কখনও আবার ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তাতেও সেভাবে খাবার জোটেনি। কিন্তু, এত ধকল সহ্য করতে পারলেন না ভাদুদা।
মৃতের ছেলে কাজল শেখ বলেন, বহু আগেই মাকে হারিয়েছি। এবার বাবাকে হারালাম। বাবা চেয়েছিলেন, ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে যা আয় হবে, তা দিয়েই বাড়ির ফুটো হয়ে যাওয়া টিনের চালা পাল্টাবেন। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।