স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় আড়াই হাজার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পেন্ডিং থাকায় জেলাজুড়ে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কমানো হয়েছে। শুধুমাত্র উপসর্গ থাকলে তবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, শুক্রবার বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত মোট আটজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে হলদিয়ার একজন এবং বাকিরা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এদিন আটজন বড়মা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কোলাঘাট থানার গোপালপুরে একজন, বৃন্দাবনচকে চারজন এবং পুলসিটা পঞ্চায়েতে ২জন, কোলা ২ পঞ্চায়েতে এবং বৈষ্ণবচক পঞ্চায়েতে একজন করে পরিযায়ী শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হন। রাইন গোপালপুর গ্রামের ৩৬বছর বয়সি আক্রান্ত দিনকয়েক আগে গুজরাত থেকে ফিরে আসেন। কোলাঘাট ব্লকের বাকি আক্রান্তরা মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শিবশঙ্কর খাঁ। তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পাইকপাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
মহিষাদলের কিসমত নাইকুণ্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাগড়া গ্রামের ৩২বছর বয়সি এক যুবক মহারাষ্ট্র থেকে ২৩মে ফিরে এসেছেন। তিনি একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। এছাড়াও নৈ-গোপালপুর গ্রামে ২১বছর বয়সি এক যুবক ১৭মে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই যুবক হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। দু’টি গ্রামকেই সিল করা হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই আক্রান্ত দু’জনকে মেচগ্রামে লেভেল-৪করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নন্দকুমার থানার সাওড়াবেড়্যা জালপাই মৌজার বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি দিনকয়েক আগে মহারাষ্ট্র থেকে এসেছেন। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ বলে সিএমওএইচ জানিয়েছেন। তবে, সাওড়াবেড়্যা জালপাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সৌমিত্র সিংহ বলেন, আক্রান্ত যুবকের বাড়ির ঠিকানা আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হলেও তিনি বছর খানেক ধরে মহিষাদলে জগৎপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার অধীন কাঁথি শহরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর করোনা টেস্টের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তের বাড়ি কাঁথি পুরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডে করকুলি এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০বছর বয়সি ওই বৃদ্ধা গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা নিয়ে প্রথমে কাঁথি শহরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ সুব্রত রায় বলেন, আক্রান্ত বৃদ্ধা কাঁথি শহরে যে নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন, আপাতত সেটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।