বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর বলেন, লকডাউনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকলেও পড়ুয়াদের পঠনপাঠন যাতে থমকে না থাকে, তার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘ই-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস অনুযায়ী ক্লাস নোট আপলোড করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ওই নির্দিষ্ট ক্লাসের জন্য অডিও ও ভিডিও ক্লিপিংস বাড়ি থেকেই প্রয়োজনে আপলোড করবেন। তাতে পড়ুয়াদের আরও সুবিধা হবে। ওই ক্লাস নোটগুলি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবে। একই সঙ্গে ওই ক্লাস নোটের বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে পড়ুয়ারা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের কাছে সেবিষয়ে ওই ওয়েবপোর্টালে সরাসরি কিংবা ফোন করে জানতে পারবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজারও বানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যুক্ত ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হলেও পরে তা অন্যান্যদের জন্যও প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি অনুমতি নিয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গৌরী শঙ্কর নাগ বলেন, ‘skbu.ac.in’ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়ুয়ারা ‘ই-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ পোর্টালে ক্লাস নোটগুলি পাবে। এছাড়াও সরাসরি ‘elearning.skbuonline.com’ গিয়ে বিষয় ভিত্তিক এবং সেমেস্টার ভিত্তিক আলাদা করে ক্লাস নোট আপলোড করা হয়েছে। অধ্যাপক অধ্যাপিকারা কোন বিষয়ের উপর কী ক্লাস নোট আপলোড করেছেন, তাও আলাদাভাবে বাছাই করে নিতে পারবে পড়ুয়ারা।
লকডাউন পর্বের শুরুর সময় থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। উপাচার্য বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেই এই ‘ই-লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে উপাচার্য শিক্ষকদের স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুধু ক্লাস নোট আপলোড করলেই হবে না। সেই ক্লাস নোটের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিক্রিয়াও নিয়মিত নিতে হবে। পড়ুয়াদের কোনও বিষয়ে জিজ্ঞাসা বা কোনও ক্লাস নোট বুঝতে সমস্যা থাকলে প্রয়োজনে ফোনে তাকে সেবিষয়ে বোঝাতে হবে।
গৌরীশঙ্করবাবু আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকলে এই ব্যবস্থা সফল হবে না। তাই ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। তবে উপাচার্য আমাদের জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও সময়ের উল্লেখ নেই। অধ্যাপকরা নিজেদের সুবিধা এবং সময় সুযোগ মতো এই কাজ করবেন। তবে প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে থাকাকালীন ‘হোম ওয়ার্ক’ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের থেকে এবিষয়ে ভালো সমর্থন পাওয়া গিয়েছে।