বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির পোলবায় একটি ভয়াবহ পুলকার দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপর থেকে পুলকার নিয়ে জেলা প্রশাসনও সতর্ক হয়েছে। তবে, ওই দুর্ঘটনার আগেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে পুলকার নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকেই জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় স্কুলে স্কুলে গিয়ে পুলকার নিয়ে এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পুলিস সুপারের নির্দেশ মতো এদিন দুপুরে শক্তিগড় এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি স্কুলে অভিযান চালানো হয়। জেলা পুলিসের ডিএসপি (সদর) সৌভিক পাত্রের নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। তিনি নিজে প্রতিটি পুলকারের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। তাঁর সঙ্গে থাকা পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক প্রতিটি পুলকারের ফিটনেস খতিয়ে দেখেন। ওই স্কুলে ১২টি বাস ও ৩টি উইঙ্গার মিলিয়ে মোট ১৫টি গাড়ি চলে। প্রতিটি গাড়ি চেক করা হয়। গাড়ির ওয়াইপার থেকে ব্রেক, স্পিড লিমিট সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এদিন অবশ্য ওই স্কুলের কোনও পুলকারে ত্রুটি ধরা পড়েনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলকার নিয়ে নানা জায়গায় প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। বিশেষ করে গাড়ি চালানোর সময় চালকের কানে ফোন, পরিবহণ দপ্তরের ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকা, প্রাইভেট গাড়ি কমার্শিয়াল হিসেবে পুলকারে ব্যবহার করা, গাড়িতে যত আসন থাকে, তার চেয়ে অধিক পড়ুয়া চাপানো, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা ইত্যাদি নানা অভিযোগ শোনা যায়। যেহেতু পুলকারে পড়ুয়ারা থাকে, তাই সাধারণ গাড়ির মতো যেখানে সেখানে পুলকার চেকিং করা হয় না। তাই এবার স্কুলে গিয়ে সরেজমিনে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। সমস্ত বিষয়গুলি দেখা হবে। কোনও অনিয়ম নজরে পড়লেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএসপি(সদর) সৌভিক পাত্র বলেন, পুলিস সুপারের নির্দেশে আমরা জেলার সদর শহর বর্ধমানে এই অভিযান শুরু করলাম। সেই সঙ্গে আমরা গোটা জেলার সমস্ত পুলকার নিয়ে একটি ডেটাবেস তৈরি করছি। সেখানে সমস্ত তথ্য থাকবে। তিনি বলেন, বর্ধমান শহরের যে যে স্কুলে পুলকার চলে, সেখানে এই অভিযান চালানো হবে। সেই সঙ্গে কাটোয়া, কালনা সহ গোটা জেলাতেই এই বিশেষ অভিযান চলবে।