বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আর্থিক কারণে বহু দুঃস্থ পরিবার মেয়ের বিয়ে দিতে পারে না। এদিন সেইরকম পরিবারের ১০১ জন গরিব পাত্রীকে হাজির করা হয়েছিল। এই গণবিবাহের মূল আয়োজক হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য খোকন দাস। বিয়ের আসরে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পাত্রপক্ষ থেকে ২৫ জন এবং পাত্রীপক্ষ থেকে ২৫ জন করে আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই হিসেবে শুধুমাত্র পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষ মিলিয়েই হাজির ছিলেন ৫০৫০ জন। এছাড়াও কয়েকশো অতিথি এবং এলাকার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকাল থেকেই ছিল সাজসাজ রব। কাঞ্চননগর কঙ্কালেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে পাত্রীদের হাজির করানো হয়েছিল সাত সকালেই। দুপুরের দিকে বর্ধমান শহরের টাউন হল থেকে ফুল দিয়ে সাজানো ১০১টি টোটোয় চাপিয়ে ১০১ জন পাত্রকে বিয়ের আসরে নিয়ে যাওয়া হয়। বর পোশাক এবং কনের পোশাকও দিয়েছিল আয়োজকরা। পাত্র-পাত্রীকে দান হিসেবে খাট, বিছানা, আলমারি, আলনা, রঙিন টিভি, স্যুটকেস সহ চাল, আটা সহ এলআইসি’র লাইফ ইনসুরেন্স বন্ডও দেওয়া হয়। এছাড়াও পাত্রকে সোনার আংটি, সাইকেল, হাতঘড়ি সহ নানা জিনিস দেওয়া হয়। পাত্রীকে নাকছাবি সহ একঝাঁক দান সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ও রাতে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন ছিল।
এই গণবিবাহের প্রধান আয়োজক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খোকন দাস বলেন, ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রীর বিয়ে দিতে পেরে আমরা সবাই খুশি। উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ নবদম্পতিদের আশীর্বাদ করেছেন। একই ছাদের নীচে যেমন হিন্দু ধর্মের পাত্র-পাত্রী ছিলেন, তেমনই মুসলিম দুই ধর্মের পাত্র-পাত্রীরাও ছিলেন। একসঙ্গেই তাঁদের সবার বিয়ে হয়েছে।