বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্তমানে শান্তিপুরের তাঁত শিল্পের সঙ্কটকে থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন শান্তিপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ ক্লাবের উদ্যোক্তারা। বর্তমানে তাঁতিদের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। শাড়ি তৈরি করার সময় ফেলে দেওয়া বাড়তি সুতো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপের ভিতর ও বাইরের অংশ। তাঁতের শাড়ির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। সুতো কাটা থেকে মহাজনের ঘর হয়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছনো পর্যন্ত একটি শাড়ির বিভিন্ন রূপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপে। মণ্ডপ শিল্পী প্রশান্ত কাষ্ঠ বলেন, পাওয়ার লুম বাজারে চলে আসায় হস্তচালিত তাঁত ক্রমশ সঙ্কটের মুখে। যাদের টাকা আছে তাঁরা পাওয়ার লুম বসিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু যাদের আর্থিক সামর্থ নেই তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। ফুলিয়া ও শান্তিপুরে তাঁতের শাড়ির প্রধান জায়গা। তাঁতিরাই এই এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে তাঁতি সম্প্রদায়ের মানুষ প্রচুর রয়েছে। কিন্তু পাওয়ার লুম হওয়াতে হস্তচালিত তাঁতের ওপর একটা বিপদ নেমে এসেছে। পাশাপাশি মেশিনের সাহায্যে নলি পাকানোর কাজ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁতের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই এখানকার থিম তৈরি করা হয়েছে। থিমের সঙ্গে নানা স্লোগান লেখা হয়েছে। এখানকার রাসের উদ্যোক্তা প্রকাশ বিশ্বাস ও সঞ্জয় বর্মন বলেন, আমাদের এই বছরের রাস ২৯তম বছরে পদার্পণ করল। এবছর আমাদের রাধাকৃষ্ণ মূর্তি ও মণ্ডপ দেখতে দর্শক টানবে।
অন্যদিকে, বিয়ের বিভিন্ন পর্বকে থিম আকারে তুলে ধরেছে শান্তিপুরের শ্যামবাজার রাস উৎসব কমিটি। এটি ৮৩ বছরের পুরনো পুজো। এখানে সত্যনারায়ণের মূর্তির পুজো হয়। মণ্ডপের ভিতরে তৈরি করা হয়েছে ছাতনাতলা থেকে নহবত গেট। পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষের বসার জায়গা, বিয়েবাড়ির পরিবেশ সব কিছুই রয়েছে। অন্যদিকে, বুফে আইটেমে খাওয়া দাওয়ার বিষয় দেখানো হয়েছে। পুজোর উদ্যোক্তা মধুসূদন সাধুকা, শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, শান্তিপুরের রাসে সত্যনারায়ণের মূর্তির প্রথম এখানে পুজো হয়। আমাদের আশা, এখানকার মণ্ডপে রাসের কটা দিন প্রচুর দর্শক সমাগম হবে। অন্যদিকে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় সবুজয়ানের বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।