বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হলদিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশুশেখর মণ্ডল বলেন, পুরসভার নিরাপত্তা ও নাগরিকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে ৫৮জন সিটিগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়োগ করা হয়েছে দু’জন করে সিটিগার্ড। কমবয়েসি এই তরুণ সিটিগার্ডরা যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেখানেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের মতো এদের হলুদ রঙের গেঞ্জির ড্রেস কোড করা হয়েছে এবং পুরসভা থেকে ‘সিটি গার্ড’ লেখা আইডেনটিটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, হলদিয়া পুরসভায় ৮৭জন সিকিউরিটি কর্মী ছিলেন। নতুন সিটিগার্ড যুক্ত হওয়ায় সিকিউরিটি কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৫জন। তবে সিটিগার্ডরা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার পাশাপাশি পুর পরিষেবার বিষয়টিও দেখবেন।
পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাস বলেন, শিল্পশহরে সিটিগার্ড নিয়োগের ভাবনা নতুন ধরনের উদ্যোগ। এজন্য একদল বাছাই করা তরুণকে নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে প্রতি ওয়ার্ডে কর্মসংস্থান হয়েছে। সিটি গার্ডদের ডিউটির সময় সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ১২ঘণ্টা। এঁদের সাড়ে ৭হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। পুর কার্যালয়ে কয়েকজন সিটিগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। পুরসভায় কাজের জন্য আসা ভিজিটরদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করার পর কোথায় কোন দপ্তরে গেলে তাঁদের সুবিধা হবে, তার খোঁজ দেন এঁরা। তবে নিরাপত্তা ছাড়াও পরিষেবামূলক কাজে পুরসভাকে সহযোগিতা করতে প্রতি ওয়ার্ডে সিটিগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্ট্রিট লাইট, হাইমাস্ট লাইট, অডিটরিয়াম, মুক্তমঞ্চ, জলের পাম্প, পার্ক বা সুসজ্জিত রাস্তার মতো যেসব স্থায়ী সম্পদ রয়েছে, সেগুলির উপর মোবাইল বা চলমান নজরদারির জন্য সিটিগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে। অডিটরিয়াম, পার্ক বা জলের পাম্প দেখার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পুরসভার নিজস্ব সিকিউরিটি ছিল। কিন্তু, এই প্রথম মোবাইল সিকিউরিটি নিয়োগ হল। গ্রিন সিটি মিশনে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শহরে একাধিক রাস্তা ও ফুটপাতের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কয়েকমাস না যেতেই সেইসব রাস্তা ও ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে।
সিটিগার্ডরা এবার পুর এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে বেআইনি দখল, পুর আইন ভেঙে বাড়ি নির্মাণ বা পুরসভার সাপ্লাই লাইন থেকে বেআইনিভাবে জল নিলে খবর দেবে কাউন্সিলারকে এবং পুরসভায়। এছাড়াও কোনও নাগরিক প্লাস্টিকজাতীয় বা অন্য ধরনের আবর্জনা ফেলে রাস্তা অপরিচ্ছন্ন করলে এবার সিটি গার্ডরা সতর্ক করবে। প্রতিদিন ওয়ার্ডের ড্রেন বা ভ্যাটগুলি পরিষ্কার হচ্ছে কি না তা দেখে তাদের জানাতে হবে কাউন্সিলারকে। ওয়ার্ডে কোনও সমস্যা হলে সিটিগার্ডের মাধ্যমে বাসিন্দারা কাউন্সিলার বা পুর কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। এমনকী কোনও ওয়ার্ডের দরিদ্র কিংবা একা কোনও বয়স্ক মানুষের কাছে পুর পরিষেবা পৌঁছে দিতেও এদের কাজে লাগানো হচ্ছে।