বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অন্যদিকে শুভেন্দুবাবুও লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভা ভোটেও সাফল্য ছিনিয়ে আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। পুজোর আগে তিনি জঙ্গিপুর, রানিতলায় সভা করেছেন। আবার ১৯অক্টোবর তিনি জেলায় আসছেন। ওইদিন লালবাগের পুরনো মোতিঝিলে দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করবেন। বেলডাঙাতেও তাঁর একই ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মরশুম শেষ হয়ে গেলে এনআরসির বিরুদ্ধে শুভেন্দুবাবু বড় সমাবেশ করবেন। পরে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে তিনি সভা করবেন। দলের এক নেতা বলেন, মুর্শিদাবাদে সংগঠন শুভেন্দুবাবুর উপরেই নির্ভরশীল। তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে লাগাতার কর্মসূচি করে দলের ভিত গড়ে তোলেন। শূন্য থেকে শুরু করে এই জেলায় তিনি দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছিলেন। দলের অনেকেই মনে করছেন, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কিছু জায়গায় কংগ্রেস তাদের সংগঠন ধরে রাখতে পারলেও বাকি জায়গায় তৃণমূলের ভিত মজবুত রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে তারা এই জেলায় ১৯-২০টি আসনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপ দেবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সংগঠন মজবুত করতে কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব নতুন জেলা কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে অনেক সক্রিয় নেতাদের তুলে আনা হবে। কমিটি ঘোষণার পর নেতৃত্ব আরও জোরদারভাবে ময়দানে নামবে। ইতিমধ্যেই দিদিকে বলো কর্মসূচিকে সামনে রেখে নেতারা প্রচার শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। জেলার অনেকেই মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনেও এই জেলায় অধীরবাবু এবং শুভেন্দুবাবুর শক্তি পরীক্ষা হবে। কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে যেভাবে ভিড় হচ্ছে তাতে বার্তা পাওয়া যাচ্ছে আগামী দিনে কী হতে চলেছে। আমরা লোকজনদের কর্মসূচিতে আসার জন্য বাস ভাড়াও দিতে পারি না। তবুও বুধবার বহরমপুরে এনআরসি বিরোধী সভায় কাতারে কাতারে লোক এসেছিল। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, শুভেন্দুবাবুর নেতৃত্বে এই জেলায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তিনি কিছু দিন আগেই বহু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেছেন। মানুষ উন্নয়ন দেখেই লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভার ভোটেও ভোট দেবে। কংগ্রেস তাদের আগের আসনগুলিও ধরে রাখতে পারবে না।