বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছেলে সহ শিক্ষককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগানদারের কাজ করত। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গ্রামের শান্তশিষ্ট এবং স্বল্পভাষী যুবকের নাম উঠে আসতেই পরিবার থেকে পাড়া এবং গ্রামের লোকজন কার্যত তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। উৎপলের মা ও বাবার অভিযোগ, আমার যে ছেলে কোনওদিন একটা পিঁপড়ে মারেনি সে কীকরে তিনটি মানুষকে খুন করতে পারে। ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিবারের একমাত্র ছেলে উৎপল। জিয়াগঞ্জে দিদির বিয়ে হওয়ার পর তার বাবা পেশায় কৃষিজীবী মাধব বেহেরা, মা কান্ত এবং এক বোনকে নিয়ে থাকতেন। একচালা মাটির বাড়িতে বাস, কোনও রকমে তাদের সংসার চলে। এই বারালা গ্রামেই আদি বাসস্থান ছিল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের। গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এলাকায় পরিচিত হওয়ায় বন্ধুপ্রকাশবাবুর কাছে একটি পলিসি করে উৎপল। সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয় এবং ওই শিক্ষক উৎপলকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। তখন থেকেই উৎপল প্রতিশোধ নিতে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে।
এদিন উৎপলের মা কান্ত বেহারা বলেন, আমার ছেলে দোষী নয়, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সে কোনওদিন কারও সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করেনি, সে কোনওদিন একটি পিঁপড়েও মারেনি। এমন ছেলে তিনটে মানুষকে মারতে পারে না। আমাদের অভাবের সংসার, সে টাকা পাবে বলেই ফোন করেছিল বন্ধুপ্রকাশ পালকে। সেই ফোনের জেরেই আমার ছেলেকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের বাবা মাধববাবু বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। রাজমিস্ত্রির কাজ করে, আমি চাষবাস করে সংসার চালাই। পুজোর কিছুদিন আগে ও বাড়ি আসে। ওই শিক্ষকের কাছে একটি পলিসি করেছিল, পুলিস সমস্ত পলিসি গ্রাহককে ডাকছে। আমার ছেলে তার কাছে পলিসি করতে গিয়েই ফেঁসে গেল।
ধৃতের বন্ধু সাহাপাড়ার কাঞ্চন শেখ, রানা বেহারা এবং মহাদেব বৈরাগী থেকে গ্রামের লোকজন সকলেই অবাক। কাঞ্চন বলেন, ও এমনিতে খুব একটা ঘরের বাইরে রেরত না। কথাও খুব কম বলত। গ্রামে তার নামে কোনও খারাপ রেকর্ড নেই। এমনকী সিগারেটের নেশাও করত না। গ্রামের অন্য ছেলে হলেও মেনে নিতাম। এই কাজ উৎপল করতে পারে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না।