শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাককাটিগাছ পঞ্চায়েতের কামাত ফুলবাড়ি কুঠিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শান্তনু। সে তুফানগঞ্জ বিবেকানন্দ বিদ্যালয়ের ছাত্র। একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতে চায়। ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন এই কৃতীর। কিন্তু উচ্চশিক্ষার ধাপ এত সহজে পার হওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত সে। চরম অভাবের মধ্যে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে সে। তার কথায়, স্কুল শিক্ষক আমাকে সবসময় সাহায্য করেছেন। ভবিষ্যতে শিক্ষক হয়ে দুঃস্থ ও মেধাবীদের পড়াতে চাই।
শান্তনুর বাবা শ্যামল দাস ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর পাঠানো টাকা দিয়ে সংসার চলে। মা মনিকা দাস গৃহবধূ। সংসারে অভাব অনটন নিত্যদিনের সঙ্গী। বিজ্ঞান নিয়ে পড়লে সে খরচ কোথা থেকে জোগাড় হবে, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাঁদের। শ্যামলবাবু বলেন, ছেলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চায়। শুনেছি, এতে অনেক খরচ। কীভাবে পড়াব, বুঝতে পারছি না। কেউ সাহায্যে এগিয়ে এলে উপকৃত হব।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিক্রমজিৎ সাহা বলেন, শান্তনু স্কুলে বরাবর ভালো ফল করত। প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও যেভাবে পড়াশোনা চালিয়েছে, তাতে আমরা খুশি। দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। আর্থিক সমস্যা দূর করতে আমরা ওর পাশে রয়েছি। টাকার অভাবে ওর পড়াশোনা বন্ধ হতে দেব না।