শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুরসভার এক সাফাই কর্মী বিজু জমাদার বলেন, তিন মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। পুর কর্তৃপক্ষ বেতন দেবে, দিচ্ছে করে চলছে। আগেও আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে সরে যাক। আমরা কর্মবিরতি পালন করলে রাতে পুলিস গিয়ে আমাদের খোঁজ করছে। আমরা আমাদের প্রাপ্য বেতন চেয়ে কি অন্যায় করেছি?
এদিকে বারবার সাফাই কর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় গোটা রায়গঞ্জ শহর কার্যত আবর্জনার স্তূপে ভরে গিয়েছে। এদিন সকালে দেখা যায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিপল্লিতে পুরসভার তরফে রাস্তার ধারে রাখা ডাস্টবিন উপচে পড়ছে। ডাস্টবিনের পাশে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। একই চিত্র দেখা যায় শহরের ইন্সস্টিউটের সামনের রাস্তাতেও। এলআইসি অফিসের পাশের রাস্তাতেও ডাস্টবিন উপচে রাস্তায় আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে না। ডাস্টবিন উপচে রাস্তায় ময়লা পড়ছে। কুকুর সেগুলি নিয়ে টানাটানি করছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে কয়েক দিনের জমে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধ। এলাকায় বাড়ছে মশার উপদ্রব। গোটা এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সাফাই কর্মীদের আরও অভিযোগ, শুধুমাত্র যে তিন মাসের বেতন বকেয়া তাই নয়। ছটপুজোর বোনাস এখনও দেওয়া হয়নি। রায়গঞ্জ পুরসভার চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারী সঞ্জীব কুমার লাহিড়ী। তিনি পুরসভার হয়ে বাড়ি বাড়ি থেকে কর আদায় করেন। তিনি বলেন, আমরা দু’মাস অর্থাৎ মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন এখনও পাইনি। পুরসভার ফিনান্স অফিসার শেখ সাবিরুল ইসলাম বলেন, সাফাই কর্মীদের বেতন বকেয়া আছে। আমরা তা মেটানোর চেষ্টা করছি।