ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ভোটের হাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করতেই কোতোয়ালির বধূ মুমতাজ বেগম ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দিয়ে বলেন, দিদির জমানায় মিলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। হাতে কিছু টাকা এসেছে। তা জমিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছি।
তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই অমৃতির বধূ চুমকি ঘোষ রুমাল দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বলেন, এখন মহিলারা অনেকটাই স্বনির্ভর। মহিলাদের হাতে ক্ষমতা এসেছে। তাছাড়া, শহরের চেহারা কিছুটা পাল্টেছে। বৃন্দাবনি ময়দান ঘেরা দেওয়া হয়েছে। শুভঙ্কর শিশু উদ্যান, প্রশাসনিক ভবন চত্বর ঘেরা দিয়ে সাজানো হয়েছে। সুখে, দুঃখে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা পাশেও থাকছেন।
সেই সময় মুড়ি খেতে খেতেই শহরের ব্যবসায়ী সুজয় চৌধুরী মুচকি হেসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন। তাঁর বক্তব্য, শুধু একতরফা বললে চলবে না। এটা গ্রামের বা পুরসভার নির্বাচন নয়। দেশের ভোট। বিজেপিকে উড়িয়ে দিলে চলবে না। চায়ের কাপে চুমক দিয়ে আর এক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, এটা গণিখানের মাটি। কাজেই, এখানে ‘হাত’ এখনও প্রাসঙ্গিক। সংশ্লিষ্ট বাসিন্দাদের কথোপকথন থেকেই স্পষ্ট- এবার এখানে তৃণমূলের মজবুত সংগঠন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিজেপির। এদের মাঝে পুরনো আবেগকে হাতিয়ার করে জমি ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস।
মালদহ দক্ষিণ লোকসভা আসনের অধীনে থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে ইংলিশবাজার অন্যতম। এটা মালদহ জেলার সদর শহর। শুধু প্রশাসনিক ভবন বা কোর্ট চত্বর নয়, শহরের রথবাড়ি, সুকান্তমোড়, কালীতলা, কুট্টিটোলা, বিএসরোড, পুরাটুলি, মোকদমপুর সর্বত্র ভোটারদের কাছ থেকে এমনই প্রতিক্রিয়া মিলেছে। যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাল্লা ভারি। সেটাকে অস্ত্র করেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে তৃণমূল। দলের ছাত্র, যুব, মহিলা, শ্রমিক সংগঠন ময়দান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এখানে একাধিক সভা করেছেন।
এনিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের পর এখানে ব্যাপক শক্তিবৃদ্ধি হয় জোড়াফুল শিবিরের। ইংলিশবাজার বাদ দিয়ে বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র মানিকচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, ফরাক্কা ও সামসেরগঞ্জ তৃণমূলের কব্জায়। সর্বত্র বুথস্তরে তৃণমূলের সংগঠন ও ভোটমেশিনারি চাঙ্গা। স্বভাবতই রাজ্য সরকারির সামাজিক প্রকল্প, দলীয় সংগঠন সবদিক দিয়েই জোড়াফুল শিবির চনমনে।
এদিকে, ভোটযুদ্ধ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির তরজাও তুঙ্গে। তৃণমূলের মালদহ জেলা সহসভাপতি দুলাল সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও দলীয় সংগঠনই এখানে জয় এনে দেবে। পাল্টা বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সহসভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এবার ভোটের ইস্যু-দুনীর্তি। মোদিজির হাওয়া দমাতে পারবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কংগ্রেসের কার্যকরি জেলা সভাপতি কালীসাধন রায়ের মন্তব্য, কে কী বলছে জানি না। এই কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলেই থাকবে।