ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মিঠুন রায়। বয়স আনুমানিক ১৯ বছর। হলদিবাড়ির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মাস চারেক হল শিলিগুড়ি শহরের একটি পানশালায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ওই পানশালার মালিকেরই একটি বাড়িতে আরও কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে মিঠুন থাকতেন।
এদিন সকালে পানশালার অন্য কর্মীরা বাড়ির ছাদে গিয়ে দেখেন, সিঁড়িতে মিঠুনের দেহ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। এ খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খুন না আত্মহত্যা, সেই প্রশ্নও ওঠে। খবর পেয়ে এনজেপি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মিঠুনের সঙ্গে পানশালার যে কর্মীরা ওই বাড়িতে থাকতেন, তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মিঠুনের মন খারাপ ছিল। পানশালায় কাজে গেলেও সারাক্ষণ চুপচাপ ছিল সে। কাজ শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাত ১০টা নাগাদ মিঠুন ঘরে ফিরে আসে। রাত ১২টা নাগাদ অন্য কর্মীরা ফিরে এসে দেখেন, মিঠুন ঘরে চুপচাপ শুয়ে রয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন, মিঠুনের কাছে একটি ফোন কল এসেছিল। সেই ফোনে কথোপকথনের সময় মিঠুন চড়া সুরে কথা বলছিল। ঝগড়াও হয়। তারপর থেকে হতাশ হয়ে পড়ে সে। মিঠুনকে কে ফোন করেছিল, কী কথা হয়েছিল, তা কেউ বলতে পারছেন না। পুলিস জানিয়েছে, ফোনের কললিস্ট দেখা হচ্ছে। কে ফোন করেছিল, তাকে চিহ্নিত করে জানতে চাওয়া হবে মিঠুনের সঙ্গে তার কী বিষয়ে কথা হয়েছিল। তদন্তে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
পানশালার অন্য কর্মীদের বয়ানে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মিঠুন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিস। এনজেপি থানার পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা না খুনের ঘটনা। সেই মতো তদন্ত শুরু হবে। মৃতের বাড়ির লোকজন খবর দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (ইস্ট) দীপক সরকার বলেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নামা হয়েছে।
পানশালার মালিক বিশ্বনাথ দত্ত পুলিসকে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মনমরা ছিল মিঠুন। কাজেও মনঃসংযোগ করতে পারছিল না। একটা অস্থিরতার মধ্যে ছিল। অন্যদিনের থেকে বৃহস্পতিবার অনেক আগে কাজ থেকে ঘরে চলে এসেছিল।
এতে প্রশ্ন উঠেছে, বিয়ে বা প্রেম ভেঙে যাওয়ার খবর কি মিঠুনকে ফোনে জানানো হয়েছিল। সেই ধাক্কাতেই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।